তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নওগাঁয় ব্রীজ নির্মাণের ৯বছরেও হয়নি সংযোগ সড়ক

নওগাঁয় ব্রীজ নির্মাণের ৯বছরেও হয়নি সংযোগ সড়ক,বাস্তবায়ন হচ্ছে না সরকারের ভিশন
[ভালুকা ডট কম : ১০ নভেম্বর]
নওগাঁয় ব্রীজ নির্মাণের ৯বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত সংযোগ সড়ক তৈরি না করায় কোটি টাকার এই সম্পদটি ব্যবহার করতে পারছেন না স্থানীয়রা। নওগাঁ শহরে যানযট কমানোর জন্য সদরের দক্ষিণ পাশ দিয়ে বাইপাস সড়ক নির্মাণের জন্য খিদিরপুর-শিয়ালাঘাট তুলসীগঙ্গা নদীর উপর এলজিইডি থেকে ১কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়।

ব্রীজ নির্মাণের ৯বছর পার হলেও ব্রীজের পশ্চিম পাশ দিয়ে নওগাঁ শহরের সুলতানপুর পর্যন্ত মাত্র দেড় কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করার উদ্যোগ না নেয়ার কারণে পরে থাকা এ ব্রীজটিতে বর্তমানে স্থানীয়রা জ্বালানী শুকানোসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করছেন। সংযোগ সড়কটি নির্মাণ করা হলে স্থানীয় খিদিরপুর, মুন্সিপাড়া, শিয়ালা, নেংরাতুলিসহ ৬টি গ্রামের প্রায় ৮হাজার মানুষের যাতায়াতের পথ সুগম হবে নওগাঁ শহরের সঙ্গে। এমন অবস্থায় দ্রুত রাস্তা নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।

জানা গেছে, আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী নওগাঁর প্রয়াত জননেতা আব্দুল জলিল নওগাঁ শহরের দক্ষিণ দিয়ে বাইপাস সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এরই অংশ হিসেবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে ১কোটি ২৪ লাখ ৩৯হাজার ৩শ ৯৪ টাকা ব্যয়ে ৩৬ মিটার ব্রীজ ২০১১সালে সদর উপজেলার খিদিরপুর-শিয়ালা ঘাট তুলসীগঙ্গা নদীর উপর নির্মাণ করা হয়। ৩০ ডিসেম্বর ২০১১সালে ব্রীজটির উদে¦াধন করেন প্রয়াত জননেতা আব্দুল জলিল। এরপর ৬মার্চ ২০১৩সালে তিনি মারা যাওয়ার ৯বছর পেরিয়ে গেলেও ব্রীজটির পশ্চিম দিকে দিয়ে নওগাঁ শহর পর্যন্ত মাত্র দেড় কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয়নি কোনও বিভাগ। ফলে প্রয়াত জননেতা আব্দুল জলিলের স্বপ্ন বাইপাস সড়ক নির্মাণ স্বপ্নই থেকে গেছে। অন্যদিকে স্থানীয়দের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

স্থানীয় নেংরাতুলি গ্রামের বাসিন্দা হেলাল খাঁন জানান, প্রয়াত জননেতা আব্দুল জলিল মারা যাওয়ায় রাস্তাটি নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদ, এলজিইডি, পৌরসভায় একাধিকবার ধর্ণা দিয়েও কোন বিভাগ এগিয়ে আসেননি। ফলে এক দেড় কিলামিটার রাস্তার জন্য ৬/৭ কিলামিটার ঘুরে নওগাঁ শহরে যেতে হয়। একদিকে সময় দেড়/দুই ঘটা বেশি  লাগে অন্য দিকে টাকাও বেশি খরচ হয়।

একই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা কুতুব সরদার, বিজয় কুমার, জাহিদুল হকসহ কয়েকজন জানান, ব্রীজের পশ্চিমে রাস্তা না থাকায় ও নদীর পশ্চিম পাশে বাঁধ না থাকায় তাদের বর্ষা মৌসুমে ধান ডুবে যায়। আবার মাঠের ধানসহ বিভিন্ন ফসল কাদা-পানির মধ্যে আনা-নেওয়া চমর দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আবার উৎপাদিত ধানসহ সবজি নওগাঁ শহরে নিয়ে যেতে অতিরিক্ত ভাড়া যেমন গুনতে হয় সময়ও বেশি লাগে। তাই দ্রুত রাস্তাটি নির্মাণের দাবি জানান তারা।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর নওগাঁর প্রকৌশলী মাকসুদুল আলম জানান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে ব্রীজটি নির্মাণ করা হলেও অধিদপ্তরের নতুন নিয়ম দুই কিলামিটারের চেয়ে কম রাস্তা নির্মাণ করা সম্ভব নয়। এছাড়া সীমানাটি নওগাঁ পৌরসভার মধ্যে পরে যার কারণে আমরা কোন উদ্যোগ নিতে পারছি না। তবে তিনিও দ্রুত যে কোন বিভাগ থেকে রাস্তাটি নির্মাণের দাবি জানান।

নওগাঁ পৌরসভার মেয়র নজমুল হক সনি জানান, ইতোমধ্যে রাস্তাটি নির্মাণের জন্য এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় জমা দেয়া হয়েছে এবং রাস্তাটি দ্রুত নির্মাণের আশ্বাস দেন পৌর মেয়র।#





 



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই