তারিখ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ঈদ পরবর্তী সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা

ঈদ পরবর্তী সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা
[ভালুকা ডট কম : ১৪ জুলাই]
দেশে সর্বেশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত হয়ে আরও ২১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ হাজার ৫২ জনে দাঁড়িয়েছে।এ ছাড়া দেশে নতুন করে আরও ১২ হাজার ৩৮৩ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট ১০ লাখ ৫৯ হাজার ৫৩৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৬২৭টি ল্যাবে ৪৪ হাজার ৮১০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪২ হাজার ৪৯০টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার পাওয়া গেছে ২৯ দশমিক ১৪ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৬৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৫ জন, খুলনা বিভাগে ৪৬ জন, বরিশাল বিভাগে ১০ জন, সিলেট বিভাগে নয়জন, রংপুর বিভাগে ১৪ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে আটজন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৫৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৪০ জন ও বাসায় ১৩ জন মারা গেছেন।

এদিকে, ঈদ পরবর্তী সময়ে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।আজ বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন জানিয়েছেন, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত আটদিন বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। কিন্তু আমরা যারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আছি, বিধিনিষেধ শিথিল হলে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করি। কিন্তু সরকার যে নির্দেশনাই দেয়, আমাদের সেটা মানতে হবে। এ জন্য ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধির প্রতিই আপাতত নজর দিচ্ছি।

রোবেদ আমিন আরও বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে শপিং মল, পশুর হাট যদি খোলা রাখা হয়, সেক্ষেত্রে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সেগুলোতে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি এবং শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করার আহ্বান জানাই। আমরা জানতে পেরেছি বিধিনিষেধ শিথিলের মধ্যে পরিবহনও খুলে দেওয়া হবে, কিন্তু সেখানে যদি যাত্রী অর্ধেক না করা হয়, তাহলেও সংক্রমণ কমবে না, বরং লাফিয়ে বাড়বে । কোরবানির হাট ১৭ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত চলবে। কিন্তু পশুর হাটে যদি মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব না থাকে এবং মাস্ক ব্যবহার না হয়, তাহলে সংক্রমণ যে কারো থেকেই ছড়িয়ে যেতে পারে।

অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, বিধিনিষেধ শিথিল করা হোক বা না হোক, যদি স্বাস্থ্যবিধি ঠিকমতো মেনে চলা হয়, তাহলে আশা করছি সংক্রমণ এতোটা ছড়াতে পারবে না। কিন্তু আমরা দেখেছি স্বাস্থ্যবিধি সেভাবে মানা হচ্ছে না। এ ভাবে যদি চলতে থাকে, তবে ঈদ পরবর্তী সময়ে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই