তারিখ : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

আহসান উল্লাহ মেমোরিয়াল মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়

আট মাস যাবত বেতন না পেয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের মানবেতর জীবন-যাপন,নানা সমস্যায় জর্জড়িত আহসান উল্লাহ মেমোরিয়াল মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়
[ভালুকা ডট কম : ১৬ জানুয়ারী]
নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ঐতিহ্যবাহি বিদ্যাপিঠ আহসান উল্লাহ মেমোরিয়াল মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যাপিঠটি সদ্য জাতীয়করন করা হয়। এরপর থেকে বিদ্যালয়টি প্রধান শিক্ষকের পদ গ্রহণ করার বাদাবাদিতে শিক্ষকদের অর্ন্ত:দ্বন্দ্বের কারণে মুখ থুবরে পড়েছে বিদ্যাপিঠটির সকল স্বাভাবিক কর্মকান্ড।

জাতীয়করন করার পর আহসান উল্লাহ মেমোরিয়াল মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে আট মাস যাবত প্রধান শিক্ষক পদ শুন্য। প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন শূন্য থাকায় ও পদ নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে বিদ্যাপিঠটির সকল শিক্ষক ও কর্মচারীর বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। যার কারণে এই মহামারি করোনা ভাইরাস সংকটের মধ্যে শিক্ষক ও কর্মচারীরা বেতন বিহীন পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।

এমপিও শীট এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নিয়োগকৃত ২ ও ৩ নম্বর বাদ দিয়ে ৪ নম্বর ক্রমিকে থাকা শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করায় বিদ্যালয়ে চরম বিশৃঙ্খলা পরিবেশ বিরাজ করছে। এদিকে আর্থিক ক্ষমতা সম্পন্ন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক না থাকায় আট মাস যাবত বেতন না পেয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এতে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিকসহ দৈনন্দিন কার্যক্রমে নেমে এসেছে স্থবিরতা।

জানা যায়, গত ২৪ জুলাই ২০২০ইং তারিখে আহসান উল্লাহ মেমোরিয়াল মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবসরে যান। এরপর আর্থিক ক্ষমতা বলে বিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এমপিও শীট এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নিয়োগকৃত ২নম্বর ক্রমিকে থাকা মোহাম্মাদ মাহাতাব উদ্দিন এবং ৩ নম্বর ক্রমিকে থাকা শারমিন আখতারকে বাদ দিয়ে ৪নম্বর ক্রমিকে থাকা জবা রানী ঘোষকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছানাউল ইসলাম।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যথাযথ নিয়মে না হওয়ায় চ্যালেঞ্জ করে গত ৩সেপ্টেম্বর মোহাম্মাদ মাহাতাব উদ্দিন আর্থিক ক্ষমতাসহ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর আবেদন করেন। অপরদিকে গত ২৩ সেপ্টেম্বর জবা রানী ঘোষ একই পদে ডিজি বরাবর আবেদন করেন। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিজি) হতে গত ৫ নভেম্বর আর্থিক ক্ষমতার বিষয়ে সুস্পষ্ট মতামত চেয়ে উপ-পরিচালক রাজশাহী অঞ্চলকে চিঠি দেন। চিঠির জবাবে গত ২৩ নভেম্বর রাজশাহী অঞ্চেলের উপ-পরিচালক  ড. শারমিন ফেরদৌস চৌধুরী এমপিও শীট এবং শিক্ষামন্ত্রনালয়ের নিয়োগে থাকা ২ নং ক্রমিকের শিক্ষক মোহাম্মাদ মাহাতাব উদ্দিনকে আর্থিক ক্ষমতাসহ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদে প্রদানের লক্ষে মতামত দেন। চিঠি প্রদানের পর আর্থিক ক্ষমতার মতামত যথাযথ হয়নি মর্মে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী হিউম্যান রাইটস ও মাইনরিটি ওয়ার্ড এর সভাপতি অ্যাডভোকেট বীরেন ঘোষ উপ-পরিচালক রাজশাহীকে টেলিফোনে উম্মা প্রকাশ করেন। টেলিফোন পেয়ে  গত ২ ডিসেম্বর উপ-পরিচালক রাজশাহী অঞ্চল পুনরায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আইন সেলের পরামর্শ্ব মোতাবেক আর্থিক ক্ষমতা প্রদানের মতামত দেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছানাউল ইসলাম বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক আর্থিক ক্ষমতাসহ প্রধান শিক্ষক না থাকায় শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের বেতন উত্তোলন করতে পারছেন না। দ্রুত সমস্যাটি সমাধান করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষাঙ্গন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই