তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নান্দাইলে বিদ্যালয় আছে জায়গা নেই, হয়রানীর অভিযোগ

নান্দাইলে বিদ্যালয় আছে জায়গা নেই,মিথ্যা মামলায় হয়রানীর অভিযোগ
[ভালুকা ডট কম : ২৫ মার্চ]
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর পিয়ারজান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে একটি বিদ্যালয় ২০১৩ সনে সরকারী অনুমোদন পেলেও বিদ্যালয়ের নামে কোন ভূমি না থাকার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

১৯৭৪ ইং সালে কুতুবপুর গ্রামের আছর আলীর স্ত্রী পিয়ারজান বিবি বিদ্যালয়ের নামে .৫১ শতাংশ ভূমি দান করেন বলে উল্লেখ থাকলেও প্রকৃত পক্ষে দানকৃত ভূমিতে পিয়ারজান বিবির বৈধ কোন স্বত্ব ছিল না। মূলত ২০১৩ সালে সারা দেশের সাথে এই বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সরকারী করন করা হয়। তৎসময়ে মাদ্রাসার ভূমিতে রাতারাতি একটি দু’চালা টিনের ঘর নির্মাণ করে এটিকে বিদ্যালয় বলে চালিয়ে দেওয়া হয় এবং ৫জন শিক্ষক কর্মরত ছিল বলে দাবী করা হয়। এদিকে সরকার কর্তৃক এই বিদ্যালয়ের জন্য একটি পাকা ভবন বরাদ্দ করার পর জমির প্রকৃত মালিকরা তাদের নিজস্ব ভূমিতে পাকা ভবন নির্মাণ করতে নিষেধ প্রদান করেন। বর্তমানে জমির প্রকৃত মালিক তফাজ্জল হোসেন সহ ৫ জন বাদী হয়ে নান্দাইল সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মোকাদ্দমা নং ১৫১/২০১৯ ও ২৩১/২০১৯সন অন্য প্রকার ২টি মামলা দায়ের করেন। মামলা ২টি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে বলে মামলার বাদী মোঃ তফাজ্জল হোসেন গং জানিয়েছেন।

সরজমিনে পরির্দশন করে দেখাগেছে, পিয়ারজান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি অতি নিম্নমানের ৪০ ফুটের দু’চালা ঘর দাড়িয়ে আছে। বিদ্যালয়টিতে চেয়ার-টেবিল, বেঞ্চ তথা আসবাবপত্র নাই বললেই চলে। শুধুমাত্র কাগজপত্র ঠিক রেখে এবং ছাত্র/ছাত্রী সংখ্যা দেখিয়ে ২০১৩ সন থেকে প্রধান শিক্ষক রোকেয়া খাতুন, সহকারী হালিমা খাতুন, রাবিয়া খাতুন, বাহা উদ্দিন ও খালেদা আক্তার নামে ৫ জন শিক্ষক সরকারী বেতন ভাতা গ্রহন সহ সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করলেও এলাকার জনস্বার্থে বিদ্যালয়টি কোন কাজে আসছে না।

অপরদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকেয়া খাতুন বিদ্যালয়ের জায়গার প্রকৃত মালিক সুরুজ মিয়া, আল আমিন, আবুল ইসলাম, মোঃ মোস্তফা, সোহরাব মিয়ার নামে নান্দাইল মডেল থানায় পরপর ২টি ফৌজদারী মামলা দায়ের করে পরিবারটিকে হয়রানী সহ অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধন করে যাচ্ছে।

নান্দাইল উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী জানান, বিদ্যালয়টি সরকারী করনের সময় যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের চরম অবহেলা রয়েছে। বর্তমানে জায়গা নিয়ে যে সমস্যা তা স্থানীয়ভাবে ফয়সালা করা না হলে উক্ত স্থানে বিদ্যালয়ের পাকা ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হবে না। তিনি উক্ত বিষয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

অপরদিকে বিদ্যালয়ের ভূমির প্রকৃত মালিকগণ দাবী করেন, কুতুবপুর পিয়ারজান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শুধু কাগজে পত্রে আছে। বাস্তবে তেমন কোন ছাত্র/ছাত্রী বিদ্যালয়ে নেই। তারা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিষয়টি নিরপেক্ষ তদন্তমূলে ৫জন শিক্ষকের বেতন ভাতা বন্ধের জোর দাবী জানিয়েছেন। একই সাথে তাদের নামে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক নান্দাইল মডেল থানায় দায়েরকৃত ২টি ফৌজদারী মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের জোর দাবী জানিয়েছেন। এছাড়া বিদ্যালয়ের বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষন করার জন্য মানবাধিকার সংগঠন/মিডিয়াকর্মী/শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষাঙ্গন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই