তারিখ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

পঞ্চম ধাপের পৌরসভা নির্বাচন

পঞ্চম ধাপের পৌরসভা নির্বাচন
[ভালুকা ডট কম : ০১ মার্চ]
মৃত্যু, সংঘাত আর নানা অভিযোগে মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দেশের পঞ্চম ধাপের পৌরসভা নির্বাচন। এর আগের ধাপের নির্বাচনগুলোর মতো এ নির্বাচনেও কেন্দ্র দখল, এজেন্ট বের করে ইচ্ছে মত ভোটগ্রহণ ও প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি মনোনীত বেশ কয়েকজন মেয়র প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন।

ককটেল নিক্ষেপ, মারামারি-ভাঙচুরের ফলে আতঙ্কে অনেক পৌরসভায় শুরু থেকে ভোটারের উপস্থিতি ছিল অনেক কম। আবার বেশ কয়েকটি পৌরসভার বিভিন্ন কেন্দ্রে উল্লেখযোগ্য ভোটার উপস্থিতি ছিল।এবারেও নির্বাচনী সংঘর্ষে একজন নিহত ও কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।সর্বশেষ দফায় গতকাল (রোববার) ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) অনুষ্ঠিত ৩১টি পৌরসভা নির্বাচনে ২৮টিতেই জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দুটিতে স্বতন্ত্র হিসেবে জিতেছেন আওয়ামী লীগেরই বিদ্রোহী প্রার্থীরা। বিএনপি জিতেছে মাত্র একটিতে।

আওয়ামী লীগের জয় পাওয়া ২৮টি পৌরসভার মধ্যে মাদারীপুরের শিবচর, চট্টগ্রামের মীরসরাই ও রাউজান পৌরসভায় কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় আগেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। রাউজান পৌরসভায় সব কাউন্সিলরও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।যে ২৮টি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জিতেছেন, সেগুলোর বেশির ভাগেই ভোটের ব্যবধান ছিল বিপুল।

পৌরসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে মুল্যায়ন করতে গিয়ে বেসরকারি সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজন সম্পাদক ড. বদিউলআলম মজুমদার বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কয়েক ধাপের নির্বাচন স্পষ্টভাবে প্রমাণ করেছে যে, নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে গেছে কারণ, দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম হয়েছে, নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালনে সক্ষম নয় এবং জনগণ নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।তিনি উল্লেখ করেন- স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এসে দেশে গণতন্ত্রের এমন করুণ অবস্থায় সচেতনমহল তথা দেশবাসী সোচ্চার না হলে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হবে।

বিএনপি জানিয়েছে, দলীয়ভাবে আগামীতে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে তারা অংশ নেবে না। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল রোববার রাজধানীর গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোতে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, এই নির্বাচন কমিশন কোনো নির্বাচনই নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত করার জন্য যোগ্য নয়। বর্তমান অনির্বাচিত সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করাই এই নির্বাচন কমিশনের কাজ।

বিএনপি মহাসচিব বলেন,আমরা মনে করেছিলাম, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অন্তত সরকার ও নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদসহ পৌরসভা ও উপজেলা নির্বাচনে যা হয়েছে, তা এত হতাশাজনক যে, আগামীতে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আমরা দলীয়ভাবে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এর আগে গত শনিবার বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বিএনপির নেতৃবৃন্দ মনে করেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ আর বেশি দিন নেই। সেক্ষেত্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হবে।এ অবস্থায় নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি নিরপেক্ষ সরকার দাবিতে চলমান আন্দোলন আরও জোরদার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিএনপি। সে অনুযায়ী জাতীয় ঐক্য করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন দলটির নেতাকর্মীরা। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকেও ঢেলে সাজানো হচ্ছে। মেয়র প্রার্থীদের উদ্যোগে বিভাগীয় শহরে সমাবেশ চলছে। সব মিলিয়ে সরকারকে চাপে রাখতে রাজপথে সক্রিয় থাকার কৌশল গ্রহণ করেছে বিএনপি।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

নির্বাচন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই