তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাণীনগর-কালীগঞ্জ সড়ক যেন সড়ক নয় জলাশয়

রাণীনগর-কালীগঞ্জ সড়ক যেন সড়ক নয় জলাশয়,বছরের পর বছর কাজ শেষ না হওয়াই দুর্ভোগ চরমে
[ভালুকা ডট কম : ০৯ মে]
নওগাঁর রাণীনগর বাসস্ট্যান্ড থেকে আবাদপুকুর হয়ে কালীগঞ্জ যাওয়ার সড়ক বর্তমানে জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছরেও কাজ শেষ না হওয়াই পুরো সড়ক জুড়ে সৃষ্টি হওয়া বড় বড় গর্ত বৃষ্টির পানিতে জলাশয়ে পরিণত হয়েছে যা দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটি সড়ক নাকি অন্য কিছু। রাণীনগর থেকে পূর্বাঞ্চলের শত শত গ্রামে যাওয়ার এটিই একমাত্র সড়ক হওয়ার কারণে দুর্ভোগ দিন দিন চরম আকার ধারন করছে।

ইতিমধ্যেই এই ২২কিলোমিটার সড়কের প্রসস্থ ও নির্মাণ কাজ দীর্ঘদিনেও শেষ না করায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিপত্র বাতিল করেছে নওগাঁ সড়ক বিভাগ। এতে করে এই অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের মেয়াদ আরো লম্বা হলো। নওগাঁ সড়ক বিভাগ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই চুক্তিপত্র বাতিল করে প্রায় ৪কোটি টাকা জরিমানা হিসেবে আর্থিক দন্ডে দন্ডিত করেছে ওই প্রতিষ্ঠানকে।

নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জনগুরুত্বপূর্ন রাণীনগর-আবাদপুকুর-কালীগঞ্জ ২২কিলোমিটার সড়কটির প্রসস্থ এবং মজবুত পাকাকরণের জন্য গত ২০১৮ সালে দরপত্র আহবান করা হয়। দীর্ঘ ২২কিলোমিটার রাস্তায় ২৬টি কালভার্ট ও ৪টি সেতু নির্মানে মোট ব্যয় ধরা হয় ১০৫কোটি টাকা। এই কাজের সময় দেয়া হয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এর মধ্যে কয়েকটি কালভার্ট ও সেতুগুলোর কাজ এখনোও সম্পন্ন করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিয়ম না মেনে কাজ করায়, কাজে চরম গাফিলতি ও নির্ধারিত সময় শেষে একাধিকবার সতর্ক করার পরও বর্ধিত সময়েও কাজ শেষ না করায় ও নানা অনিয়মসহ বিভিন্ন কারণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গত সোমবার (৩মে) কাজের চুক্তিপত্র বাতিল করা হয়েছে।

আবাদপুকুর বাজারের ব্যবসায়ী রুহুল আমীন বলেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ও অবহেলার কারণে বর্তমানে এই সড়কের বেহাল দশা। কোথাও পাথর আবার কোথাও ইটের খোয়া দিয়ে রাখা হয়েছে। এতে করে দীর্ঘদিন যাবত কাজ না করায় সড়কের অধিকাংশ স্থানেই সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের যার কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়তই চলাচল করতে হচ্ছে এই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষকে। বর্তমানে এই সড়কটি উপজেলার পূর্বাঞ্চলের শত শত গ্রামের মানুষের গলার কাটায় পরিণত হয়েছে।

কাটরাশইন গ্রামের রনজিৎ সরকার বলেন এই সড়ক দিয়ে একবার যাতায়াত করলে পরের দিন শরীরের ব্যথায় আর বিছানা থেকে ওঠা যায় না। কিছু কিছু অসাধু প্রভাবশালী ঠিকাদারদের অবহেলার কারণে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষরা বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ভাগিদার হতে পারছেন না বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধা। মেগা প্রকল্পগুলো সময় মতো শেষ না করায় শহরের অনেক সুবিধাগুলো গ্রামের প্রতন্ত অঞ্চলের মানুষগুলোর কপালে জুটছে না। তাই এই প্রকল্পগুলো সময় মতো শেষ করার লক্ষ্যে সরকারের নিয়মিত মনিটরিং করা এবং অসাধু ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তর মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

নওগাঁ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান সাজিদ বলেন, একাধিকবার সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করার পরও তারা নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে না পারাসহ বিভিন্ন কারণে ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজের চুক্তিপত্র বাতিল করা হয়েছে। দ্রুত অফিসিয়াল প্রসেস শেষ করে এই কাজের জন্য আবার নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হবে। এরপর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নতুন করে চুক্তিপত্র সম্পন্ন করার পর এই কাজ শুরু করা হবে। এতে করে দুর্ভোগের মেয়াদ আরো কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও আমরা চেষ্টা করবো যতদ্রুত এই সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়। আমি আশা রাখি সকল প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হলে চলতি বছরের শেষের দিকে এই সড়কের সকল কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।#











   



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই