তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

শ্রীপুরে পোশাক শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

অতিরিক্ত ভাড়া ও সড়কে পর্যাপ্ত গণপরিবহন না থাকায় শ্রীপুরে পোশাক শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ
[ভালুকা ডট কম : ০২ আগস্ট]
অতিরিক্ত ভাড়া ও সড়কে পর্যাপ্ত গণপরিবহন না থাকায় বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করে। সোমবার (২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত দুই ঘন্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর উপজেলা এলাকার ২ নং সি এন্ড বি এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শ্রমিকেরা। এসময় সড়কের উভয় পাশে ছোট ছোট যানবাহন আটকা পড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে অন্যান্য পোশাক কারখানার গাড়ী আটকা পড়ে অফিসে যেতে বিলম্ব হয়।

মাস্টারবাড়ী এলাকার প্যারামাউন্ট কারখানার অপারেটর আব্দুল জলিল, ডেনিমেক্স কারখানার বারটেক অপারেটর উজ্জ্বল মিয়া, বহেরারাচালা এলাকার টি-ডিজাইন কারখানার প্যাকিং অপারেট শহিদুল ইসলাম, বেড়াইদেরচালা এলাকার ডিজাইনন্টেক্স কারখানার কোয়ালিটি সেকশনের কেয়া খাতুনসহ তাদের সহকর্মী অন্যান্য শ্রমিকেরা জানান, সরকার সব কারখানা খুলে দিয়ে গণপরিবহন বন্ধ করে রেখেছে। এতে সড়কে গণপরিবহন না পাওয়ার কারনে আমরা সময়মতো অফিসে যেতে পারি না।  যেসব ছোট ছোট পরিবহন সিএনজি,  ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা পাওয়া যায় তারা ১০ টাকার ভাড়া ৩০ টাকা করে তিনগুণ ভাড়া বেশি নিচ্ছে।

শ্রীপুর পৌরসভার মাষ্টারবাড়ী থেকে নয়নপুর এলাকার ডেক্কু গার্মেন্টসে চাকরি করেন লফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, যেখানে প্রতিদিন নিয়মিত মাষ্টারবাড়ী থেকে অফিস পর্যন্ত যেতে ২০ টাকা খরচ হতো। এখন ৯০ থেকে ১০০ টাকা খরচ হচ্ছে। সিএনজি ও আটো চালকেরা তাদের কাছ থেকে তিন থেকে চার গুণ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।

জৈনা বাজার এলাকার এক পোশাক শ্রমকি মজিদ বেপারী বলেন, আমাদের সময়মতো অফিসে যেতে হবে। না হলে লেট করলে বেতন কেটে রাখবে কারখানা কর্তৃপক্ষ। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই যেতে হচ্ছে। কার কাছে বলবো আমাদের দু:খের কথা। আমরা তো গার্মেন্টস শ্রমিক। তাই, আমাদের কোনো মূল্য নাই।

শ্রমিকেরা আরো জানায়, আমরা তাৎক্ষনিক ঘোষনা শুনে কোনমতে বাড়ি থেকে এসে চাকরি বাচানোর জন্য কাজে যোগ দিচ্ছি। এখন আমাদের হাতে টাকা নেই। বাড়ি থেকে আসার সময় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও বিড়ম্বনা মাথায় নিয়ে আসতে হয়েছে। এখন অফিসে যাওয়ার সময়ও প্রতিদিন এ বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। আমরা যাব কোথায়? আমাদের কথা শুনার কেউ নেই। সবাই খালি আমাদেরকে আশ্বাস দেয়। গার্মেন্টসে চাকরি করে বলে কি আমাদেরকে সরকারের মনিুষ মনে হয় না?

মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনরত শ্রমিকদের কে ভাড়া বেশি না নেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা সকাল সাড়ে ৯ টায় অবরোধ তুলে নেয়।#





সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই