তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতিকে জেল জরিমানা

চেক জালিয়াতির মামলায়
ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতিকে ২০লাখ টাকা জরিমানা ও এক বছরের জেল
[ভালুকা ডট কম : ০৭ অক্টোবর]
চেক জালিয়াতির মামলায় ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান মামুনকে বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের তৃতীয় জেলা দায়রা জজ আদালত ২০লাখ টাকা জরিমানা ও এক বছরের জেলের রায় দিয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানাযায়.ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মামুন ও রাজৈ ইউনিয়নের চান্দাব গ্রামের আরফান আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম (চাঁন মিয়ার) মধ্যে গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। ওই সম্পর্কের সূত্রধরে মনিরুজ্জামান মামুনকে চাঁন মিয়া ২৪লাখ টাকা ধার দিয়েছিলেন। টাকা গুলো ফেরৎ দেওয়ার কথা ছিল দু’য়েক মাসের মঝেই। সময়ক্ষেপণ করায় স্থানীয় দেন-দরবারের ২৪লাখ টাকার মাঝে ছাত্রলীগ সভাপতি মামুনের মায়ের হাতে দেওয়া ৬লাখ টাকার কথা অস্বীকার করে কামরুলকে ন্যাশনাল ব্যাংক ভালুকা শাখার ১৮লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করেন মামুন। কামরুল ওই টাকা তুলতে ব্যাংকে যান। কিন্তু মামুনের সেই অ্যাকাউন্টে না থাকায় চেকটি ডিজঅনার হলে কামরুল ইসলাম (চাঁন মিয়া) ২০১৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের তৃতীয় জেলা দায়রা জজ আদালতে চেক জালিয়াতির একটি মামলা করেন।

মামলা চলাকালে জালিয়াতির বিষয়টি অস্বীকার করে স্বাক্ষরটি ভূয়া দাবি করে এক্সপার্টের আবেদন করলে টেস্টে হস্তলেখায় তাঁর স্বাক্ষরের মিল পান আদালত। পরে ছাত্রলীগ সভাপতি মামুন আদালতের কাছে নিজের অপরাধ স্বীকার করে আদালতের কাছে দ্রুত সময়ের মঝে টাকা পরিশোধের সময় চেয়ে নেন। দেই দিচ্ছি করে আদালতে তারিখ পরিবর্তন দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন।

বৃহস্পতিবার (০৭অক্টোবর) সকালে ময়মনসিংহের তৃতীয় জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবুল্লাহ ওই মামলার চুড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ওই বিচারিক আদালত ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মামুনকে ২০লাখ টাকা জরিমানা ও এক বছরের জেল প্রদান করেন।

উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান মামুন বলেন, আদালতের প্রাপ্ত নোটিশে যে চেকটি উল্লেখ করা হয়েছে ওই চেকটি আমার অজান্তে হারিয়ে যায়।উল্লেখিত চেকে আমার স্বাক্ষর জাল করে ১৮লাখ টাকা লিপিবদ্ধ করে আদালতে আমার বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে তা মিথ্যা বানোয়াট। তিনি আরো বলেন কামরুল ইসলাম (চাঁন মিয়া) আমার সাথে কোনো   বন্ধুত্বের সম্পর্ক নেই,তার কাছ থেকে আমি কোনো টাকা ধার নেইনি। ময়মনসিংহের তৃতীয় জেলা দায়রা জজ আদালতে চেক জালিয়াতির মামলায় যে রায় হয়েছে ওই চেকটি কোনো এক সময় চুরি হয়ে যায়। কামরুল ইসলাম (চাঁন মিয়া) ২০১৬ সালে ময়মনসিংহের তৃতীয় জেলা দায়রা জজ আদালতে চেক জালিয়াতির মামলা করেন।কিন্তু কামরুল যে চেকের মাধ্যমে আদালতে মামলা করেছে ওই চেকের উপরে আদালতে চেক চুরির মামলা চলমান রয়েছে।সমাজে ও রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই মামলা করা হয়েছে। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলের প্রস্ততি চলছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই