তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

কাদেরকে রাজাকার পরিবারের সদস্য বললেন সাংসদ একরামুল

ওবায়দুল কাদেরকে রাজাকার পরিবারের সদস্য বললেন সাংসদ একরামুল, ভিডিও ভাইরাল
[ভালুকা ডট কম : ২২ জানুয়ারী]
বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে রাজাকার পরিবারের সদস্য বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সাংসদ একরামুল ফেসবুক লাইভে দেওয়া সংক্ষিপ্ত একটি ভিডিও বার্তায় এ মন্তব্য করেন।

২৭ সেকেন্ডের ভিডিওটি রাতেই ভাইরাল হয়ে যায়। তবে সাংসদ একরামুল করিমের ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি প্রচারের কয়েক মিনিটের মধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে এবং আজ শুক্রবার সকালে জেলা শহরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। মিছিলে তাঁরা কাদের মির্জার বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন।

ভিডিও বার্তায় একরামুল করিম চৌধুরী বলেন,আমি কথা বললে তো আর মির্জা কাদেরের বিরুদ্ধে কথা বলব না। আমি কথা বলব ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে। একটা রাজাকার পরিবারের লোক এই পর্যায়ে এসেছে, তাঁর ভাইকে শাসন করতে পারে না। এগুলো নিয়ে আমি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কথা বলব। আমার যদি জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি না আসে। তাহলে আমি এটা নিয়ে শুরু করব।

লাইভ ভিডিওর বিষয়ে শুক্রবার সকালে সাংসদ মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী মুঠোফোনে একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমি তো ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে কিছু বলিনি। আমি বলেছি মির্জা কাদেরের পরিবার স্বাধীনতাবিরোধী। আর কাদের ভাই হলো বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা। রাজাকার বংশের কাদের মির্জা গত এক মাস ধরে দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, এর কোনো বিচার হয় না।

একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, মির্জা কাদেরের চাচা রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। তাঁকে কাদের ভাইয়ের বাহিনী গুলি করে মেরেছে। তাঁর বাবা ছিলেন মুসলিম লীগার। মির্জা কাদেরের নানা ছিলেন শান্তি বাহিনীর কমান্ডার। মামা ছিলেন রাজাকার। তাঁদের পুরো বংশই ছিল রাজাকার। একটা রাজাকার বংশের লোক নিয়মিত ৩০০ সাংসদের বিরুদ্ধে বলে যাচ্ছেন, তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ভূমিকা নেই দলের ভেতর।

ভিডিওতে ওবায়দুল কাদেরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, আমি আসলে কাদের ভাইকে নিয়ে কিছু বলিনি। গত এক মাস ধরে ধৈর্য ধরেছি। আমি মির্জা কাদেরকে উদ্দেশ করেই কথাগুলো বলেছি। জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে জটিলতা কী? জানতে চাইলে একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, কমিটি নিয়ে কোনো ধরনের জটিলতা নেই। প্রায় পাঁচ-ছয় মাস আগে জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে জমা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু ওই কমিটি এখনো অনুমোদন দেওয়া হয়নি।

সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর ভাইরাল ভিডিওর বিষয়ে সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই ও বসুরহাট পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা সেই সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের সময় ঢাকায় ওবায়দুল কাদের মারা গেছেন বলে তাঁরা শুনেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। মুজিব বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। এরপর তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক হন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর তিনিই প্রথম ছাত্রলীগকে সংগঠিত করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ৩৬ মাস কারাগারে ছিলেন। কারাগারে থেকে তিনি ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছেন। জেল থেকে বের হওয়ার পর ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন।

আবদুল কাদের মির্জা বলেন,আমাদের পরিবারে রাজাকার কে? আমার বাবা শিক্ষকতা করতেন। কোনো রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না। শিক্ষকতা করতে গিয়ে হয়তো কারও সাথে ভুল-বোঝাবুঝি হতে পারে, তিনি কোনো রাজনীতি করেননি। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার চাচা এরফান মিয়া রাজাকার ছিল। তার সাথে আমাদের পারিবারিক ঝামেলা ছিল। যুদ্ধের সময় আমার চাচা একদিন আমার ভাইকে মারার জন্যও চেষ্টা করেছে, পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে বড় ভাই মুজিব বাহিনীর প্রধান ঘর থেকে বের হয়ে যান। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের পেছনের হিন্দু বাড়ি লুট করবে, তাদের মেরে ফেলবে, শুনে আমার আব্বা তাঁদের রক্ষা করেছেন। তিনি আমার চাচার কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতেন। তাহলে আমরা কীভাবে রাজাকার পরিবার হলাম।’আবদুল কাদের মির্জা সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘এত বড় ঔদ্ধত্য তাঁর। আমরা জাতির কাছে বিচার চাই। আমি কোনো কথা যদি মিথ্যা বলি, আমার বিচার করুক। আর না হলে সে যেসব অন্যায় করেছে, তাঁর বিচার করতে হবে। তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই