তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

তজুমদ্দিনে “মহিষ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ

তজুমদ্দিনে “মহিষ উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়)” এর আওতায় মহিষ খামারীদের ০৩ দিন ব্যাপি প্রশিক্ষণ শুরু
[ভালুকা ডট কম : ০৫ অক্টোবর]
ভোলার তজুমদ্দিনে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের আয়োজনে ‘মহিষ উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়)’ এর আওতায়  মহিষ পালন খামারীদের ০৩ দিন ব্যাপি প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। সোমবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১০ ঘটিকায়  উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের প্রশিক্ষণ হল রুমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বরিশাল থেকে আগত বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ পরিচালক জনাব দীপক রঞ্জন রায়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, ভোলা, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ সরকার পিএএ, প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মোঃ নাহিদুল ইসলাম, ডা: মনজুরুল হক, বড় মলংচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব নুর সিকদার, সাবেক ইউপি মেম্বর মো: নুর হাফেজসহ মহিষ পালন খামারিবৃন্দ।

বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ পরিচালক জনাব দীপক রঞ্জন রায়- উন্নত জাতের ঘাস চাষ পদ্ধতি ও প্রাকৃতিক গো-চারণভূমি ব্যবস্থাপনা এবং কাঁচা ঘাস সংরক্ষণ পদ্ধতি নিয়ে মহিষ পালন খামারীদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করেন। পরে মহিষ পালন খামারিদের মাঝে ২০০ কেজি ভিটামিন মিনারেল পাউডার ও ১০২০ পিস কৃমি নাশক ঔষধ বিতরণ করেন।

জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: পলাশ সরকার পিএএ বলেন, ভোলার তজুমদ্দিন চরবেষ্টিত হওয়ায় মহিষ পালনের জন্য খুবই সম্ভাবনাময়। মহিষের দুধ যেমন মিষ্টি তেমনি পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ। এর মাংসেও অনেক খাদ্য গুণ বিদ্যমান। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর তজুমদ্দিন খামারীদের মহিষ পালনে উদ্বুদ্ধ এবং পাশাপাশি মহিষ পালনে প্রান্তিক খামারীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। মহিষের দুধে ফ্যাট পারসেন্টেজ বেশি তাই মহিষের দুধের দাম বেশি এবং দধির জন্য খুবই উৎকৃষ্ট।  তাই মহিষের দুধের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য এ অর্থবছর থেকে তজুমদ্দিনে মহিষের কৃত্রিম প্রজনন শুরু হইবে।মহিষের দুধ ও মাংসের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য মহিষের কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে অধিক উৎপাদন ও প্রজনন ক্ষমতা সম্পন্ন মহিষের জাত উন্নয়ন এবং মহিষের সংখ্যা বাড়ানো, দুগ্ধ উৎপাদনে মহিষের ভূমিকা জোরদার, আধুনিক প্রযুক্তির সম্প্রসারণ, মহিষ খামারিদের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং মহিষজাত খাদ্য পণ্য গ্রহণে জনসচেতনতা বাড়াতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর কাজ করছে।

মহিষ খামারি বাবুল মাঝি বলেন, বন্যা-নদী ভাঙনের সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা চরবাসীর অর্থনৈতিক চিত্র পাল্টে দিয়েছে তাঁদের মহিষের খামার। মহিষ লালন-পালনের মধ্য দিয়ে দৈন্যদশা ঘুচে সচ্ছলতা ফিরেছে তাঁদের জীবনে।কিন্তু বর্তমানে মহিষ পালন অধিক লাভজনক হওয়ায় স্থানীয়রা পালন শুরু করেছে। মহিষ পালনের ব্যাপকতায় এলাকার দরিদ্র কৃষকরা অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বি হয়ে উঠছেন। মহিষের দুধ ও কাঁচা দই বিক্রির টাকা খামারীদের চোখে দিন বদলের স্বপ্ন দেখাচ্ছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কৃষি/শিল্প বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই