তারিখ : ১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নান্দাইল রোড ও মুশুল্লী রেলওয়ে স্টেশন

নান্দাইল রোড ও মুশুল্লী রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণের পর থেকে উন্নয়নের মুখ দেখেনি
[ভালুকা ডট কম : ২৫ আগস্ট]
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার এক প্রান্ত ভেদ করে অন্যপ্রান্ত দিয়ে বের হয়ে গেছে ময়মনসিংহ-ভৈরব-চট্রগ্রাম-ঢাকা রেলপথ। এরই মধ্যে উপজেলার দুটি অংশ “নান্দাইল রোড ও মুশুল্লী” রেলওয়ে স্টেশন। এক সময় উক্ত দুই স্টেশনে মানুষের লোক সমাগম ছিল দেখার মতো। আশেপাশের দোকান-পাট ও হাটবাজার গুলোতে চলতো বিভিন্ন প্রকার বাণিজ্যিক আদান-প্রদান। বর্তমানে সেই জৌলস আর নেই। শুধুমাত্র অর্থ বাচাঁতে ও নিরাপদ গমন করতে আজও এই রেলপথ ব্যবহার করছে যাত্রী সাধারন।

জানা যায়, উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নে অবস্থিত নান্দাইল রোড রেলওয়ে স্টেশন এবং অপরটি মুশুল্লী ইউনিয়নে অবস্থিত মুশুল্লী রেলওয়ে স্টেশন। বৃটিশ আমলে এ দুটি রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণের পর থেকে এখন পর্যন্ত উন্নয়নের মুখ দেখেনি এই স্টেশনগুলো।সম্প্রতিকালে শুধুমাত্র নান্দাইল রোড রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রী সাধারনের উঠা-নামার জন্য একটি পাকা ফ্লাটফর্ম ও একটি সিগন্যাল বক্স তৈরী করা হয়েছে। তবে দুটি স্টেশনের একটিতেও নেই কোন উন্নত মানের বিশ্রামাগার ও পানীয় ব্যবস্থা। সেই বৃটিশ আমলে নির্মিত পুরাতন জরাজীর্ণ অবকাঠামো দিয়েই চলছে রেলওয়ে স্টেশনের কার্যক্রম। নান্দাইল রোড স্টেশনে কয়েকজন লোকবল থাকলেও মুশুল্লী স্টেশনে নেই কোন লোকবল। মুশুল্লী স্টেশনের নামে স্থায়ীভাবে সাঁটানো সাইনবোর্ড রয়েছে। রয়েছে পরিতেক্ত্য অবস্থায় টিকিট কাউন্টার ছাড়াও কয়েকটি জরাজীর্ণ ভবন, কিন্তু নেই কোনো লোকবল। যথারীতি যাত্রীর আগমন সহ ট্রেনে ওঠানামা করলেও টিকিট দেওয়া ও দেখাশোনা করার কেউ নেই। মুশুল্লী ইউনিয়ন সহ আশপাশের সংযুক্ত আরো বেশ কয়েক ইউনিয়নের লোকজন নিরাপদ বাহন হিসাবে রেলওয়ে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্টেশনের ভবনগুলো তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মুশুল্লী রেলওয়ে স্টেশনে চরে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন গবাদিপুশু। এ স্টেশনের সাথেই রয়েছে একটি রেলক্রসিং। রেলক্রসিংয়ে গেইটবার তৈরীর সময় গেইটম্যান নিয়োগ সহ থাকার জন্য গেইটের পাশেই ছোট একটি ছোট পাকা ঘর তৈরী করা হয়েছে।

স্টেশন এলাকার মোস্তুফা, সোহাগ সহ বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি এই এলাকার সহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন এই ২টি স্টেশন দিয়ে যাত্রায়াত করত। আমরা দূরে কোথাও গেলে টিকিট কেটে রেল যোগে যাতায়াত করতাম। কিন্তু এখন আর এই মুশুল্লী স্টেশনে টিকিট বিক্রী করা হয় না। তারা আরও জানান, মুশুল্লী এলাকার মানুষ মাঝে মধ্যে রেলওয়ে যাতায়াত করেন টিকিট ছাড়াই। আর এতে সরকার বঞ্চিত হচ্ছেন।

এ বিষয়ে গেইটম্যান রাজু আহম্মেদ বলেন, মুশুল্লী স্টেশনে দিনে ও রাতে লোকাল ট্রেনগুলো থামে। তখন এখানে যাত্রী ওঠানামা করে। কিন্তু স্টেশনে কার্যক্রম না থাকায় টিকিট কিনতে পারেন না যাত্রীরা। ফলে এক প্রকার বাধ্য হয়ে এখানকার যাত্রীরা বিনা টিকেটে ট্রেনে চড়েন। এতে করে সরকার রাজস্বও হারাচ্ছেন। অপরদিকে নান্দাইল রোড রেলওয়ে স্টেশনে কিছু সংখ্যক লোকবল রয়েছে। যার ফলে এখনও রেলওয়ে যাত্রী সাধারনের কিছুটা সমাগম রয়েছে।

এ বিষয়ে নান্দাইল রোড রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. ইমাম হোসেন জানান, স্টেশনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন। ভবন গুলো জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভবনগুলো সংস্কার করা প্রয়োজন। যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে এবং যাত্রীদের সুবিধার জন্য একটি যাত্রী ছাউনী নিমার্ণ করা প্রয়োজন।

এছাড়া অন্তত নান্দাইল রোড রেলওয়ে স্টেশনে ময়মনসিংহ-চট্টগ্রামগামী বিজয় ও ময়মনসিংহ টু ঢাকাগামী ট্রেনের স্টপিজ করলে নান্দাইল, ঈশ্বরগঞ্জ, তাড়াইল, কেন্দুয়া, হোসেনপুর, ইটনা ও মদন উপজেলার লোকজনের খুবই সুবিধা হতো। পরে মুশুলী স্টেশনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মুশুল্লী স্টেশনে বুকিং সহকারীর মাধ্যমে টিকিট বিক্রী করা হত। এখন আর এই স্টেশনে টিকিট বিক্রী করা হয় না এবং স্টেশনে ভবন গুলো বসা অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।#





সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই