তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

দেড় লাখ টাকা হলে অসহায় শিশুটি ফিরে পাবে চোখ

দেড় লাখ টাকা হলে দিনমজুরের অসহায় শিশুটি ফিরে পাবে চোখ
[ভালুকা ডট কম : ০২ মার্চ]
রোজা শেষে এলো খুশির ঈদ। ঈদের আনন্দ চারদিকে বইছে। ঈদের এ আনন্দ এই পরিবারে বিষাদে রূপ নেয়! ঘটনাটি গত মাহে রমজান শেষে পবিত্র ঈদুল ফিতরের । ঈদের দিনে খেলতে গিয়ে বাঁশের কঞ্চির আঘাত লাগে সাড়ে ৪ বছরের শিশু ইয়াসিনের চোখে। কঞ্চির আঘাতে নষ্ট হয়ে যায় তার বাম চোখের কর্ণিয়া। এখন সেই চোখের মাংসপি- দিনদিন চোখের বাহিরে চলে আসছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজন কর্ণিয়া সংযোজন। নয়তো নষ্ট হয়ে যেতে পারে অপর চোখটিও। এমন শংকায় দিন কাটছে ছোট্ট শিশু মো. ইয়াসিন মিয়ার। বয়স মাত্র ৪ বছর ৫মাস। সে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের ইয়ারপুর গ্রামের দিনমজুর মো. আবুল বাসারের ছেলে।

দৈনন্দিন যা আয় হয় তা দিয়েই চলে ২ ছেলে আর ১ কন্যাকে নিয়ে ৫সদস্যের পরিবার। ঈদের দিনে বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করছিলো ইয়াসিন। হঠাৎ করে বাচোখে কঞ্চির আঘাত পায় ইয়াসিন। বাবা তাৎক্ষনিক ছুটে যান গৌরীপুর ডা. মুকতাদির চক্ষু হাসপাতালে, তারপরে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে দীর্ঘদিন চলে চিকিৎসা। ধীওে ধীরে আরো শিশুটির চোখের অবস্থার অবনতি ঘটে। এরপরে রেফার্ড করা হয় ইস্পাহানী ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট এ্যান্ড হসপিটালে। সেখান থেকে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চলে দীর্ঘদিন চিকিৎসা। অসহায় বাবা সন্তান কাঁধে নিয়ে ছুটে চলেন এ হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষটির সংসার চলে অর্ধাহারে অনাহারে। চিকিৎসার খরচ যোগাড় করতে গিয়ে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের নিকট থেকে সহযোগিতাও নিয়েছেন বার বার। এখন নিরুপায় অসহায় এই বাবা। প্রয়োজন আর্থিক সহযোগিতা।

বর্তমানে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ডা. নুসরাত শারমীনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে, কর্ণিয়া সংযোজন ব্যতিত ইয়াসিনের দৃষ্টি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব নয়। আর এই কর্ণিয়া যোগাড় ও প্রতিস্থাপন করতে প্রয়োজন দেড় লাখ টাকা। যা অসহায় বাবার পেেক্ষ আেেদৗ সম্ভব নয়। সন্তানের এমন অনিশ্চিত জীবন আর ভবিষ্যৎ নিয়ে শংকিত বাবা।  

ইতোমধ্যে চোখের ক্ষতস্থানটি বড় হয়ে যাচ্ছে। চোখের বাহিরে বেড়িয়ে আসছে লালমাংস পিন্ড।  বাবার চোখের দৃষ্টি এখন সন্তানের দিকে, শুধু প্রয়োজন আর্থিক সহযোগিতা। এ সহযোগিতা পেলে ইয়াসিন ফিরে পাবে নতুন চোখ ও দৃষ্টি। সহযোগিতা করেেত চাইলে ইয়াসিনের বাবার নগদ বা বিকাশ নাম্বার ০১৭৬৬-৭৩৫৮০৮, মুঠোফোন প্রয়োজনে ০১৯৪৭-৮১৫২১৭ যোগাযোগ করতে পারেন।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

পাঠক মতামত বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই