তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

শ্রীপুরে ভূয়া কাজী সেজে প্রতারণার অভিযোগ

শ্রীপুরে ভূয়া কাজী সেজে প্রতারণার অভিযোগ
[ভালুকা ডট কম : ২৫ জানুয়ারী]
টাকা হলেই কোন বয়স প্রমাণ তার কাছে দরকার নেই। এলাকায় অসংখ্য বাল্য বিয়ে পড়িয়েছেন যার কোন হিসাব নেই। গাজীপুরের শ্রীপুরে কাজী সেজে বিয়ে ও কাবিন রেজিষ্ট্রি করার কথা বলে টাকা নিয়ে কাবিন না দেয়ার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে এক কাজীর বিরুদ্ধে। তিনি নিজেকে কাজী পরিচয় দিলে ও তার নেই কোন লাইসেন্স। দীর্ঘদিন যাবৎ কাজী পরিচয় দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিলেও এখনো সে ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। এব্যাপারে ভুক্তভোগী দুই নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন সমাধান না পাওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের মাঝে।

অভিযুক্ত জুয়েল মিয়া মাষ্টার ওরফে কাজী জুয়েল (৩৮) শ্রীপুর পৌর এলাকার চন্নাপাড়া গ্রামে মৃত অহেদ আলী মাষ্টারের ছেলে। নিজেকে কাজী পরিচয় দিলে ও ভূয়া কাজী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। সে কেওয়া বাজারের স্থানীয় একটি কিন্ডার র্গাটেন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ স্বীকার করে ভবিষতে এমন আর করবেন না বলে জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শ্রীপুর থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আব্দুস ছালাম নামে এক ব্যক্তির সাথে পরিচয় হয় ফাহিমা আক্তারের। পরিবারের অমতে ফাহিমাকে বিয়ে প্রস্তাব দেয় আব্দুস ছালাম। পরে আব্দুস ছালাম তাকে ১০লাখ টাকা কাবিন ধার্য্য করে গত বছরের আগষ্ট মাসে জুয়েল মাষ্টার তাকে বিয়ে পড়ানো বাবদ ২১হাজার টাকা নেন। পরবর্তীতে কাজী জুয়েলের কাছে কাবিনের কাগজ চাইলে না দিয়ে উল্টো প্রাণনাশের হুমকি দেয় ফাহিমাকে। এখন সে তার বিয়ের কোন প্রমাণ না দেখাতে পারায় তার স্বামী তাকে মারধর করে বিয়ে করেনি বলে দাবী করে। সমাজের বিত্তবানদের কাছে বিচার চেয়ে ধারে ধারে ঘুরছেন।

অপরদিকে, জামান মন্ডলের সাথে পরিচয় হয় মনিকা সরকার নামে এক হিন্দু নারীর। মনিকাকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে, কাবিন ও ধর্মান্তরিত করার এফিডেভিট ও ৬ লাখ টাকার কাবিনের খরচ বাবদ ১০হাজার টাকা নেন জুয়েল। বিয়ের ৫ মাস পরে স্বামীর সাথে ঝগড়া শুরু হলে কাবিনের মূল কাগজ চাইলে সে বিভিন্ন ধরনের টালবাহানা করে। এখন ওই হিন্দু নারী কাবিনের কাগজ না পেয়ে তার স্বামী তাকে বিয়ে অস্বীকার করে। পরে ওই নারী পুলিশের সহায়তায় তার স্বামীকে চাপ প্রয়োগ করলে জৈনা বাজারের এক কাজীর মাধ্যমে ৪ লাখ টাকার কাবিন করেছে বলে দাবী করছে তার স্বামী। তবে ওই নারী কাবিনের কোন প্রমাণাদি পায়নি।

শ্রীপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাজী নজরুল ইসলামের অধীনে কাজ করতো জুয়েল। কাজী নজরুলের সহায়তায় এ ধরণের অপকর্ম করে আসছে বলে এলাকাবাসী জানায়। কাজী নজরুল ইসলাম জানান, আমার সহকারী হিসেবে তাকে একটি বই দেয়া হয়েছিল। সে নানা ধরনের অপকর্ম করায় তার কাছ থেকে ওই বই ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য বাল্য বিয়ে পড়ানোর অভিযোগে তার কাছ থেকে বইটি ফিরিয়ে নিয়ে আসি।

ভুক্তভোগীরা জানান, কাজী পরিচয়দানকারী জুয়েল কাবিনের টাকা নিয়ে কাবিন না করায় তাদের জীবনে সর্বনাশ করেছেন। বিয়ের কাবিন না থাকায় স্বামীরা মারধরসহ শারিরিক নির্যাতন করলেও স্ত্রী পরিচয় দেয়ার কোন প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারছি না। এতে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে নানা ধরনের হয়রানি শিকার হতে হচ্ছে তাদের। কাজী পরিচয়দানকারী জুয়েল মিয়াকে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে বিচারের সম্মুখীন করার দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একজন উপ-পরিদর্শককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই