তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নওগাঁয় শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটার মৌসুম

নওগাঁয় শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটার মৌসুম,শ্রমিক সংকটের আশঙ্কায় কৃষক
[ভালুকা ডট কম : ১৭ এপ্রিল]
নওগাঁর রাণীনগরে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমের ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা। ইতিমধ্যেই উপজেলার ১শত ৮৮হেক্টর বোরো ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। ভালো ফলন পাওয়ায় অনেকটাই খুশি উপজেলার কৃষকরা। তবে লকডাউনের কারণে শ্রমিক সংকটের আশঙ্কায় রয়েছেন উপজেলার কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মোট ১৮হাজার ৮শত হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপন করা হয়েছে। এরমধ্যে অধিকাংশ জমিতে অধিক ফলনশীল জিরাশাইল ধান বেশি চাষ করা হয়েছে। বর্তমানে উপজেলার বেশির ভাগ মাঠের ধান কাটার উপযোগি হয়ে উঠেছে। যে সব কৃষকরা আগাম জাতের জিরাশাইল ধান চাষ করেছিলেন তারা ইতিমধ্যেই ধান কাটা শুরু করেছেন। বিশেষ করে উপজেলার পূর্বাঞ্চলের একডালা ইউনিয়নের জলকৈ, সঞ্জয়পুর, শফিকপুর গ্রামের কৃষকরা তাদের স্বপ্নের বোরো ধান কেটে ঘরে তোলা শুরু করেছেন। বর্তমান আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে আগামী ১৫দিনের মধ্যে পুরোদমে ধান কাটার মৌসুম শুরু হবে। তবে বিগত মৌসুমের তুলনায় চলতি মৌসুমে কৃষকরা বোরো ধানের বাম্পার ফলন পাবে বলে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে।

শফিকপুর গ্রামের কৃষক হামিদুর রহমান বলেন যা আশা করেছিলাম এবার বোরো ধানের তার চেয়ে অনেক বেশি ফলন বেশি পেয়েছি। এই মৌসুমে ধানে পোকা ও রোগের আক্রমন কম হওয়ায় তেমন কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়নি। এছাড়াও আবহাওয়া ধানের অনুক’লে থাকায় বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে বলে তিনি আশাবাদি।

সঞ্জয়পুর গ্রামের কৃষক আবেদ আলী বলেন লকডাউনের কারণে দূর থেকে কোন শ্রমিক সহজ ভাবে আসতে পারছে না। তাই আমরা ধান চাষীরা অনেকটাই শ্রমিক সংকটের আশঙ্কা করছি। তবুও প্রাথমিক ভাবে একটু বেশি মূল্য দিয়ে স্থানীয় শ্রমিক দিয়েই ধান কাটা শুরু করেছি। আশা রাখি লকডাউন শেষে শ্রমিকরা আসলে এবং আবহাওয়া ভালো থাকলে উপজেলার কৃষকরা খুব সহজেই ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন বর্তমানে বিঘা প্রতি কৃষকরা জিরাশাইল ধানের ২৫-২৭মন হারে ফলন পাচ্ছেন। তবে এবার ধানে পোকা ও রোগের আক্রমন কম এবং আবহাওয়া ধানের অনুক’লে থাকায় বিগত সময়ের চেয়ে কৃষকরা ফলন অনেক বেশি পাবেন। এছঅড়াও কৃষি বিভাগ সব সময় কৃষকদের ধানের কখন কোন পরিচর্যা করতে হবে তা শুরু থেকেই পরামর্শ দিয়ে আসছে। তাই আশা করা হচ্ছে চলতি মৌসুমে ধান চাষ করে কৃষকরা অধিক লাভবান হবেন। গতবছর করোনা মহামারিতে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ধান কাটার শ্রমিক নিয়ে এসে যেভাবে কৃষকদের ধান কাটতে সহযোগিতা করেছি প্রয়োজন হলে এবারো সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যেন উপজেলার কোন কৃষক শ্রমিক সংকটে না পড়েন।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কৃষি/শিল্প বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই