তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

মদনে রাস্তা কেটে ফসলী জমি তৈরি করল প্রভাবশালীরা

মদনে রাস্তা কেটে ফসলী জমি তৈরি করল প্রভাবশালীরা  
[ভালুকা ডট কম : ০৬ জানুয়ারী]
নেত্রকোণার মদনে হাওরের ধান ঘরে তোলার রাস্তা কেটে ফসলী জমি তৈরি করল কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এ বিষয়ে এলাকাবাসী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের হাজরাগাতী মৌজায়। এ নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ একাধিকবার গ্রাম শালিসী করেও কোন সুরাহা হয়নি।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার হাজরাগাতি গ্রামের রমজান মিয়ার বাড়ি হইতে সুমেশ চন্দ্র আদিত্য এর বাড়ি হয়ে আক্কাস মিয়ার জমি পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে কৃষকগণ হাওরের বোরো ধান বাড়িতে তুলতেন। উক্ত রাস্তাটি সংস্কার না থাকায় ফসল তুলতে দূর্ভোগে পড়তে হয় কৃষকদের। ফসল ঘরে তুলার দূর্ভোগ দূর করতে গ্রামবাসী একত্র হয়ে সুমেশ চন্দ্র আদিত্য এর বাড়িতে এক বৈঠকে বসেন। এতে সিদ্ধান্ত হয় ১ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের ব্যয় গ্রামবাসী বহন করবে। সারা গ্রামের গরীব অসহায় কৃষকরা ২ লাখ টাকা উত্তোলন করে ভেকু দিয়ে ৮ দিনেই এ রাস্তাটি সংস্কার করে। এতে গ্রামের কৃষদের মাঝে হাসি ফুটে উঠে।

কয়েক দিন যেতে না যেতেই সুমেশ চন্দ্র আদিত্য ও একই গ্রামের আজিজুল ষড়যন্ত্র করে গভীর রাতে ভেকু দিয়ে ৪/৫শ মিটার রাস্তা কেটে ফসলি জমিতে পরিণত করে। এরপর গ্রামের হতদরিদ্র কৃষকরা উপজেলার আওয়ামীলীগের সভাপতি/সম্পাদকসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে গেলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় আজিজুল ও সুমেশ চন্দ্র আদিত্য ১৫দিনের মধ্যে পুণরায় রাস্তা নির্মাণ করে দিবে। কিন্ত দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও রাস্তা নির্মাণ না করে  সুমেশ চন্দ্র আদিত্য এর ছেলে পুলিশের চাকরী করার সুবাধে মামলার ভয়ভীতি প্রর্দশন করে আসছে নিরীহ গ্রামবাসীর মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে। এতে এ রাস্তা আদৌ নির্মাণ হবে কি না এলাকাবাসী সংশয়ে রয়েছে।

এ ব্যাপারে বুধবার সরজমিনে গেলে দেখা যায়, প্রায় ৪/৫শ মিটার রাস্তা কেটে ফসলি জমি তৈরি করার দৃশ্য চোখে পড়ে। এ সময় স্থানীয় আহাদ, রমজানসহ আরো অনেকে অভিযোগ করে বলেন, আমরা গ্রামবাসী জমির মালিক সুমেশ চন্দ্র আদিত্যকে নিয়েই গ্রামবাসীর নিকট থেকে টাকা সংগ্রহ করে ২লাখ টাকা ব্যয়ে মাটি কেটে রাস্তাটি সংস্কার করেছিলাম। তারা প্রভাবশালী থাকায় রাতের আঁধারে রাস্তাটি কেটে জমি তৈরি করে ফেলেছে। প্রতিবাদ করলেই তার ছেলে পুলিশের চাকুরি করার সুবাদে স্থানীয় পুলিশ দিয়ে হয়রানির স্বীকার করে। নিরুপায় হয়ে আমরা অভিযোগ দায়ের করেছি। রাস্তাটি কেটে ফেলায় বোরো ধান তোলা নিয়ে দু:শ্চিন্তায় আছি। এ বিষয়ে গ্রামবাসী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সুমেশ চন্দ্র আতিদ্যকে বাড়িতে না পাওয়ায় তার স্ত্রী সাবেক শিক্ষক শুক্লা রানী সরকার বলেন, এ রাস্তাটি সরকারি কোন হালট নয়। এলাবাসীর সুপারিশের প্রেক্ষিতে আমার স্বামী ও পাশের বাড়ির আজিজুল তার জমি দিয়েই রাস্তাটি নিয়েছিল। কিন্তু আজিজুল না মানায় তাদের ভাইদের নিয়ে প্রথমে ভেকু দিয়ে রাস্তা ভেঙে জমি তৈরি করে ফেলে। পরে আমার ছেলেরাও রাস্তাটি ভেঙে জমি করেছে। আমি একা দিলে তো রাস্তা হবে না। তার ছেলে পুলিশে থাকায় হয়রানি করছে এ অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বুলবুল আহমেদ জানান, এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন আছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই