তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাণীনগরে অভিনব কায়দায় বিদ্যুতের মিটার চুরির হিড়িক

রাণীনগরে অভিনব কায়দায় বিদ্যুতের মিটার চুরির হিড়িক ॥ বিকাশের মাধ্যমে নেওয়া হচ্ছে টাকা ॥ আতঙ্কে উপজেলাবাসী
[ভালুকা ডট কম : ০৩ ডিসেম্বর]
নওগাঁর রাণীনগরে আশঙ্কাজনক হারে অভিনব কায়দায় বিদ্যুতের মিটার চুরির হিড়িক পড়েছে। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সুবিধাভুগিরা। মিটার চুরি করে সেখানে রেখে যাওয়া চিরকুটে লিখা বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে টাকা নিয়ে মিটার পুনরায় ফেরত দিচ্ছে এক শ্রেণির চোরের শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এই বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের নীরব ভ’মিকার কারণে আতঙ্কে রয়েছেন উপজেলার সুবিধাভ’গিরা। সচেতনমহল মনে করছের আইন-শৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতির কারণেই দিন দিন এই মিটার চুরির ঘটনা বেড়েই চলেছে।

উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, গত ৩মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৫টি বিদ্যুতের মিটার চুরি হয়েছে। আর প্রতিটি মিটার চুরির পর ঘটনাস্থলে বিকাশ নম্বর লিখা কাগজের একটি চিরকুট রাখা হয়। পরে ওই বিকাশ নম্বরে যোগাযোগ করে চোর সিন্ডিকেটের সদস্যরা ৩থেকে ১০হাজার টাকার বিনিময়ে আবার ওই মিটার ফেরত দিচ্ছে। চুরি যাওয়া প্রতিটি মিটারের দাম ১৪থেকে ১৮হাজার টাকা। বিশেষ করে ৩ফেজের শিল্প/সেচের মিটারগুলো বেশি চুরি হচ্ছে। গত সেপ্টেম্বর মাসের ২৮তারিখ মধ্য রাতে উপজেলা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সাংসদ আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন হেলালের অফিস থেকে ও একই রাতে মন্ডলের ব্রীজ সংলগ্ন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের উপ-কেন্দ্রের মিটারসহ ৪টি মিটার চুরি হয়। মিটার চুরির পর প্রতিটি স্থানে কাগজের চিরকুটে একটি মোবাইল নম্বর  রেখে যায় চোরেরা। এরপর গত ২নভেম্বর সাংসদ আনোয়ার হোসেন হেলালের অফিস থেকে চুরি যাওয়া মিটারের স্থানে নতুন লাগানো মিটার আবার চুরি হয়ে যায়। এতে করে উপজেলার প্রতিটি এলাকার মানুষদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। কখন যে কার মিটার চুরি হয়ে যায় এই আতঙ্কে রয়েছে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা।

উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের সহকারি জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) সাইদী সবুজ খাঁন বলেন একই রাতে ৪টি মিটার চুরির পর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী দায়ের করেছি। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের কোন জোরালো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে চিরকুটে লিখা বিকাশ নম্বর ট্যাকিং করে কিন্তু পুলিশ ওই সিন্ডিকেটের চোরদের খুঁজে বের করতে পারেন। কিন্তু পুলিশ বাহিনী কেন এমন জন গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না তা আমার জানার বাহিরে। দিন দিন মিটার চুরির এমন ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলেছে।

রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল হক বলেন আমার কাছে মিটার চুরির বিষয়ে কোন ভুক্তভ’গি লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করেনি। এমন ঘটনায় যদি কেউ লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করেন তাহলে পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও এই বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে গ্রাহকদের সচেতনত করতে হবে। শুধু গ্রাহক নয় সবাইকে সচেতন হতে হবে। তাছাড়া প্রতিটি মিটারের কাছে একজন করে পুলিশ রেখে মিটার পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়।

যদি দ্রুত এই চুরির বিষয়ে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয় তাহলে সরকার যেমন একদিকে লোকসানে পড়ছে অপরদিকে গ্রাহকেরা আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি হয়রানির শিকার হচ্ছে। তাই এই বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে সরকারকে। যারা এই কর্মকান্ডগুলো করে আসছে তারা নিশ্চয় দেশের বাহিরের কোন সিন্ডিকেট নয়। এদেরকে দ্রুত খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তর মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান সচেতন মহল।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অপরাধ জগত বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই