বিস্তারিত বিষয়
ভালুকায় ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রত্যাশী বেলাল ফকির
ভালুকার হবিরবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সমাজ সেবক বেলাল ফকির
[ভালুকা ডট কম : ২৩ অক্টোবর]
সাহায্য, সহযোগিতা, দান ক্ষয়রাত ও ভিক্ষা নেয়ার ফকির নয় অসহায় মানুষদের পাশে থেকে সব সময় সাহায্য সহযোগিতা করে আসছে যিনি ফকির ভাই, ফকির চাচা, ফকির সাহেব হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছেন তিনি হচ্ছেন ভালুকা উপজেলার কাশর গ্রামের সমাজ সেবক হাজী বেলাল ফকির। তার রাজনৈতিক কোন পদ পদবী না থাকলেও মানব সেবার সর্বক্ষন রয়েছেন তিনি নিয়োজিত । তিনি আসন্ন ১০নং হবিরবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে লিফলেট,ব্যানার ও ফেইসষ্টুন,ছাপিয়ে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন,হাটবাজার,দোকান পাঠ ,পাড়া মহল্লা আনাচে কানাচে ।
জনা যায়, ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের কাশর গ্রামের সম্ভাভ্র মুসলিম পরিবারে ১৯৬৭ সালে সমাজ সেবক হাজী বেলাল ফকির জন্ম গ্রহণ করেন। মরহুম সুলতান ফকিরের ৭ ছেলে ২ মেয়ের মাঝে বেলাল ফকির ছেলেদের মাঝে সবার বড়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ারার সময় খেলা দোলা গান বাজনা ও গরিব দুঃখি মানুষের দুঃখ দেখে তিনি ছোট বেলা থেকে নিজে কিছু করবেন বলে স্কুল থেকে চলে আসেন।
বেলাল ফকির ছোট বেলা থেকে সে ছিল উদার মনের মানুষ কোন গরিব তাদের বাড়ীতে সাহায্য নিতে আসলে অনেক সময় সে বাবা মায়ের আড়ালে চুরি করে চাউল, টাকা দিয়ে দিতেন। এর জন্য তার বাবার মারও খেতে হয়েছে বহুবার। তিনি বন্ধু বান্ধবের সাথে আড্ডা, খেলা দোলা ও গান বাজনা করে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত কাটিয়ে দেন। তার বাড়ী থেকে গরীব মানুষেরা ভাতের মার ও আটা নিয়ে রান্না করে তা খেতে দেখে অনেক কষ্ট হয় তখন থেকে গরীব দুঃখি ও সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে ২০০০ সালে বাবার কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা নিয়ে বেলাল এন্টারপ্রাইজ নামে উপজেলার কাশর বাজারে ঠিকাদারী ব্যবসা শুরু করেন। ঠিকাদারী ব্যবসায় প্রথমে ১০ জন কর্মচারী নিয়ে ব্যবসা শুরু করে বর্তমানে শতাধিক কর্মচারী রয়েছেন। তার ঠিকাদারী ব্যবসায় প্রথমে বিভিন্ন ফ্যাক্টরীতে ইট, বালি, কাঠ, বাশ ছাপ্লাই দেওয়ার কাজ শুরু করেন। মালামাল সাপ্লাই দিতে গিয়ে ফ্যাক্টরির মালিক, ম্যানেজার ওদের সাথে দেখা করতে গিয়ে ২/৩ দিন ঘুরতে হয়েছে। ব্যবসার প্রথমদিকে গাড়ীর দ্বাধন এর কথা বলে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ব্যাটপারের চক্র মেরে দেন। ফ্যাক্টরিতে মালামাল সরবরাহ করতে গিয়ে দারোয়ান থেকে ম্যানেজার ও স্থানীয় বখাটেদের কমবেশ ২শ থেকে ১ হাজার পর্যন্ত প্রথম দিকে চাঁদা দিতে হয়েছে এবং ফ্যাক্টরি সঠিক সময়ে বিল পরিশোধ না করায় অনেক কষ্ঠ করতে হয়েছে। অত্যান্ত শু-কৌশলে চাঁদাবাজদের ম্যানেজ করে ওই চাঁদাবাজি তিনি বন্ধ করেন। ওই সময় অনেক দুর্ভোগ পেরিয়ে ধার দেনা করে ব্যবসা শুরু করে ২০০২ সালে আয়ের মুখ দেখতে শুরু করেন। তার ঠিকাদারি ব্যবসার প্রথম দিকে ব্যাটপারের চক্র পড়ে বিশাল লোকসান দিয়ে তার সততা, কঠোর পরিশ্রম ও মেধা দিয়ে ঘুরে দাড়িয়ে লাভের মুখ দেখেন। ওই ব্যবসায় আস্তে আস্তে প্রতিষ্ঠিত হয়ে পাশা পাশি শুরু করেন জমি ক্রয় বিক্রয়ের ব্যবসা।
ভালুকা উপজেলা শিল্প এলাকা হিসাবে পরিচিতি পাওয়ায় এখানে অনেক শিল্পপ্রতিরা শিল্পপ্রতিঠানের জন্য জমি কিনতে এসে দালালদের খপ্পরে পড়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হারান। লোকজন এসে তাকে বলেন জমি কিনে দিতে এলাকার উন্নয়ন ও জমি কেনা বেচা লাভজন হওয়ায় সে জমির ব্যবসা শুরু করেন। ভালুকা রেজিস্ট্রী অফিস থেকে শুরু করে ভূমি অফিসে রয়েছে অসংখ্য দালাল। ঠিকাদারী ব্যবসায় দালাল চক্রের খপ্পরে পরার ঘটনা থেকে শিক্ষনীয় বিষয়াদি সে জমি রেজিস্ট্রী ও ভূমি অফিসে নামজারী করার কৌশল অবলম্ভন করে সফলতা অজ্যন করেন।
বেলাল ফকিরের ব্যবসার সততা দেখে হাজী মকবুল হোসেনকে ১শ বিঘা ও নারায়গঞ্জের শফিউদ্দিন আহাম্মেদ বাদলকে শ্রীপুর উপজেলার বাশবাড়ীতে ১শ বিঘা ও তার বড় ভাই শাহজাহানকে উপজেলার কাচিনা গ্রামে ৬০ বিঘা জমি ক্রয় করে দিতে বলেন সে তাদের কথা মত সকল জামেলা সামলে জমি ক্রয় করে দিলে তখন তাকে নির্মাণ কাজসহ যাবতীয় কাজ কর্ম পরিচালনা করে দেওয়ার দায়িত্বদেন। স্কয়ার গ্রুপ ও আরিফ কম্পোজিট এর কাছে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ৭০ বিঘা জমি বিক্রি করেন।
কোম্পানী যাতে দালালদের জামেলায় না পড়ে এর জন্য সে নিজে টাকা বিনিয়োগ করে জমি প্রথমে তার নামে রেজিস্ট্রী বায়না করে জমির সকল কাগজ পত্র সঠিক ও দখল নিষ্কন্ঠক করে কোম্পানী বরাবরে সাফ কবলা দলিল রেজিস্ট্রী করিয়েদেন। এতে কোম্পানী তার কাজে খুশি হয়ে প্রতি বিঘা জমিতে মূল্যের উপরে ২% হারে টাকা দিয়ে থাকেন।
বেলাল ফকির ছোট বেলা থেকে উদার মনের মানুষ ছিলেন নিজের সুখের কথা না ভেবে তিনি অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করতেন। মানুষের দুঃখ দুর্দশা দেখে নিজেকে সামলাতে না পেরে তিনি মনে মনে চিন্তা করলেন সাধারণ মানুষের পাশে সাড়া জীবন থাকবেন।
ব্যবসায় লাভবান হয়ে ২০০২ সালে ঈদুল ফিতরে ১ লক্ষ টাকার চাউল, সেমাই, চিনি ক্রয় করে ৫শত গরিব দুঃখিদের মাঝে বিতরণ করেন। এরপর থেকে প্রায় দেড় যুব যাবৎ অসহায় মানুষদের থাকার ব্যবস্থা ও ঈদ উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ টাকার জামা কাপড় সেমাই চিনি বিতরণ করে আসছেন।
বন্যার্থদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী দেশের বিভিন্ন স্থানে বিতরণ করে দানভীর হিসাবে রয়েছে তার আর এক পরিচিতি। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে স্থায়ী ১৯৯৮ সালের বন্যায় যখন সারা দেশ ভাসছে। তখন বেলাল ফকির তার মায়ের জমানো টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ভালুকা, শ্রীপুর ও সখিপুরের বিভিন্ন জায়গায় বন্যার্থদের মাঝে চিরা, মুড়ি, গুড় ও স্যালাইন বিতরণ করেন। ২০০৮ সালের বন্যায় জামালপুরের বন্যার্থদের মাঝে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার শুকনো খাবার কিনে বিতরণ করেন। তাছাড়া ২০১৮ সাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যার্থদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন। ২০১৯ সালে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, বকশিগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের কালিহাতি বর্নার্থদের মাঝে ১৬ টন চাউল, ৪ কেজি চিড়া ও ১০০ কেজি মুড়ি বিতরণ করেন।
২০১৭ সালের ১ মে রাতে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের কাশর গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শিলা বৃষ্টির সময় বেলাল ফকির তার বাড়ীর পাশে মসজিদে অবস্থান করছিলেন। ওই শিলা বৃষ্টিতে প্রায় ৪ হাজার বাড়ী ঘর বিদ্ধস্ত হয়। বৃষ্টি থামার পর তিনি নিজ এলাকার বাড়ীঘরের অবস্থা ও অসহায় মানুষের আহাজারি দেখে ওই দিন রাত থেকে পরের দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রাক ভরে চিরা মুড়ি ক্রয় করে ৬/৭ হাজার লোকের মাঝে বিতরণ করেন।
ওই সময় অসহায় মানুষদের পাশে এগিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দেন শিল্প অঞ্চল ক্ষেত হবিরবাড়ী ইউনিয়নের মাঝে অবস্থিত প্রায় শতাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক ও প্রতিনিধিরা ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিলেও কেউ এগিয়ে আসেনি ওই সময় ৫৪ বছর বয়স্ক ব্যাক্তি বেলাল ফকির পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ১৭০ শতাংশ জমি ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা বিক্রি করে ঢেউটিন কিনে অসহায়দের মাঝে বিতরণ করেন। ওই বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পিন্টু, ইউ.পি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহাম্মেদ বাচ্চু সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। বেলাল ফকির জানান ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা বিতরণের পরও অসহায় মানুষ আমার বাড়ীতে এসে ভিড় জমালে পুনরায় ২০১৭ সালের ১০ মে আরও ২ বিঘা জমি বিক্রি করে নিঃস্বার্থে অসহায়দের মাঝে তা বিতরণ করি।
পার্শবর্তী শ্রীপুর উপজেলার বাশবাড়ী মসজিদ, জৈনা বাজার মসজিদ ও ভালুকা উপজেলার বড়কাশর জামে মসজিদ, ডুবালিয়া পাড়া মসজিদসহ প্রায় শতাধিক মসজিদে ২০০৭ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনুদান দিয়েছেন। বেলাল ফকিরের মসজিদে অনুদানের টাকা মসজিদ নির্মাণ ও মেরামত বাবদ খরচ হয়। এছাড়াও তার বাড়ীর পাশে কাশর মধ্যপাড়া মসজিদটি নিজে করে দিয়েছেন।
বেলাল ফকির জানান মায়ানমারের নির্যাতিত রহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসারপর রহিঙ্গাদের দুঃখ দুর্দশা খবরে দেখে নিজেকে সামলে রাখতে পারিনি। আমি নিজে ট্রাকে করে চাউল নিয়ে রহিঙ্গা শিবিরে ছুটে চলে যায়। সে সময় আমাকে টেনে হেচরে নিয়ে যাওয়ার অবস্থা হয়েছিল।
বেলাল ফকির পরিবেশ রক্ষায় রয়েছে তার ব্যপক উদ্যোগ, বর্তমানে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় তিনি নিয়েছে নানা মুখী পদক্ষেপ। ২০১০ সালে তার নিজস্ব কর্মচারী, আত্মীয় স্বজন, প্রতিবেশি ও অসহায়দের মাঝে ৫শতাধিক আম, জাম, কাঠাল, লিচুসহ ফলজ ও মেহগনি, করই বনজবৃক্ষ ও আমলক্ষি, হরতকি, নিম ঔষধিগাছের চারা বিতরণ করেন। ওই গাছ গুলি তাদের বাড়ীর আঙ্গিনায় লাগিয়েছেন। গাছ গুলোর পরিচর্যা তারা নিজেরাই করেন এবং তিনি প্রতি বছর কমপক্ষে ৫০/৬০ টি ফলজ ও বনজবৃক্ষ তার কর্মচারীদের কে নিয়ে নিজে উপস্থিত থেকে রাস্তার পাশে রূপন করেন,প্রতি বছর স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিম খানা, রাস্তার পাশে, বাড়ীর আঙ্গিনায় ফলজ, বনজ ও ঔষদি গাছ সহ নানা প্রকার গাছ রোপনে এলাকার সাধারণ মানুষদের মাঝে গড়ে তুলেছেন জনসচেতনা পাশা পাশি তিনি নিজে বৃক্ষরোপন করে এ উদ্দিপনাকে আরো বহুগুণে মানুষের মাঝে সাড়া জাগিয়েছেন।
বেলাল ফকির সামাজ থেকে মাদক নির্মলে রয়েছে তার বিশেষ অবদান। এলাকার যুব সমাজ কে মাদক থেকে দূরে থাকার জন্য তিনি ২০১৫ সালে কাশর হাই স্কুল মাঠে ক্রিকেট খেলার আয়োজন করেন। ওই খেলায় পার্শবর্তী শ্রীপুর উপজেলা সহ ১৫ টি দল অংশ গ্রহন করেন। ক্রিকেট খেলার নানা সামগ্রী ও ট্রপিসহ প্রায় ২ লক্ষ টাকা খরচ হয় যা তিনি নিজে বহন করেন। এরপর থেকে প্রতিবছর যুব সমাজের মাঝে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খেলার সামগ্রী বিতরণ করেন। ২০১৮ সালে বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা সফল ভাবে পরিচালনা করার জন্য উপজেলার রাজৈ ইউনিয়নে জামিরাপাড়া এস এম উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করেন। মাদক কে না বলুন সুস্থ্য সুন্দর সামাজ গড়ুন এই স্লোগান কে বাস্তবে রূপান্তরিত করার লক্ষে প্রতি নিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। আক্ষেপ করে তিনি বলেন আমার কাছে ছেলে মেয়েরা খেলার সামগ্রী কিনার জন্য আসলে কাউকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেইনি তারপরও যুবসমাজ মাদকের ছুবলে পড়ে ধংশ হয়ে যাচ্ছে যা আমার খুবই কষ্ট হয়।
প্রতিদিন সকালবেলা তার বাড়িতে ভিড় জমায় অসহায়রা কেউ আসে মেয়ের বিয়েতে সাহায্যের জন্য, কেউ আসে সন্তানের লেখাপড়ার খরচ বা চিকিৎসার জন্য ঔষুধ অথবা দুধের টাকার জন্য। বেলাল ফকিরের বাড়ী উপজেলা সদর থেকে ১৪ কিঃমিঃ দক্ষিন পশ্চিমে কাশর গ্রামে বহুতল ভবনের চার পাশে রয়েছে আম, জাম, কাঠাল, লিচু, পেয়ারা সহ বিভিন্ন প্রজাতির ঔষুধি ফলজ ও বনজ বৃক্ষের পরিবেশ বান্ধব গাছপালা।
বেকার যুবক যুবতীদের বিভিন্ন মিল ফ্যাক্টরীতে চাকুরীর ব্যবস্থা করে যাচ্ছেন বিনা স্বার্থে। তার উদ্যেশ্য মানব সেবা। ভালুকা উপজেলা বর্তমানে শিল্পঅঞ্চল হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চাকুরির জন্য এসে দালাল বাটপারদের খপ্পরে পড়ে অনেকে হয়রানির শিকার হন। সে সময় এলাকার লোকজন বেলাল ফকিরের কাছে পাঠালে তিনি বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে যোগাযোগ করে চাকুরির ব্যবস্থা করে দেন। এ পর্যন্ত ২/৩ হাজার ছেলে মেয়েকে শ্রমিকপদ থেকে শুরু করে ম্যানেজার পদে চাকুরী দিয়েছেন।
এলাকার যুব সমাজ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে অনুদানের জন্য ছোটে যান দানভীর বেলাল ফকিরের কাছে এবং মসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ধর্মসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের লোকজন তার কাছে আর্থিক সাহায্যের জন্য ছোটে যান। দানভীর বেলাল ফকির সকল অনুষ্ঠানে কম বেশ আর্থিক সহযোগিতা করে থাকেন। ভালুকা উপজেলার দানভীর হিসাবে বেলাল ফকিরের বিশেষ পরিচিতি থাকায় রাজনৈতিক সভা ও সমাবেশ করার জন্য নেতা কর্মীরা সহযোগিতার জন্য এলে তিনি তাদের খালি হাতে ফিরে দেয়নি।
বেলাল ফকির শীতকালিন সময়ে গরিব দুঃখি মানুষদের মাঝে উপজেলার হবিরবাড়ী, রাজৈ, ভালুকা, কাচিনা, ডাকাতিয়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ২০০৯ সাল থেকে প্রতি বৎসর কম্বল, শাল, জ্যাকেটসহ শীত বস্ত্র বিতরণ করে থাকেন। ২০১৮ সালে উত্তরবঙ্গের পঞ্চগড়ে শীত বস্ত্র বিতরণ করেন। তিনি গরীব দুঃখি মানুষের শীতের কষ্টের কথা চিন্তা করে প্রতি বৎসর শীত বস্ত্র বিতরণ করে থাকেন। শীত বস্ত্র বিতরণের সময় কোন ঝামেলায় পড়েন নাই। অসহায় মানুষ লাইনে দাড়িয়ে শীত বস্ত্র গ্রহণ করেন।
বেলাল ফকির শারিক অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন আমি হার্ডের রোগি, অসুস্থ্য অবস্থায় আমি ২০১১ সালে হজ্ব করতে গিয়ে কাবাশরিফে শপথ করেছি আল্লাহ যাতে আমাকে নেক হায়াত দেন মানুষের সেবা করার জন্য। ২০১৩ সালে আমি ভারতে গিয়ে হার্ডের ২টি রিং ভরে এসেছি। এরপর থেকে আমি আরও বেশি দান করে আসছি। শারিক ভাবে এখন কিছুটা সুস্থ্য আছি।
বেলাল ফকিরের বড় স্ত্রী জাহানারা খাতুন (৪০), বড় মেয়ে দিরোবা খাতুন (২২) বিবাহিত, ছোট মেয়ে জিন্নাত আরা (১৫) মাইনষ্টোন, ঢাকা উত্তরায় লেখা পড়া করেন, ছোট স্ত্রী উম্মে কুলছুম (৩৫), বড় মেয়ে ছোরাইয়া মিমি (১৩), ছোট মেয়ে জান্নতুল নেসা মৌ (১০) উপজেলার হবিরবাড়ী শাহীন ক্যাডেট স্কুলে ৪র্থ শ্রেনীতে পড়ে।
বেলাল ফকিরের বড় স্ত্রী জাহানারা খাতুন বলেন তাকে অনেক নিষেধ করেছি সন্তানের কথা চিন্তা না করে জমি বিক্রি করে অসহায়দের মাঝে বিলিয়ে দিচ্ছেন। এখন আর কোন বাঁধা দেই না। আমরা দুই স্ত্রী আলাদা আলাদা বাড়ীতে বসবাস করি। আমার স্বামীকে ছেলে সন্তানের জন্য আর একটি বিয়ে করিয়ে দিয়েছি। ছোট স্ত্রী উম্মে কুলছুম বলেন দুই সতিনের মাঝে অনেক সময় জগড়া থাকে আমাদের মাঝে কোন জগড়া নেই। আমরা উভয়ের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে।
হাজী মোহাম্মদ বেলাল ফকির একান্ত সাক্ষাৎ কারে তিনি বলেন আমি যখন পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে জমি বিক্রি করে অসহায়দের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই তখন আমার বাবা, ভাই, বোন, স্ত্রী পরিবারের লোকজন অনেক বাঁধা দেয়। এমনকি বাবার হাতের মার পর্যন্ত খেতে হয়েছে। আমি মানুষের কষ্ট দেখে ঠিক থাকতে পারিনা। আমি ঠিকাদারি ও জমি ক্রয় বিক্রয়ের ব্যবসা করি আমার কোন ছেলে সন্তান নেই, চারটি মেয়ে রয়েছে এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি ও তিন মেয়ে লেখাপড়া করছে। আমার ব্যবসায় যে, লাভ হয় তার ৫০% টাকা গরিব দুখী ও অসহায়দের মাঝে বিতরণ করে থাকি আর ২৫% আত্নীয় স্বজন ঘনাগোষ্ঠীদের মাঝে ও ২৫% দিয়ে আমার সংসার খরচ চালাই। মানুষের দুঃখ দূরদর্শা দেখে আমি নিজেকে সামলাতে পারিনা। তক্ষনি তাদের পাশে দাড়াতে চেষ্ঠা করি। আমি যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন মানব সেবা করে যাব ইনশাল্লাহ্ ।
তিনি আরও বলেন কাশর বাজারে ১৪ শতাংশ জমি ক্রয় করেছি প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ লোকেরা এখানে এসে যাতে আশ্রয় গ্রহণ করতে পারেন সেজন্য ঘর নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।তিনি আরো বলেন,জননেত্রী মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশে আমি কোভিট-১৯ মহামারি অবস্থায় গরীব অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করি এবং দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতি ঈদ ও পূজায় অসহায় পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করে ইউনিয়ন বাসীকে বিভিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছি দল আমাকে মনোনয়ন দিলে জনগনের সমর্থনে চেয়াম্যান নির্বাচিত হবো ইনশাআল্লাহ।#
সতর্কীকরণ
সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।
কমেন্ট
ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- ভালুকায় মুজিব নগর দিবস উদ্যাপন [ প্রকাশকাল : ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ১২.৩০ অপরাহ্ন]
- ভালুকায় পানির স্তর নীচে,খাবার পানি সংকট [ প্রকাশকাল : ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ০১.৩০ অপরাহ্ন]
- ভালুকায় বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে শোভাযাত্রা [ প্রকাশকাল : ১৪ এপ্রিল ২০২৪ ০৬.০০ অপরাহ্ন]
- ভালুকায় সংসদ সদস্যর জন্মদিন পালন [ প্রকাশকাল : ১৪ এপ্রিল ২০২৪ ১২.৩০ পুর্বাহ্ন]
- ভালুকায় বিরোধের জেরে সীমাণা প্রাচীর ভাঙচুর [ প্রকাশকাল : ০৪ এপ্রিল ২০২৪ ১২.২০ অপরাহ্ন]
- ভালুকায় যুবদল সভাপতির ইফতার মাহফিল [ প্রকাশকাল : ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ১২.২০ অপরাহ্ন]
- ভালুকার কাচিনায় ঈদ উপহার দিলেন রফিক [ প্রকাশকাল : ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ১২.১৫ অপরাহ্ন]
- ভালুকায় ঈদ সামগ্রী বিতরণ হাতেম খানের [ প্রকাশকাল : ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ১২.১০ অপরাহ্ন]
- ভালুকায় হাতেম খানের ঈদ সামগ্রী বিতরণ [ প্রকাশকাল : ০২ এপ্রিল ২০২৪ ১২.১০ অপরাহ্ন]
- ভালুকার আশকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি রিপন [ প্রকাশকাল : ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ১২.০০ অপরাহ্ন]
- ভালুকায় হাজী রফিকের ঈদ সামগ্রী বিতরণ [ প্রকাশকাল : ০২ এপ্রিল ২০২৪ ১২.০০ অপরাহ্ন]
- ভালুকায় ঈদ উপহার দিলেন হাজী রফিক [ প্রকাশকাল : ০১ এপ্রিল ২০২৪ ০১.১০ অপরাহ্ন]
- ভালুকায় বেলাল ফকিরের ঈদ সামগ্রী বিতরণ [ প্রকাশকাল : ০১ এপ্রিল ২০২৪ ০১.০০ অপরাহ্ন]
- ভালুকায় এইচ.বি.বি ১৪টি রাস্তার উদ্বোধন [ প্রকাশকাল : ২৯ মার্চ ২০২৪ ১২.০০ অপরাহ্ন]
- ভালুকায় এমপির ইফতার বিতরণ [ প্রকাশকাল : ২৭ মার্চ ২০২৪ ০৫.১০ অপরাহ্ন]