তারিখ : ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে সাংবাদিক

হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে সাংবাদিক,ধরা ছোঁয়ার বাইরে আসামীরা
[ভালুকা ডট কম : ১৭ ফেব্রুয়ারী]
২০ জানুয়ারী রাত নয়টায় ব্যক্তিগত গাড়ি যোগে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পাড় হচ্ছিলেন গাজীপুরে কর্মরত এশিয়ান টেলিভিশনের সাংবাদিক আবু বকর সিদ্দিক। মহাসড়কের রাজেন্দ্রপুরের বিমানগেইটের সামনে ইউটার্ন নেয়ার সময় তার গাড়ির সামনে অপর একটি প্রাইভেট কার ব্যারিকেড সৃষ্টি করে।

কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে টেনে হিচড়ে গাড়ী থেকে নামিয়ে মারধর শুরু করেন প্রাইভেটকারে আসা লোকজন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাকে হকিষ্টিক, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে দু’হাত ও এক পা ভেঙ্গে ফেলে গাড়ির চাপায় পিষ্ট করতে মহাসড়কের মাঝে শুইয়ে দিয়ে চলে যান তারা। চলে যাওয়ার নিজেকে বাঁচাতে তিনি গড়িয়ে মহাসড়ক থেকে সরে আসেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

বর্তমানে ওই হাসপাতালের বেডে যন্ত্রণাময় দিন কাটছে এই সংবাদকর্মীর। ইতিমধ্যেই পায়ে দুটি অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। মামলার পর ২৭দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। সাংবাদিক সিদ্দিক আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে কিনা তা নিয়ে হতাশায় ভূগছে তার পরিবার।

এঘটনায় জয়দেবপুর থানাধীন নয়াপাড়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম, একই গ্রামের এমদাদ মেম্বার ও মজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী রুনা সিদ্দিক।

সাংবাদিক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, স্থানীয় হোতাপাড়া বাজার এলাকায় অভিযুক্তরা সমবায় সমিতির নাম দিয়ে গ্রামের সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে সঞ্চয় সংগ্রহ করছিলেন। তিনি এমন ধরনের খবর সংগ্রহ করার জন্য অভিযুক্তদের কাছে গেলে তারা তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এর রেশেই তারা তার উপর হামলা চালান। তারা সকলেই তার পূর্বপরিচিত। তারা তাকে এমন ভাবে মারবেন তিনি কল্পনাও করেননি। ঘটনার দিন তারা মারছিলেন আর বলছিলেন “আমাদের বিরুদ্ধে সংবাদ করার উদ্যোগ নিয়েছস, তাই তোর হাত ও পা ভেঙ্গে দিচ্ছি, যাতে আর কোন দিন সাংবাদিকতা না করতে পারস”।

তিনি আরো বলেন, হাত ও পা ভেঙ্গে ফেলায় আমার স্বাভাবিক জীবনে ফেরা এখনও অনিশ্চিত। তবে বিচার চাওয়াটা তো আমার ন্যায্য অধিকার। মামলার পর থেকেই অভিযুক্তরা নানাভাবে আমার পরিবারের উপর হুমকী তৈরী করেছে। তারা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়। আমি হাসপাতালের বেডে আর আমার স্ত্রী ও সন্তানরা নিরাপত্তাহীনতায় এ বাড়ী ও বাড়ী ঘুরে বেড়ায়।

ভুক্তভোগীর স্ত্রী রুনা সিদ্দিক বলেন, হাত ও পা’য়ের যন্ত্রণায় এখন সে শুধু কান্নাকাটি করেন। একান্না যন্ত্রনা ও অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার না হওয়ার আক্ষেপের। আর কিছুক্ষন পর পর খোঁজ নেন অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হয়েছি কি? তবে এখন পর্যন্ত তাকে আমরা কোন ভালো সংবাদ দিতে পারছি না। পুলিশকে বললে তারা বলেন, আসামী নাকি খুঁজে পাননা তারা। অথচ দিব্ব্যি এলাকায় ঘুরে বেড়িয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করছে তারা। আসলে সবাই ছলনা করে। তাই বিচারের ভারটা সৃষ্টিকর্তার কাছেই শপে দিলাম।

এ বিষয়ে জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন আল রশিদ বলেন, ইতিমধ্যেই এ ঘটনার সাথে জড়িত এক অভিযুক্তকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্যান্য অভিযুক্তদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অপরাধ জগত বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই