তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাণীনগর হাসপাতালে বেড়েছে স্বাস্থ্য সেবার মান

রাণীনগর হাসপাতালে বেড়েছে স্বাস্থ্য সেবার মান,৫০শয্যার কার্যক্রম চালুর দাবী
[ভালুকা ডট কম : ০৫ জানুয়ারী]
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছে সেবার মান। প্রতিদিনই আউটডোর থেকে প্রায় ৩শতাধিক সাধারন মানুষ সরকারি এই হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছেন। সেবার মান বৃদ্ধি হওয়ার কারণে হাসপাতালের আবাসিক শয্যাগুলো খালি পড়ে থাকে না। বর্তমানে শীতের কারণে শিশু ও বয়স্করা আবাসিকে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছেন। তবে ৫০শয্যার কার্যক্রম চালু হলে সেবার মান আরো কয়েকগুন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সারা দেশের মতো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্থায়ী কেন্দ্রে চলছে জাতীয় হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন। আগামী ৩০জানুয়ারী পর্যন্ত এই ক্যাম্পেইন চলবে। সরকারি ছুটির দিন ব্যতিত প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের কারণে উপজেলার অস্থায়ী ১৯২টি কেন্দ্রকে মোট ৫৭৬টি কেন্দ্রে ভাগ করে এই ক্যাম্পেইনের সেবা প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্র ৯মাস থেকে ১০বছর বয়সী শিশুদের হাম-রুবেলা টিকার পাশাপাশি অন্যান্য টিকাও প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ২শতাধিক অভিভাবকরা হাসপাতালে এসে তাদের শিশুকে হাম-রুবেলা টিকা দিচ্ছেন। এসময় দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে থেকে শিশুদের টিকা দেওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ার মতো। প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের মানুষরা অনেক সচেতন হওয়া ও সরকারি হাসপাতালে সেবা প্রাপ্তির একটি সুন্দর পরিবেশ ফিরে আসায় দিন দিন হাসপাতালের প্রতি সাধারন মানুষদের সেবা গ্রহণের প্রবণতা ও আস্থা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমান সরকার বড় ধরনের চিকিৎসা সেবা বাদে সাধারন সকল রোগের সেবা ও ওষুধ উপজেলা পর্যায়ে হাসপাতালের মাধ্যমে বিনামূল্যে প্রদান করছেন। যদিও এখনো হাসপাতালে কিছু চিকিৎসক ও জনবল সংকট রয়েছে তবুও সাধারন মানুষরা পূর্বের সেবার চেয়ে বর্তমান সেবা পাওয়ার বিষয়টিকে ইতবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন। তাদের দাবী আগামীতেও যেন এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে। তাহলে ঘরে ঘরে উন্নত মানের স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেওয়ার যে ভিশন রয়েছে বর্তমান সরকারের তা অনেকটাই সফলতার মুখ দেখবে বলে আশাবাদি সচেতন মহল।

হাসপাতালে সেবা নিতে আসা নূরজাহান আক্তার বলেন হাসপাতালের পরিবেশ আগের চেয়ে অনেক সুন্দর হয়েছে। প্রবেশ করতেই চোখে পড়ছে বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক রঙ্গিন বিলবোর্ডগুলো। এছাড়াও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা চোখে পড়ার মতো। আমার ছেলেকে টিকা দেওয়ার জন্য কোন ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। সেবিকারা যত্ন সহকারে টিকা দিয়েছেন।

আরেক সেবা গ্রহিতা আব্দুর রাজ্জাক বলেন আগে হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন দীর্ঘদিন যাবত অচল ছিলো কিন্তু এখন ডিজিটাল মেশিনের মাধ্যমে এক্স-রে করা হয়। এ্যাম্বুলেন্স ছিলো না এখন আধুনিক মানের এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে কিন্তু গত ২০১২সালে হাসপাতালটিকে ৫০শয্যায় উন্নিত করার লক্ষ্যে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা হলেও আজ পর্যন্ত তা জনবল সংকটের কারণে চালু না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন উপকরনগুলো। তাই হাসপাতালটি ৫০শয্যা হিসেবে পথচলা শুরু করলে সেবার মান আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আমি মনে করি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা: কেএইচএম ইফতেখারুল আলম খাঁন (অংকুর) বলেন হাসপাতালে একটি সুস্থ্য ও সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সবার সহযোগিতা নিয়ে কাজ করে আসছি। ৫০শয্যার কার্যক্রম শুরু হলে হাসপাতালে সেবার মান আরো বৃদ্ধি পাবে। তবুও আমরা সবাই কিছু সংকটকে মাথায় নিয়েও এই করোনা মহামারিতেও স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আমরা এই উপজেলার প্রতিটি ঘরে ঘরে স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেওয়ার মাধ্যমে বর্তমান সরকারের ভিশন ও মিশনকে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করে আসছি। তবে যদি এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০শয্যার কার্যক্রম চালু করা হয় তাহলে সরকারি হাসপাতালে এসে সমাজের সকল শ্রেণির মানুষদের সেবা গ্রহণের প্রবণতাটা আরো বৃদ্ধি পাবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই