তারিখ : ১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

কালিয়াকৈরে প্রধান শিক্ষকের বিরম্নদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

কালিয়াকৈরে স্কুলের সভাপতি-প্রধান শিক্ষকের বিরম্নদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ, সুষ্ঠ তদন্ত্মের দাবী
[ভালুকা ডট কম : ০৫ সেপ্টেম্বর]
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি'র বিরম্নদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের বিরম্নদ্ধে মার্কেট নির্মাণ ও পস্নট বিতরণে অনিয়ম, টেন্ডার ছাড়াই পুরাতন ভবন ও গাছ বিক্রি, দাতা সদস্য নেয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগে সুষ্ঠ তদন্ত্মের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া আক্কেল আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতোয়ার রহমান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল হাকীম মিয়ার বিরম্নদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে। ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির চার অভিভাবক সদস্য গত ৯ জুলাই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি'র কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, ৬তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট একটি মার্কেটের ১তলা সম্পূর্ণ করা হয়েছে। কিন্তু নির্মাণ কমিটিও করা হয়নি। ওই মার্কেটের পস্নটও বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ওই নির্মিত মার্কেটের হিসাবও দেননি। পস্নট বিতরণেও অনিয়ম করেছেন তারা।

এছাড়াও তারা দুজন কোন রকম টেন্ডার ছাড়াই বিদ্যালয়ের একটি পুরাতন ভবন ও বেশ কিছু মেহগুনি গাছ বিক্রি করেছেন, তারও কোনো হিসাব-কিতাব দেয়নি। তারা দুজনে ইচ্ছা মতো আসবাবপত্র ক্রয় করেছেন। এসব ক্রয়-বিক্রয়ে কোন কমিটি করা হয়নি। বিদ্যালয়ে কিছু দাতা সদস্য নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কতজন সদস্য কত টাকার বিনিময়ে নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ও কাউকে জানানো হয়নি। অপর দিকে সম্প্রতি বিদ্যালয় মাঠে পশুর হাট বসানো হয়েছে। কিন্তু সেটা কিভাবে ও কত টাকার বিনিময়ে বসানো হয়েছে, সেটাও জানানো হয়নি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে মিলেমিশে নানা অনিয়মের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাই যেসব বিষয়ে অনিয়ম উঠেছে, সেসব বিষয়গুলো সুষ্ঠ তদন্ত্মের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী তাদের।

অভিযোগকারীদের মধ্যে মতিউর রহমান মহব্বত ও শাহাব উদ্দিন জানান, এসব বিষয়ে অনিয়ম হওয়ায় আমরা চারজন অভিভাবক সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমাদের সবাইকে ডেকে মিমাংসা করে দিয়েছেন।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আতোয়ার রহমান জানান, নিয়ম না মেনে কোনো পত্র-পত্রিকায় টেন্ডার ছাড়াই গাছগুলো বিক্রি করা হলেও গাছ বিক্রিত টাকা বিদ্যালয়ের কাজেই লাগানো হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য বিষয়গুলোতেও কোনো অনিয়ম হয়নি। অপর অভিযুক্ত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাকীম মিয়া জানান, নিয়ম মাফিক গাছ কাটা দেরি হবে, তাই নিজেরাই রেজিলেশন করে গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে। আর উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েই পশুর হাট বসানো হয়েছে। কিন্তু ইজারাদারা কত টাকা দিবে? তা বলা হয়নি। এছাড়া আমাদের বিরম্নদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, সেসব মিথ্যা অভিযোগ।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে অভিযোগ দিলে তিনি ইউএনও স্যারকে তদন্ত্মের নির্দেশ দেন। পরে ইউএনও স্যার আমাকে তদন্ত্ম করতে বলেন। এসব বিষয়ে তদন্ত্ম প্রতিবেদনের প্রক্রিয়া চলছে।#

        



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই