তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

মদনে সেই প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

মদনে সেই প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ,জেল থেকে ছাড়া পেলেই বিয়ে
[ভালুকা ডট কম : ২৪ আগস্ট]
নেত্রকোনার মদনে সেই প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছে মেয়েটির বাবা ধনাই মিয়া। রোববার রাতে মদন থানায় সহকারী লাইব্রেরিয়ান মিল্লাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগটি দায়ের করেন। অভিযোগের কথা শোনে নড়েচরে বসেছে ছেলের পরিবার। জেল থেকে ছাড়া পেলেই হবে বিয়ে এমনটিই জানিয়েছেন ছেলে ও মেয়ের পক্ষের পরিবার। নেত্রকোনার মদন পৌরসদরের মদন বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রেমিক মিল্লাদ আহম্মেদ মদন আলহাজ্ব মোজাফর আলীম মাদ্রাসার সহকারী লাইব্রেরিয়ান ও পৌর সদরের মাস্টার পাড়া এলাকার সলিম উদ্দিনের ছেলে।

জনা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মিল্লাদ আহম্মেদ পৌরসদর মদন বাজার এলাকার ধনাই মিয়ার গার্মেন্টসকর্মী মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় শনিবার গভীর রাতে দেখা করতে তার বাসায় যায়। এ সময় মেয়ের পরিবারের লোকজন আটক করে মিল্লাদকে পুলিশে সোপর্দ করে।  মিল্লাদকে থানায় নিয়ে গেলে দু-পক্ষের মধ্যে বিয়ের আলোচনা হওয়ায় মেয়ের পক্ষ কোনো অভিযোগ দায়ের  করেনি। পরে পুলিশ  ৫৪ ধারায় তাকে  রোববার নেত্রকোনা  কোর্টে প্রেরণ করেন। এ দিকে কোর্টে প্রেরণ করার পর বিকালে বিয়ের ব্যাপারে ছেলে পক্ষ অনীহা প্রকাশ করে। এতে মেয়ের পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে  ওই রাতেই মেয়ের বাবা ধনাই মিয়া বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মিল্লাদ কে আসামি করে থানায় একটি মামলা দাযের করেন। অভিযোগের কথা শুনে ছেলে পক্ষ এলাকার মাতাব্বরগণ ও মেয়ের পক্ষ কে নিয়ে রাতেই কাজীর অফিসে গিয়ে  ১৮ শতাংশ ভূমি ও ৫লাখ ৯০হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ের কামিন নামা প্রস্তুত করে রাখেন। ছেলে জেল থেকে এলেই বিয়ের কাজ সম্পন্ন হবে বলে মেয়ের পরিবারের লোকজন জানান।  

মেয়ের মা রাহেলা আক্তার জানান, রবিবার রাতে থানায় অভিযোগ করায় ১৮ শতাংশ ভূমি ও ৫লাখ ৯০ হাজার টাকার দেনমোহর ধার্য করে আমার মেয়ের সাথে মিল্লাদ আহম্মেদের বিয়ের কাবিননামা মদন বাজার কাজির অফিসে ওই রাতেই লিখা হয়েছে। জামাই জেল থেকে এলেই আনুষ্টানিকভাবে বিয়ে হবে।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট নিকাহ রেজিঃ রুহুল আমীন জানান, রবিবার রাতে ছেলে এবং মেয়ের পক্ষ আমার অফিসে এসে কাবিননামা প্রস্তুত করে রেখে গেছেন। ছেলে জেল থেকে এসে কাবিননামায় স্বাক্ষর করলেই বিয়ের কাজ সম্পন্ন হবে।

এ ব্যাপারে ছেলের  ভগ্নীপতি বাবুল মিয়া জানান, রোববার রাতে উভয় পক্ষ বসে বিষয়টি মিমাংসা হয়েছে। ছেলে জেল থেকে আসলেই স্বাক্ষর করলেই বিয়ে হবে। আমরা মেয়েকে ১৮ শতাংশ ভূমি ও ৫লাখ ৯০ হাজার টাকার দেনমোহর দিয়েছি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( খালিয়াজুরি সার্কেল) জামাল উদ্দিন জানান, মিল্লাদ কে আটকের পর মেয়ে পক্ষ কোনো অভিযোগ না করায় রবিবার ৫৪ ধারায় তাকে নেত্রকোনা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়। ওই রাতেই মেয়ের বাবা ধনাই মিয়া বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মিল্লাদ আহম্মেদ কে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই