তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় স্বামীর পরকীয়া বাঁধা ও যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা

ভালুকায় স্বামীর পরকীয়া বাঁধা ও যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা
[ভালুকা ডট কম : ১৪ অক্টোবর]
মঙ্গলবার দুপুরে ভালুকা উপজেলার রান্দিয়া গ্রামে স্বামীর পরকীয়ায় বাঁধা দেয়া ও যৌতুক না দেয়ায় স্ত্রীকে তার স্বামী,শ্বশুর,নোনাস ও দেবররা মারধর করে মুখের দাঁত ফেলে দেয়া,জিহবায় কাটা কোম্পাস ঢুকিয়ে দেয়া ও পায়ের রগ কেটে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত জান্নাত বর্তমানে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় আহত জান্নাত আক্তার বাদী হয়ে ৬জনের নাম উল্লেখ করে ভালুকা মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে জানাযায়, গত দেড়বছর পূর্বে উপজেলার পুরুড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর জব্বারের মেয়ে জান্নাত আক্তার পাশের রান্দিয়া গ্রামের মেহের আলীর ছেলে সাঈদ আহম্মেদ জজের সাথে প্রেম করে বিয়ে হয়। বিয়ের পর মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে জান্নাতের বাবা কয়েক দাপে ২লাখ টাকা যৌতুক দেন।  এছাড়াও ১লাখ ২০হাজার টাকার স্বর্ণাংকার দেন। বিয়ের পর জজ ও জান্নাত দম্পতি পাশ্ববর্তী গাজীপুর জেলার জয়নাবাজার এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে দু’জন দুই পোষাক কারখানায় চাকুরি করতো। বিয়ের পর থেকে জজ ফেইস বুকে বিভিন্ন মেয়ে দের সাথে চেট ও মোবাইল ফোনে কথা বলার কারণে স্বামী স্ত্রীর মাঝে প্রায় সময় ঝগড়া হতো। গত ১০ আগস্ট জজ তার স্ত্রীর কাছে ৩লাখ টাকা যৌতুক চাইলে সেই টাকা দিতে অস্বীকার করলে জজ তার স্ত্রীকে বেদম মারপিট করে। এ সময় জান্নাতের বাড়ির লোকজন খবর পেয়ে সেখান থেকে জান্নাতকে তার বাপের বাড়িতে নিয়ে আসেন। ওই ঘটনায় জান্নাত ভালুকা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে।

গত কয়েক দিন যাবত জজ তার স্ত্রীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলা শুরু করে। জজ তার স্ত্রী জান্নাতকে আশ্বাস দিলে তিনি বাড়ির লোকজনকে না জানিয়ে গোপনে গত মঙ্গলবার(১৩সেপ্টেম্বর) তাদের স্বামীর বাড়িতে চলে যায়। জান্নাত বাড়িতে ঢুকার ঘন্টা খানেক পর তার স্বামী ঘরে ঢুকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঝাপটে ধরে মারধর শুরু করে, এ সময় জান্নাতের নোনাস লাইলী বেগম,তার স্বামী হানিফ মিয়া, শ্বশুর মেহের আলী,দেবর আতা ও রাকিব এক সাথে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন শুরু করে। ঘটনার সময় লাইলী বেগমের হাতে থাকা রুটি বানানোর বেলাইন দিয়ে জান্নাতের মুখে আঘাত করে তার ডান পাটির একটি দাঁত ভেঙ্গে পড়ে যায়। তার স্বামী কাটা কোম্পাস দিয়ে তার জিহবা ফুটু করে ফেলে। তাঁর শ্বশুর মেহের আলী ব্লেড দিয়ে জান্নাতে ডান পায়ে রগ কেটে ফেলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। জান্নাতকে মারধর করে আহত করে বাড়িতে আটকে রাখে। সন্ধ্যায় জান্নাতের পরিবারের লোকজন খোঁজ পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহযোগীতায় সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

দেবর রাকিব জানান, আমার ভাই প্রেম করে বিয়ে করছে। তাদের মাঝে বিভিন্ন সময় ঝগড়া হতো। আমার ভাই কোনো যৌতুন নেয়নি ও চায়নি। আহত  ও রক্তাক্ত অবস্থায়  ভাবি সকালে আমাদের বাড়িতে আসে।

এস,আই আব্দুল লতিফ জানান, অভিযোগ পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গেলে বাড়ি লোকজন কাউকেই পাইনি। আশপাশের লোকজনের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই