তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

শ্রীপুরে ধান কেটে কৃষকের পাশে দাঁড়ালো কৃষকলীগ

শ্রীপুরে ধান কেটে কৃষকের পাশে দাঁড়ালো কৃষকলীগ
[ভালুকা ডট কম : ০২ মে]
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের কৃষক মোশারফ মিয়ার আড়াই বিঘা জমির ধান কেটে দিয়েছেন কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা। শনিবার (১ মে) বেলা ১১টায় সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপিকা রুমানা আলী টুসি জেলা ও উপজেলা কৃষকলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে কৃষকের ধান কেটে দেন। এসময় উপজেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

পরিবারের উপার্জনের একমাত্র ব্যক্তি কৃষক মোশারফ মিয়া। তিনি জানান, কৃষিই তার আয়ের প্রধান উৎস। বাড়ির আঙ্গিনায় বিভিন্ন জাতের শাক-সবজি ও ধান চাষ করেই তার সংসার। সরকার ঘোষিত লকডাউনে আয় হারিয়ে চরম দুর্বিসহ জীবন যাপন করতে হচ্ছে তাকে। এমন সময় তার আড়াই বিঘার জমির ধান পেকে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হচ্ছিল। পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে ধান কাটার শ্রমিক সংকট ও দাম বেশি থাকায় তিনি ধান কাটতে ব্যবস্থা করতে পারছিলেন না। প্রতিবেশী ও নিকটাত্মীয়দের কাছে টাকা ধার চেয়েও পাননি। তার এমন অসহায়ত্বের কথা লোক মুখে শুনে স্থানীয় কৃষকলীগ নেতারা উপজেলা পর্যায়ের কৃষকলীগ নেতাদের জানালে তারা কৃষক মোশরফের আড়াই বিঘা জমির ধান কেটে দেয়ার আয়োজন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর জেলা কৃষকলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান লিটন, সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, শ্রীপুর উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি কবির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আইনুল হাসান, গাজীপুর ইউনিয়নের পরিষদ চেয়ারম্যান নুর মো: ইসলাম, পৌর কৃষকলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, শ্রীপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কমর উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান জামান,  ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাসুদ পারভেজ মঞ্জু, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সবুজ ও শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকিরুল হাসান জিকু প্রমুখ #

শ্রীপুরে এনজিও’র ঋণের চাপে যুবকের আত্নহত্যা
গাজীপুরের শ্রীপুরে ঋণের কিস্তির চাপে রুবেল মিয়া (৩৫) নামের শারিরিক প্রতিবন্ধী এক যুবক বিষ পানে আত্মহত্যা করেন। এঘটনায় থানায় অপমৃত্যু দায়ের রুজু হয়েছে। শনিবার (১ মে) দুপুরে উপজেলার ডোমবাড়ীচালা গ্রামে বিষপান করে আত্নহত্যার এ ঘটনা ঘটে। রুবেল ডোমবাড়ীচালা গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে। রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়।

জামিরদিয়া মাষ্টারবাড়ী শাখার পিদিম ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক রাশেদুল আলম জানান, রুবেল মিয়া স্ত্রী সেলিনা আক্তার তাদের সমিতি সদস্য (নং-৭৫৬৪)। ২০২০ সালের ১২ই নভেম্বর সুফলন ঋণের আওতায় সে পাঁচ মাস মেয়াদী ২হাজার টাকা সুদে ২০হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করে। যার সময়সীমা গত এপ্রিল মাসের ১০তারিখ উত্তীর্ণ হয়েছে।

নিহত রুবেলের স্ত্রী সেলিনা আক্তার বলেন, রুবেল শারীরিক প্রতিবন্ধী। সংসারে আরাফাত, শাহাদাত ও রুমেলা নামে তিনজন সন্তান আছে। প্রতিবন্ধী স্বামীকে নিয়ে স্ত্রী সেলিনা সংসারের হাল ধরছিলেন। কৃষিকাজকে প্রাধান্য দিয়ে দারিদ্রতার সাথে যুদ্ধ করে জীবন চলছিল তাদের। বাড়ির আঙ্গিনায় পতিত জমি চাষে টাকার সংকট পড়ায় পিদিম ফাউন্ডেশন, জামিরদিয়া মাষ্টারবাড়ী শাখা থেকে পাঁচ মাস মেয়াদী ২০হাজার টাকা ঋণ নেন। গত ১০ই মার্চ মেয়াদ শেষ হলে ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় উৎকন্ঠায় ভূগছিলেন। গত বুধবার (২৮ এপ্রিল) পিদিম ফাউন্ডেশনের মাঠকর্মী নাঈম বাড়িতে এসে ঋণের টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। পরে রুবেল শনিবার (১লা মে) ঋণের টাকা পরিশোধে আশ্বাস দিলে মাঠকর্মী চলে যান।

সেলিনা আক্তার আরও বলেন, শনিবারও কোন টাকা জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। মাঠকর্মী আসলে তাকে কয়েকঘন্টা পর আসতে বলেন রুবেল। এনিয়ে তার স্বামীর মধ্যে হতাশা তৈরী হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেও টাকা সংগ্রহ করতে না পারায় শনিবার দুপুরে সে ঘরে থাকা কীটনাশক পান করে। বাড়ির উঠানে গোঙানীর শব্দ পেয়ে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সে মারা যায়।

তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য তারেক হাসান বাচ্চু বলেন, পারিবারিক নানা ঝামেলা ও কিস্তির টাকা জোগাড় করতে না পেরে এ যুবকের বিষন্নতা তৈরী হয়। এর থেকেই সে আত্নহত্যা করেছে। তবে করোনার এই সময়ে কিস্তি উত্তোলন বন্ধ করার প্রয়োজন ছিল। কেননা প্রান্তিক কৃষকরা এমনিতেই ভালো অবস্থায় নেই।

পিদিম ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক রাশেদুল আলম আরও বলেন, তার ঋণের মেয়াদপূর্ণ হওয়ায় বুধবার মাঠকর্মী তার বাড়ীতে গিয়েছিল টাকা আদায়ের জন্য। শনিবার টাকা দেয়ার তারিখ দিয়েছিল তারা। পরে আমরা জানতে পারি শনিবার সেলিনার স্বামী আত্নহত্যা করেছে। বিষয়টি সত্যিই দুঃখজনক। তবে প্রতিষ্ঠানের কেউ ঋণের কিস্তির টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করেনি।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিন্নাহ্ বলেন, রুবেল প্রতিবন্ধী ছিল। এছাড়াও সে পারিবারিক বিভিন্ন কারণে বিষন্নতায় ভুগছিলো, পাশাপাশি এনজিওসহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিল। এসব কারণেই আত্মহত্যা করেছে বলে তার পরিবার থেকে জানানো হয়েছে। এঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু দায়ের করা হয়েছে।#


   



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

রাজনীতি বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই