নওগাঁয় ৮১৯টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দূর্গাপূজা
[ভালুকা ডট কম : ০৬ অক্টোবর]
সারা দেশের ন্যায় নওগাঁতেও বুধবার মহালয়ার মধ্যে দিয়ে শুরু হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় দূর্গাপূজার উৎসব। আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হবে আগামী ১১অক্টোবর। এবার দেবী দূর্গা আসছেন মর্তলোকে।

এবার নওগাঁ জেলায় ৮১৯টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজোর আয়োজন চলছে। এরমধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় ১১৭টি, মহাদেবপুর উপজেলায় ১৫৮টি, মান্দা উপজেলায় ১২৫টি, বদলগাছী উপজেলায় ১০৬টি, পত্নীতলা উপজেলায় ৮১টি, নিয়ামতপুর উপজেলায় ৬৩টি, রাণীনগর উপজেলায় ৫১টি, আত্রাই উপজেলায় ৪৯টি, ধামইরহাট উপজেলায় ৩৩টি, পোরশা উপজেলায় ১৮টি এবং সাপাহার উপজেলায় ১৭টি পুজো মন্ডপ স্থাপনের কাজ চলছে। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আগামী ১১তারিখ থেকে ১৫ অক্টোবর ৫দিন ব্যাপী ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় শিল্পী ছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শিল্পীরা এখানে এসে প্রতিমা তৈরি ও রং তুলির কাজ করছেন। অন্যদিকে প্রতিমার পাশাপাশি বাদ্যযন্ত্র ঠিক ও তৈরী করতে ব্যস্ত সময় পার করছে ঢাক-ঢোল, কাঁশি ও বাঁশির কারিগররা। এছাড়া পূজা উৎসবকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে মন্ডপগুলোতে চলছে সাজসজ্জার প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে বেশির ভাগ মন্ডপে প্রতিমায় মাটি লাগানোর কাজ শেষ। কিছু কিছু মন্ডপে শুরু হয়েছে রং তুলির কাজ। বৈশিক করোনা মহামারি অনেকটা কম থাকায় মাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলার সকল শ্রেণী পেশার মানুষ।

প্রতিমা তৈরির শিল্পী যুগোল কুমার জানান, দুএক দিনের মধ্যে শুরু হবে রং তুলির আঁচড়। প্রতিমাগুলো মনোমুগ্ধকর ও নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে কাজ করছি। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হবে সকল প্রতিমা তৈরির কাজ। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে কমেছে প্রতিমার দাম কমেছে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক। তবুও বাপ-দাদার এই ব্যবসা ধরে রাখতে আমরা লোকসান দিয়েও প্রতিমা তৈরি করছি।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ কমিটির সাধারন সম্পাদক বিভাস মজুমদার গোপাল জানান, আগামী ১১ অক্টোবর সোমবার ষষ্ঠী তিথিতে শুরু হবে এ পূজা উৎসব। ১৫ অক্টোবর শুক্রবার দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দূর্গাপূজা বা দুর্গোৎসব। এই উৎসব সুন্দর ও সুষ্ঠ পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে প্রতিটি মন্দির কমিটিকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দর্শনার্থীরাসহ মন্ডপে আসা সকলকেই স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে মন্ডপে মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবী রাখা হয়েছে।

নওগাঁর পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বলেন, এই উৎসবকে ঘিরে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটতে দেয়া হবে না। শান্তি, শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রতিটি পূজামন্ডপসহ আশেপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমি আশাবাদি বিগত সময়ের মতো এবারও এই উৎসব সুষ্ঠ, সুন্দর ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।#

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।