তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

কালিয়াকৈরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দার পাশে গভীর পুকুর

মরণ ফাঁদ
কালিয়াকৈরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দার পাশে গভীর পুকুর
[ভালুকা ডট কম : ২৫ মার্চ]
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সূত্রাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দা ঘেঁষেই একটি গভীর পুকুর রয়েছে বলে জানা গেছে। প্রশাসন দীর্ঘদিনেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের শুরুর দিক থেকেই বারান্দার পাশেই একটি গভীর পুকুর রয়েছে। বিদ্যালয়ে কোন খেলার মাঠ নেই। ছোট ছোট কোমলমতি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার একমাত্র স্থান ওই ছোট্ট বারান্দা। বারান্দা ঘেষা পুকুর থাকায় অভিভাবকেরা সবসময় আতঙ্কিত থাকেন প্রাথমিক বিদ্যালয় বেশির ভাগ শিক্ষার্থী সাঁতার জানিনা যার ফলে বিদ্যালয়ের সামনে বিশ্ব কর্ণধার ছোট ছোট শিশুদের মরণফাঁদ বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিনে দেখা যায়, টান সূত্রাপুর এলাকায় লৌহজং নদীতে ব্রিজের পশ্চিম পাশে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অবস্থিত। মূল সড়ক থেকে ওই স্কুলে যাতায়াতের একমাত্র পথ হচ্ছে ওই গভীর পুকুরের পাড়। প্রতিদিন ওই ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা হুমকির মুখে ওই স্কুলে যায়। সারাদিন তারা ছোটাছুটি আর খেলাধুলা করে পুকুর নামক ওই মরণফাঁদ টির পাশে। বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থিত ওই পুকুরটি স্থানীয় টান সুত্রাপুর মসজিদের সম্পত্তি। পুকুরটি অনেক নোংরা পানিতে ভরপুর থাকায় এমন কোন মাছের চাষ হয় না। যার ফলে পুকুর থাকাতে ওই জমি মসজিদের তেমন কোন উন্নয়নের কাজে আসে না। মসজিদ ফান্ডে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ না থাকায় পুকুরটি ভরাট হয়নি দীর্ঘদিনেও। তবে মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন সরকারি ব্যবস্থায় পুকুর ভরাট হলে তাদের কোন আপত্তি নেই বরং ঈদের নামাজ সহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের খেলার জন্য ভালো জায়গা হবে।

এ ব্যপারে মালেক নামে জনৈক একস্থানীয় ব্যক্তি বলেন, পুকুটা অবশ্যই বিপদজনক! সরকার একটা ব্যবস্থা নিলে ভাল হতো।এ ব্যাপারে টান সূত্রাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাদেকুর রহমান বলেন, পুকুরটি বিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য বড় একটা আতঙ্ক। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা। যদি সরকারী পদক্ষেপে পুকুরটি ভড়াট করা হয় তবে খুবই উপকার হবে।

এ ব্যপারে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ সানোয়ার হোসেন বলেন, আমি নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি, দায়িত্ব বুঝে পাওয়ার পর আমার প্রথম মিটিং এ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে উত্থাপন করব। তারপর একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

কালিয়াকৈর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রমিতা ইসলাম এ ব্যপারে বলেন, পুকুরের বিষয় টি জানার পর আমি নিজেই গিয়েছিলাম দেখতে। কোমলমতি শিশুদের জন্য খুবই ভয়ংকর সেটা। স্থানীয় মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলার জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বলা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী হাফিজুল আমিন বলেন, আমি স্থানীয়  লোকজন ও মসজিদ কমিটি সাথে এর আগেও কথা বলেছিলাম। আবারও বলব।গাজীপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি একবার শুনেছিলাম। কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। যত তারাতারি সম্ভব উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।পুকুর নামক ওই মরণ ফাদ থেকে অভিভাবক গন মুক্তি চান। নিজেদের সন্তানকে বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে আতঙ্ক মুক্ত করার লক্ষে পুকুর ভড়াটের দাবি জানিয়েছেন।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষাঙ্গন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই