তারিখ : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

সাদামাটাভাবেই পালিত হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী

গাজীপুরের সাদামাটাভাবেই পালিত হচ্ছে কথাসাহিত্যক হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী
[ভালুকা ডট কম : ১৯ জুলাই]
বৈশ্বিক করোনার এ সময়ে অনেকটা সাদামাটাভাবেই প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। পবিত্র কোরানখানি, সীমাবদ্ধ আয়োজনে দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করা হচ্ছে। তবে তাঁর কবর জিয়ারতে কোনো প্রকার সীমাবদ্ধতা হুমায়ূন ভক্তদের বাধা হতে পারেনি। কিন্তু করোনা সংকটের কারণে লোক সমাগম ছিল অন্যান্য বারের তুলনায় কিছুটা কম।

সোমবার সকাল থেকেই গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামে কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের নিজ হাতে গড়া নুহাশপল্লীতে ভক্তদের বরণ করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রয়াত লেখকের নুহাশপল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল হিমু পরিবহন ও হুমায়ূন ভক্তদের সাথে নিয়ে কবর জিয়ারত, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাতে অংশ নেন।মোনাজাত পরিচালনা করেন নুহাশ পল্লী মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. মুজিবুর রহমান। এ সময় লেখকের আত্মার শান্তি কামনায় মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে মোনাজাত করা হয়।

টঙ্গী সরকারি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো, রাজন বলেন, পাঠক ধরে রাখার অনন্য সাধারণ কৌশল রয়েছে হুমায়ূন আহমেদের লেখনীতে। যখন থেকে তার লেখা বই পড়া শুরু করেছি তখন থেকেই তার বক্ত হয়ে গেছি। মন খারাপ হলেই হুমায়ূন স্যারের বই পড়ি।

অপেক্ষা উপন্যাসে মৃত্যু নিয়ে নিজের ভাবনায় ভাবনা তুলে ধরতে গিয়ে হুমায়ুন আহমেদ লিখেছেন ‘মৃত মানুষের জন্য আমরা অপেক্ষা করি না, আমাদের সব অপেক্ষা জীবিত মানুষের জন্য’। অথচ সম্ভব নয় জেনেও তার চলে যাওয়ার ৯ বছর পরও লক্ষ কোটি পাঠক-ভক্তরা অপেক্ষায় থাকে তার লেখা নতুন কোন বইয়ের জন্য।

শিশু সাহিত্য, নাটক, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী, চলচ্চিত্র পরিচালনা থেকে শিল্প সাহিত্যের সব ক্ষেত্রেই আছে তার বিচরণ। কবিতা দিয়ে শুরু করলেও লিখে গেছেন দুই শতাধিক গল্পগ্রন্থ ও উপন্যাস। এখনও হুমায়ুন আহমেদের বই বেশিরভাগ পাঠকের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে।

হুমায়ূন আহমেদ টিভি নাটক বাকের ভাই’ চরিত্রের মাধ্যমে মিছিল-সমাবেশ-আন্দোলন তার উদাহরণ তৈরি করেছিলেন। তার কাল্পনিক চরিত্রের বাস্তবতার সাক্ষী দুই চরিত্র হিমু, মিসির আলী।হিমু পরিবহন গাজীপুরের সদস্য সানজিদা সিমু বলেন, যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন হুমায়ূন স্যারের ভালবাসা নিয়েই বেঁচে থাকতে চাই। স্যারের সকল লেখা পড়তে চাই।

নুহাশ পল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল বলেন, করোনা সংক্রমণের কারণে নুহাশপল্লীতে এবার স্যারের আয়োজন শিথিল করা হয়েছে। সীমাবদ্ধ আয়োজনে এবার তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। প্রতি বছর নানা আয়োজনে কাঙ্গালীভোজের আয়োজন থাকলেও এবার ওইসবের অর্থ দু:স্থদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই ৬৪ বছর বয়সে আমেরিকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অসংখ্য ভক্তদের রেখে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন হুমায়ূন আহমেদ। পরে ২৪ জুলাই গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামে স্বপ্নের নুহাশপল্লীর লিচুগাছ তলায় প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের মরদেহ দাফন করা হয়। ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শোক সংবাদ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই