তারিখ : ২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

করোনাকালে দেশে ১১৭টি পোশাক কারখানা বন্ধ

করোনাকালে দেশে ১১৭টি পোশাক কারখানা বন্ধ ,৪৪ হাজার শ্রমিক হারিয়েছে কাজ
[ভালুকা ডট কম : ১৭ অক্টোবর]
করোনা পরিস্থিতির কারণে বিশ্বব্যাপী পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় দেশের অন্তত: ১১৭টি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হওয়ায় এসব কারখানার ৪৪ হাজার শ্রমিক কাজ হারিয়েছে।

শ্রম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডিআইএফই) অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ডিআইএফইর হিসাবে, গার্মেন্টস কারখানা সবচেয়ে বেশি বন্ধ হয়েছে ঢাকায়- ৪১টি। এছাড়া গাজীপুরে ২৫টি, নারায়ণগঞ্জে ১১টি, চট্টগ্রামে ২৪টি, ময়মনসিংহে ১৩টি, কুমিল্লায় ১টি এবং নরসিংদীতে ২টি কারখানা বন্ধ হয়েছে।তবে, তৈরি পোশাক শিল্পমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ'র হিসাবে, তাদের সদস্যভুক্ত ৩০০ কারখানা বন্ধ হয়েছে। বিকেএমইএ'র সাবেক সহসভাপতি ফজলে শামীম এহসান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বন্ধ হওয়া কারখানা মূলত সাবকন্ট্রাক্ট ভিত্তিতে কাজ করা এবং স্বল্প মূলধনের।

এ প্রসঙ্গে টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি আবুল হোসাইন বলেন, করোনার কারনে তৈরি পোশাক শিল্পে কারখানা বন্ধ ও শ্রমিক চাকরিচ্যুত হবার যে পরিসংখ্যান ডিআইএফই বা বিজিএমইএ  বলেছে বাস্তবে তার সংখ্যা এর চেয়েও বেশী। কারণ, যে সব কারখানা শিল্প মালিকদের সংগঠনভুক্ত নয় তাদের কতটি বন্ধ হয়ে গেছে তার পরিসংখ্যান সরকার রাখে না।

আবুল হোসাইন ক্ষোভের সাথে জানান, করোনা পরিস্থিতে কারখানা মালিককে সরকার আর্থিক প্রনোদনা দিলেও শ্রমিকদের জন্য সেরকম কিছুই করেনি। উল্টো তাদের বেতন কর্তন করতে মালিকদের সমর্থন দিয়েছে সরকার। তাছাড়া কর্মহীন মানুষদের আর্থিক সাহায়তা ও জরুরী খাদ্য সহায়তা দেবার দাবি করলেও পোশাক শ্রমিকদের তা দেওয়া হয় নি।

দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক। মোট রপ্তানির প্রায় ৮৪ শতাংশই আসে এ খাত থেকে। আবার রপ্তানির প্রায় ৮০ শতাংশই যায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৮টি দেশ ও উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে।বিজিএমইএর হিসাবে, করোনার কারণে তাদের প্রায় সোয়া ৩০০ কোটি ডলারের রপ্তানি আদেশ বাতিল বা স্থগিত হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কয়েক ধাপে এ খাতের জন্য প্রণোদনা হিসাবে সরকার ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ সহায়তা দিয়েছে।

তবে বর্তমানে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় অনেক কারখানাই ফের পুরোদমে কাজ করছে। গত জুন থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানি আদেশ বাড়ছে। সর্বশেষ জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি প্রায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে।

তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকগণ জানিয়েছেন, আগামী দুই মাসেও ভালো রপ্তানির সম্ভাবনা দেখছেন তারা। অপেক্ষাকৃত কম দামের পোশাকের চাহিদা বাড়ায় এই সুযোগ নিতে পারছে বাংলাদেশ। ক্রয়াদেশ বাড়তে থাকায় শুরুতে কিছু শ্রমিক ছাঁটাই করলেও নতুন করে ফের শ্রমিক চাইছেন তারা। তবে, বিদেশি ক্রেতারা পোশাকের দর কমিয়ে দিচ্ছে বলেও তারা জানিয়েছেন।

করোনা সংক্রমণে বাজার পড়ে যাবার অজুহাত দেখিয়ে ব্রান্ড কোম্পানিগুলো তৈরি পোশাকের দর গড়ে ১২ শতাংশ কমিয়ে ক্রয় করতে চাচ্ছে। এছাড়াও পাওনা পরিশোধে বিলম্ব করছে। যুক্তরাষ্ট্রের ষ্টেট ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর গ্লোবাল ওয়ার্কার্স রাইটস তাদের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চলতি বছরের প্রথম আট মাস জানুয়ারি-আগস্টে বাংলাদেশের রপ্তানি কমেছে সাড়ে ১৪ শতাংশ। তবে চীনের পোশাক রপ্তানি কমে প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছে। ভারত ও মেক্সিকোর কমেছে এক-তৃতীয়াংশ। ইন্দোনেশিয়ার কমেছে ২১ শতাংশের কাছাকাছি। সেই হিসাবে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই