তারিখ : ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাণীনগরে একের পর এক বাল্য বিয়ে,প্রশাসন নীরব

রাণীনগরে একের পর এক সম্পন্ন হচ্ছে বাল্য বিয়ে,প্রশাসন নীরব
[ভালুকা ডট কম : ০৫ নভেম্বর]
নওগাঁর রাণীনগরে দিন দিন বেড়েই চলেছে বাল্য বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা। এতে করে স্থায়ী ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে বর ও কনে উভয় পক্ষই। আর এই সব বাল্য বিয়ে সম্পন্ন করছে এক কথিত অবৈধ কাজী বেলাল হোসাইন। মহামান্য হাইকোর্ট কাজী বেলালের নিয়োগ অবৈধ মর্মে তার সকল প্রকার কর্মকান্ড নিষিদ্ধ ঘোষনা করে এক আদেশ প্রদান করে। তারপরও সে কিভাবে এই ধরনের অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে সরকারের তালিকা ভ’ক্ত ৮জন নিকাহ রেজিস্ট্রার থাকলেও কাজী বেলাল বছরের পর বছর অবৈধ ভাবে বাল্য বিয়ে দেওয়া, ভূয়া কাবিন নামা, তালাক নামা প্রদান করে আসছে। বৈধ নিকাহ রেজিস্ট্রারদের সরনাপন্ন হয়ে যখন কেউ অবৈধ বিয়ের কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারে না তখন ওই সব মানুষরা কাজী বেলালের সঙ্গে আতাত করলে কাজী বেলাল মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে এই সব অবৈধ কাজগুলো ভূয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে সম্পন্ন করে দেয়।

সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি কাজী বেলাল একটি বাল্য বিয়ে রেজিস্ট্রির কাজ সম্পন্ন করেছে। উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের বজলুর রহমানের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে মিতু পারভীনের বিয়ের বয়স না হলেও কাজী বেলাল সেই বিয়ে সম্পন্ন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ইউনিয়নের জন্য সরকারের তালিকাভ’ক্ত কাজী থাকা সত্ত্বেও কাজী বেলাল এই ইউনিয়নে কিভাবে বিয়ে সংক্রান্ত কাজ করে আসছে তা জানার বাহিরে। মিতুর জন্ম সনদ অনুসারে তার জন্ম ২০০৪সালের মার্চের ১৬তারিখ। সে অনুসারে তার বর্তমান বয়স ১৬বছর ৭মাস ৯দিন (বিয়ে পর্যন্ত)। বাবা-মা গরীব বলে গত নভেম্বর মাসের ২৫তারিখে পাশের সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম নামের এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। আর এই বিয়ের রেজিস্ট্রারের সকল কাজ সম্পন্ন করেন কাজী বেলাল হোসেন। এভাবে কাজী বেলাল প্রতিনিয়তই উপজেলা এমনকি উপজেলার বাহিরে গিয়েও গোপনে বাল্য বিয়ে রেজিস্ট্রি করাসহ বিয়ে সংক্রান্ত বিভিন্ন অবৈধ কর্মকান্ডগুলো চালিয়ে আসছে। বেলাল প্রশাসনকে ম্যানেজ করার কারণে এই বিষয়গুলো জানার পরও প্রশাসন নীরব ভ’মিকা পালন করছে বলে সচেতন মহলের দাবী।

কাশিমপুর ইউনিয়নের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন আমরা জানি না যে কাজী বেলাল অবৈধ নিকাহ রেজিস্ট্রার। কাজী বেলাল যে সরকারের তালিকাভূক্ত নিকাহ রেজিস্ট্রার নয় তাও আমরা জানতাম না। না জানা হিসেবে আমি কাজী বেলালকে এনে মিতুর বিয়ে রেজিস্ট্রারের কাজ সম্পন্ন করেছি। আজ জানলাম যে কাজী বেলাল ভ’য়া কাজী। এরপর থেকে কাজী বেলালকে এই অঞ্চলে বিয়ে সম্পর্কিত কোন কাজেই আর ডাকবো না।

এই বিষয়ে মন্তব্য নেওয়ার জন্য কাজী বেলালের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ কিংবা ফেরত না আসায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। (কাজী বেলালের ফোন নম্বর: ০১৭১৪৫২২৫৬৫)।

উপজেলা নিকাহ রেজিস্ট্রার ও কাজী সমিতির সভাপতি এটিএম রেজাউল করিম জানান বছরের পর বছর আমরা কাজী বেলালের সঙ্গে যুদ্ধ করে আসলেও বেলালের অর্থের মাধ্যমে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করার কাছে আমরা বার বার হেরে যাচ্ছি। বহুবার জেলার আইন-শৃঙ্খলা সেমিনারে কাজী বেলালের অবৈধ কর্মকান্ডের উপর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হলেও পরবর্তিতে সেই পদক্ষেপগুলো আর আলোর মুখ দেখে না। যার কারণে কাজী বেলাল এখনও বহাল তবিয়তে সরকারের আদেশকে অমান্য করে অবৈধ কর্মকান্ডগুলো চালিয়ে আসছে। আমরা দ্রুত কাজী বেলালের এই দৌরাত্মের সমাপ্তি চাই।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

নারী ও শিশু বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই