তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

তজুমদ্দিনে শিক্ষকের বিরুদ্ধে টাকা আত্নসাতের অভিযোগ

তজুমদ্দিনে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারী বরাদ্ধের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ  
[ভালুকা ডট কম : ০৬ নভেম্বর]
ভোলার তজুমদ্দিনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকারী শিক্ষকদের স্বাক্ষর জাল করে সরকারী বরাদ্ধের টাকা পকেটস্থ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় সহকারী শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত অভিযোগ করেন।

লিখিল অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ চাচড়া রহমানিয়াকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহ আলম বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়ে প্রাপ্ত বরাদ্ধের টাকা ব্যয়ের ভাউচারে সহকারী শিক্ষকদের কোন স্বাক্ষর না নিয়ে নিজে হাতে স্বাক্ষর দিয়ে রেজুলেশন সম্পন্ন করে অনিয়ম করে যাচ্ছেন। সরকারী বরাদ্ধ ও ব্যয় সম্পর্কে সহকারী শিক্ষকগণ জানতে চাইলে বিভিন্ন ভাবে তাদেরকে ছুটি না দেওয়া ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দিয়ে বেতন বন্ধ করার হুমকি প্রদান করেন। বিদ্যালয়টিতে কোন শিক্ষা উপকরণ নেই বললেই চলে যে কারণে শ্রেণি কক্ষের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। শ্রেণি কক্ষের পাঠদান সুচারু করতে শিক্ষা উপকরণ ক্রয়ের কথা বললে প্রধান শিক্ষক জানান শিক্ষা উপকরণ ক্রয়ের জন্য কোন বরাদ্ধ নেই। করোনা পরবর্তী বিদ্যালয় খুললেও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় শ্রেণি পাঠদানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উভয়ে করোনার ঝূঁকিতে থেকে শ্রেণি কক্ষে পাঠদান করতে হয়। লিখিত অভিযোগে সহকারী শিক্ষকগণ আরো উল্লেখ করেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রধান শিক্ষক শাহ আলমের সম্পর্কে ভাতিজা হওয়ায় তিনি প্রধান শিক্ষকের হাতের পুতুল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছেন। তাই ম্যানেজিং কমিটির সভাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে কার স্বাক্ষর জালজালিয়াতি করছে সহকারী শিক্ষকরা তাও জানেন না।

শনিবার (৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ সরজমিন স্কুলটিতে গিয়ে দেখা যায় প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহ আলম কোন প্রকার ছুটি ছাড়া স্কুলে অনুপস্থিত। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করার পর ফোন রিসিভ করে বলে তার বাড়িতে কাজ আছে সেজন্য সহকারী শিক্ষকদের বলে তিনি স্কুলে আসেননি। পরে সাংবাদিকরা স্কুল থেকে চলে আসলে দুপুর ১টায় স্কুলে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন প্রধান শিক্ষক শাহ আলম। প্রধান শিক্ষকের বাড়ির লালমোহন উপজেলায় হওয়ায় তিনি প্রায় সময় স্কুলে না আসলেও পরে তার সুবিধামত সময়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন বলে একটি নিশ্চিত করেছেন।

তার অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রেজাউল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষক শাহ আলম আমার কাছ থেকে কোন ছুটি নেয়নি। সে স্কুলে অনুপস্থিত থাকা মানে আজকে স্কুল ফাঁকি দিয়েছে।

দক্ষিণ চাচড়া রহমানিয়াকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহ আলমের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পর্কে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে সরকারী কোন বরাদ্ধ তার স্কুলে দেয়া হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নাই। গত ১ বছরে তিনি শিক্ষা অফিস থেকে কি কি বিল ভাউচার দিয়ে বরাদ্ধের টাকা তুলছেন তার কোন উত্তর দিতে পারেননি। (৬ নভেম্বর) শনিবার স্কুলে অনুপস্থিতির বিষয়ে প্রথমে তার বাসায় কাজ আছে জানালেও পরে বলেন তার স্ত্রী অসুস্থ থাকায় ডাক্তার দেখাতে লালমোহন গেছেন।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বজলুর রহমান বরাদ্ধের টাকা মালামাল ক্রয়ের কথা জানালেও সহকারী শিক্ষকরা জানান স্কুলের সামান্য একটা অংশে শুধু রং করা ছাড়া আর কোন কাজ হয়নি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, উপজেলার অন্যান্য স্কুলে যা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে তিনিও স্কুলে একই বরাদ্ধ পেয়েছেন। বরাদ্ধের বিষয়ে তিনি অস্বীকার করলে সেটা মিথ্যা কথা। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষাঙ্গন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই