তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

চার লেন হচ্ছে তিলোত্তমা শহর নওগাঁর প্রধান সড়ক

চার লেন হচ্ছে তিলোত্তমা শহর নওগাঁর প্রধান সড়ক,যানজট মুক্ত শহর গড়ার প্রত্যয় সওজের
[ভালুকা ডট কম : ০১ মার্চ]
তিলোত্তমা শহর নওগাঁ। ছোট যমুনা নদী বিভক্ত করেছে এই নওগাঁ শহরকে। মূলত ছোট যমুনা নদীকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে তিলোত্তমা এই শহর। আর শহরে চলাচলের জন্য একটি প্রধান সড়কই ভরসা। দিন যতই যাচ্ছে ততই নওগাঁ শহরে বসতি সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে ছোট ছোট যানবাহন কিন্তু সেই তুলনায় আধুনিকায়ন হচ্ছে না শহরের অভ্যন্তরের বড়-ছোট জনগুরুত্বপূর্ন সড়কগুলো। যার কারণে ছুটির দিন বাদে শহরের যে কোন রাস্তা কিংবা সড়কে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকে। শহরকে এই যানজট মুক্ত করার লক্ষ্যে শহরের প্রধান সড়ক প্রসস্থ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগ।

১৮৭৭ সালে নওগাঁ মহকুমা গঠিত হয়। এরপর প্রায় ১০৭ বছর পর ১১টি উপজেলা নিয়ে ১৯৮৪ সালের ১মার্চ নওগাঁ জেলায় রুপান্তর হয়। নওগাঁ শহর থেকে ৫কিলোমিটার দূরে সান্তাহার রেল জংশন স্থাপন হলে তা মূলত ছিলো নওগাঁর জন সাধারনের চলাচলকে কেন্দ্র করে। সান্তাহারে রেল চলাচল শুরু হলে নওগাঁর গুরুত্ব আরো বেড়ে যায়। প্রয়োজন দেখা দেয় পাকা সড়কের। তখন রাজশাহী জেলা বোর্ডের উদ্যোগে সান্তাহার থেকে একটি প্রসস্থ সড়ক নির্মান করা হয় মহাদেবপুর পর্যন্ত। সড়কটি ছিল প্রথম দিকে সুরকী বিছানো সড়ক। অনেক পরে সড়কটি সান্তাহার থেকে নওগাঁর কাজীর মোড় পর্যন্ত কনক্রিট করা হয়। বিভিন্ন সময় ধীরে ধীরে সড়কটি তার রুপ পাল্টাতে থাকে। এরপর বর্তমান অবস্থায় এসে পৌঁছে। কিন্তু ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও যান চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সড়কটি এখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

নিত্যদিন অসহনীয় যানজট আর ফুটপাত বিহীন সড়কটি নওগাঁ শহরবাসীর জন্য আগে ছিল বিড়ম্বনার এখন তা হয়ে উঠেছে গলার কাটা। শত শত সিএনজি চালিত থ্রি হুইলার, ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক, বউ সোহাগী, রিক্সা, মটর সাইকেল, বাস, ট্রাকসহ নানান যানবাহনের জটে শহরটি যেনো দিন দিন মরন ফাঁদে পরিণত হচ্ছে। ছোট বড় দূর্ঘটনা এখন প্রতিদিনের বিষয়। স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থী ও পথচারীরা হয়ে পড়েছে ওই যানজটের অন্যতম শিকার। এই দূর্ভোগ থেকে উত্তরনের একমাত্র উপায় হচ্ছে সড়ক প্রসস্থকরন।

বহুবছর ও বহু কাটখড় পোড়ানোর পর নওগাঁর মানুষের দীর্ঘদিনের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান সড়কটি দুই লেন করা হলেও তা মূল শহরের কিছু ব্যক্তি মালিকানার স্থাপনার কারনে দুই লেনের জন্য যে জায়গার প্রয়োজন তাও করা সম্ভব হয়নি। এবার নওগাঁবাসীর জন্য সুখবর বয়ে আনছে নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগ। নওগাঁর ঢাকা রোডের মোড় থেকে চৌমাশিয়ার (নওহাটা) মোড় পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কিলোমিটার সড়কটি ৪লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনার গ্রহন করেছে নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগ। সড়কের প্রয়োজনে নির্মাণ করা হবে, ব্রীজ, কালর্ভাট, ড্রেন, ফুটপাত ও রোড ডিভাইডারসহ নানান অবকাঠামো। মোট ১০০ ফুট প্রসস্থ হবে বর্তমান সড়কটি। আগামী ১মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত ডিপিপি সাবমিট করা হবে বলে সওজ অফিস সূত্রে জনা গেছে।

শহরের মধ্যে ছোট যমুনা নদীর উপরের লিটন সেতুটি ২লেনের। বর্তমান লিটন সেতুটি ব্যাপক সংস্কারের আওতায় আনা হবে। এই সেতুর আদলে পাশে আরেকটি নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে। একই ভাবে শহরের অপর তুলশী গঙ্গা নদীর উপর ২লেনের যে সেতুটি আছে তার পাশে আরো একটি ২লেনের সেতু নির্মান করা হবে। সড়কটি চার লেনে উন্নীত করতে গিয়ে সড়কের দু’ধারে ব্যক্তি মালিকানাধীন যে জমি ও অবকাঠামো অধিগ্রহন করা হবে তারা জমির মূল্যবাবদ ৩গুণ ও অবকাঠামোর জন্য ২গুন অর্থ পাবেন।

নওগাঁ সওজ সূত্রে জনা গেছে, নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দীন জলিল জন ও নওগাঁ-৪ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনের সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দীন তরফদার সেলিম নওগাঁ সড়ক বিভাগকে গত বছর নভেম্বর মাসের দিকে সড়ক প্রসস্থকরন বিষয়ে একটি ডিও লেটার দেন। এই বিষয়ে একই মতামত ব্যক্ত করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি। এরপর সড়ক বিভাগ ডিপিপি প্রস্তুতির কাজে হাত দেয়। ডিপিপির কাজ শেষ হয়েছে এবং আগামী ১মাসের মধ্যে তা সাবমিট করা হবে। এতে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৯শ কেটি টাকা।

নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান সাজিদ জানান, এই বিষয়ে সাংসদ মহোদয়গনের কাছ থেকে ডিও লেটার পাওয়ার পর একটি প্রাথমিক পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। নওগাঁর পশ্চিম ঢাকা রোড (বাইপাস মোড়) থেকে মহাদেবপুর উপজেলার চৌমাশিয়া মোড় পর্যন্ত সাড়ে ১৬কিলোমিটার সড়কটি ৪ লেনে উন্নীত করার প্রাথমিক পরিকল্পনার কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আগামী ১মাসের মধ্যে সরকারের সড়ক বিভাগের দপ্তরে ডিপিপি সাবমিট করা হবে। সড়ক প্রসস্থ করতে গিয়ে আর যা যা করার প্রয়োজন তার সব কিছুই করা হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই