তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নওগাঁয় চলছে কঠোর লকডাউন,মাঠে সরব প্রশাসন

নওগাঁয় চলছে কঠোর লকডাউন,মাঠে সরব প্রশাসন
[ভালুকা ডট কম : ২৪ জুলাই]
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সারা দেশের ন্যায় নওগাঁতেও চলছে সরকার ঘোষিত ১৪দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। এই বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে নওগাঁয় মাঠে নেমেছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও বিজিবি। কঠোর বিধিনিষেধ সফল করতে জেলা প্রশাসনের ৩৪টি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং শহরের গুরুত্বপূর্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ব্যাটারী চালিত অটোচার্জার, চার্জার ভ্যান সীমিত পনিমান চলাচল করতে দেখা গেছে।

এছাড়াও যারা অযথা রাস্তাঘাটে চলাচল করছে তাদের পুলিশি নানান জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। বন্ধ আছে সকল ধরনের দোকানপাট, শপিংমল ও বিপনী বিতান। করোনা ভাইরাসের শুরু থেকে রবিবার পর্যন্ত নওগাঁয় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়ে ১১৪জন মৃত্যুবরন করেছেন। মোট আক্রান্ত হয়েছে ৫হাজার ৬শত ২৬জন। তবে গত ১সপ্তাহ নওগাঁতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুও সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। চলমান কঠোর বিধি নিষেধ যদি সকলে সঠিক ভাবে মেনে চলে তাহলে নওগাঁতে করোনা ভাইরাস আর মহামারি আকারে দেখা দিবে না বলে আশা করছেন স্বাস্থ্য বিভাগ। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৮দিন লকডাউন শিথিলের পর করোনা সংক্রমণ রোধে ২৩জুলাই (শুক্রবার) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ (লকডাউন)।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়,  নওগাঁয় কঠোর ভাবে পালিত হচ্ছে লকডাউন। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় পুলিশী চেকপোষ্ট স্থাপন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি  ম্যাজিষ্ট্রেটের ভ্রাম্যমান আদলত, পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আনসার  বিভিন্ন এলাকায় থাকলেও দ্বিতীয় দিনেও সকাল থেকেই বিভিন্ন সড়কে ছোট যানবাহনের পাশাপাশি কিছু মানুষের চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে অনেকেই পুলিশের জেরার মুখে পরতে হয়েছে । দোকানপাট ও গণপরিবহণ বন্ধ রয়েছে। রাস্তায় রিকশা, মোটরসাইকেল, কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে দেখা গেছে। মোড়ে মোড়ে অনেককে যানবাহনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের বেশির ভাগই ঈদ উদযাপন শেষে সকালে শহরে পৌঁছেছেন। বিভিন্ন স্থানে চলাচলরত গাড়িকে থামিয়ে তল্লাশি ও  জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেছে। আবার ঈদেও আমেজ পুরোপুরি শেষ না হওয়ার কারণে অনেকেই আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছেন। অনেকেই বিভিন্ন বাহানায় বাহিরে বের হতে গিয়ে গুনতে হচ্ছে জরিমানা।

পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া জানান, সরকার যতদিন চাইবে লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ কাজ করে যাবে। জনগনের কথা ভেবেই সরকার আবারও কঠোর লকডাউন দিয়েছেন। রাষ্ট্র জনগনের জন্য কাজ করেন, জনগনের ভালোর জন্যই কঠোর লকডাউন ঘোণনা করা হয়েছে। পুরো জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জেলার সকল থানার ওসিদের দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে। জেলায় পুলিশের ১১০০জন পুলিশ সদস্য কাজ করছে লকডাউন বাস্তবায়নে। এছাড়া ১৫০জন পুলিশ রিজার্ভ রয়েছে। আগামী ১৪দিনের কঠোর লকডাউন পালনে পুলিশ মাঠে থাকবে। লকডাউন বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন পুলিশ সুপার।

জেলা প্রশাসক মো: হারুন-অর-রশীদ সবাইকে যতটুকু সম্ভব ঘরে থেকেই ঈদের আমেজ উপভোগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। অযথা বাহিরে বের না হওয়ার জন্য তিনি পুরো জেলাবাসিকে অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান কঠোর বিধিনিষেধ সফল করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং তা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভ্রাম্যমান দল কাজ করছে। কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করা কাউকে কোন প্রকারের ছাড় দেওয়া হবে না। সরকারের জারি করা কঠোর বিধি নিষেধকে সম্মান জানিয়ে তা মেনে চলার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ রোধে শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে দেশে কঠোর বিধিনিষেধ (লকডাউন) চলছে। চলবে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত।#





সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই