তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় জীবনের ঝুকি নিয়ে সাঁকোতে নদী পারাপার

ভালুকায় জীবনের ঝুকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোতে নদী পারাপার
[ভালুকা ডট কম : ৩০ আগস্ট]
ভালুকার মেদুয়ারী ইউনিয়নের বরাইদ গ্রামে খীরু নদীতে একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে সারা বছর চলাচল করেন ভালুকা ও ত্রিশাল উপজেলার কয়েক গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। ওই স্থানে নদীটি ভালুকা উপজেলায় হলেও নদী পার হলেই ত্রিশাল উপজেলার সাপকালি গ্রাম।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট বাজার ও কয়েকটি মিল কারখানা ভালুকার মেদুয়ারী ইউনিয়নের বরাইদ, বগাজান এলাকয় থাকার কারনে ত্রিশাল উপজেলার কয়েক  গ্রামের ছাত্র ছাত্রী, ব্যবসায়ী, মিল শ্রমিক ও এলাকাবাসীর নদী পারাপারে এই সাঁকোই এক মাত্র ভরসা। ২৯ আগষ্ট রোববার দুপুরে সর জমিন ওই গ্রামে গেলে অনেককেই সাঁকো দিয়ে নদী পার হতে দেখা যায়। এ সময় সাঁকোতে আটকে থাকা উজান থেকে আসা কচুরি পানা পরিষ্কার করছিল আঃ আউয়াল নামে একজন  গ্রামবাসী।

বরাইদ গ্রামের আবু সাঈদ সরকার জানান নদীর এই পাড় ভালুকা আর ওই পাড় ত্রিশাল উপজেলা। ভালুকার বরাইদ ও ত্রিশালের সাপকালি গ্রামের কিছু লোক নিজেদের অর্থায়নে প্রতি বছর বাঁশ ও বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয় করে নিজেরাই সাঁকোটি তৈরী করে থাকেন পারাপারের সুবিধার্থে।

তিনি জানান ভালুকার বরাইদ শহীদ শামছুদ্দীন স্কুল এন্ড কলেজ, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রামপুর ফাজিল মাদ্রাসায় অনেক ছাত্র ছাত্রী সাঁকো দিয়ে নদী পার হয়ে লেখাপড়া করতে আসেন। তাছারা নিজুরি গ্রীণ টেক্সটাইল ও নাফকো ফার্মায় শত শত নারী ও পুরুষ শ্রমিক নদী পার হয়ে প্রতিদিন কর্মস্থলে আসা যাওয়া করে থাকেন। অপরদিকে বরাইদ বাজার, রামপুর বাজার, বগাজান বাজার, উথুরা বাজার ও সাপকালি বাজারে উভয় পাড়ের জন সাধারণ ও ব্যবসায়ীরা সাঁকো দিয়ে পারাপার হয়ে থাকেন। বহুকাল পূর্ব থেকে বর্ষা ও বৃষ্টিতে অনেকটাই জীবনের ঝুকি নিয়ে লোকজন দিন রাত পারাপার করছেন ।

এ  সময় ভালুকার সোয়াইল  গ্রামের আলাল মল্লিক তার শিশু সন্তান আবু সোহান (৮) কে কাঁধে চড়িয়ে লোকজনের সাথে সাঁকো পাড় হয়ে এই পাড়ে আসেন। তিনি জানান সাপকালি  গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলেন অনেক ভয়ে ভয়ে ছেলেকে কাঁধে চড়িয়ে সাঁকো পার হয়েছেন, যদি একটা সেতু থাকতো তাহলে নির্ভিগ্নে আসা যাওয়া করতে পারতেন।

বরাইদ গ্রামের রেজাউল করিম, রফিকুল ইসলাম, আঃ আজিজ, রামপুর গ্রামের আঃ আউয়াল জানান জীবনের ঝুকি নিয়ে ছেলে মেয়েরা প্রতিদিন সাঁকো পার হয়ে স্কুল কলেজে আসা যাওয়া করে। এই স্থানে একটি পাকা সেতুর খুবই প্রয়োজন। তারা জানায় পারাপারের জন্য সাপকালি  গ্রামের আঃ আউয়াল, নূর বকস, কাজী আমিন ও বরাইদ  গ্রামের আঃ আজিজ, রিয়াদ হোসেন ও আবুল মনছুর আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে সাঁকোটি তৈরী করেছেন।

বরাইদ  গ্রামের সাবেক শিক্ষক গিয়াস উদ্দীন সরকার জানান বরাইদ শহীদ শামছুদ্দীন স্কুল এন্ড কলেজ হতে প্রায় দেড় কিলোমিটার দুরে খীরু নদীতে বাঁশের সাঁকো দিয়ে লোকজন ঝুকি নিয়ে পারাপার হলেও এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলাদি হাট বাজারে নিতে পারেনা। এ ছারা দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় মালামাল বহনে খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দুই উপজেলার কয়েকটি  গ্রামের মানুষের চির দুর্ভোগ লাঘবে উল্লেখিত সাঁকোটির স্থানে একটি পাকা সেতু নির্মাণের জন্য গ্রাামবাসী সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই