তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

শ্রীপুরে আইন থাকলেও মানছে না ইটভাটা মালিকরা

শ্রীপুরে আইন থাকলেও মানছে না ইটভাটা মালিকরা
[ভালুকা ডট কম : ১৯ নভেম্বর]
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী পরিবেশ অধিদপ্তের লাইসেন্স ছাড়া ইট তৈরি করার সুযোগ নেই। লাইসেন্স ছাড়া কেউ ইটভাটা চালু করলে শাস্তির বিধান রয়েছে আইনে। কিন্তু নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চলছে অবৈধ ইটভাটা। আইন থাকলেও আইনের প্রয়োগ না থাকায় গাজীপুরের শ্রীপুরে পরিবেশের ছাড়পত্র বা লাইসেন্সের তোয়াক্কা না করে ইট ভাটাগুলোতে ইট পোড়ানো শুরু হয়েছে।

এতে প্রতি বছর হাজার টনের অধিক কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। আর উজাড় হচ্ছে বন। শ্রীপুর উপজেলায় ২২টি ইটভাটার মধ্যে ১২টি ভাটার জেলা প্রশাসনের অনুমতি সনদ (লাইসেন্স) নেই। আর পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও নেই। এসব ইটভাটা স্থাপনের ক্ষেত্রে যে নিয়মনীতি মেনে চলা উচিত, তা এ ভাটাগুলো পূরণ করতে পারছে না। এ ইটভাটাগুলো যে বায়ুদূষণের জন্য মারাত্মকভাবে দায়ী, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। শীতকালে বাংলাদেশের বায়ুর মান সামগ্রিকভাবেই নিচে নেমে যায় এবং ইটভাটাগুলোকে বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। উপজেলার গোসিঙ্গা লতিফপুর এলাকায় রয়েছে ১০টি ইটভাটা তার মধ্যে মাত্র একটি ইটভাটার অনুমতি রয়েছে। এই ইটভাটা গুলোতে প্রতিনিয়ত কাঠ পুড়িয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে। এলাকাটি ঘনবসতি বাড়িঘর থাকায় ইট ভাটার কালো ধোয়া র্নিগত হওয়ার কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। অনেকের নানা ধরণের চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এছাড়া কৃষকদের ধানের ফসলী জমিতে ভাল ধান উৎপাদন করতে পারছে না। তরিতরকারি শাক সব্জি উৎধাদন ও ব্যাহত হচ্ছে।

গত বছর উপজেলার বরমা এলাকার মেসার্স অপু ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা, মেসার্স সালাউদ্দিন ব্রিকসকে ৫ লাখ টাকা, গোসিংগা এলাকার এমইএন ব্রিকসকে ৪ লাখ টাকাসহ মোট ১১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়ে ছিল। মেসার্স আশরাফুল ব্রিকস, মালিককেও জরিমানা করা হয়।এসব ভাটাগুলোর অনুমোদন না থাকায় ভেঙে  বন্ধ করে দিয়েছিল প্রশাসন। এসব ইটভাটা সাময়িকভাবে বন্ধ করা হলেও পরে আবার অদৃশ্য শক্তির বলে পুনরায় আবার চালু হয়েছে। উপজেলার ইট প্রস্তুতকারী মালিকদের দাবি, প্রয়োজনীয় সব কাগজ জমা দেওয়ার পরও পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন থেকে ইট পোড়াতে অনুমোদন সনদ দেওয়া হচ্ছে না।

গাজীপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নয়ন মিয়া বলেন, যেসব ইটভাটাগুলোর কোন অনুমতি সনদ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই সেইসব ইটভাটাগুলো ভেঙে দেওয়া হবে।

গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস.এম তরিকুল ইসলাম জানান, কোনো অবস্থাতেই অবৈধভাবে ইটভাটা চলতে দেওয়া হবে না। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই