তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাণীনগর-আত্রাই চালকদের আর দিতে হয় না চাঁদা

বিভিন্ন মোড়ের সমিতিতে আর চাঁদা দিতে হয় না রাণীনগর-আত্রাই উপজেলার পেশাজীবী ভ্যান-চার্জার চালকদের
[ভালুকা ডট কম : ০৫ ডিসেম্বর ]
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার ভ্যান, ব্যাটারী চালিত ভ্যান, ভটভটি ও অটোচার্জার চালকদের আর মাসিক কিংবা প্রতিদিন মোড়ে মোড়ে চাঁদা দিতে হয় না। কতিপয় ব্যক্তিরা পূর্বে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ও মোড়ে মোড়ে সমিতির নামে এই সব খেটে খাওয়া পেশাজীবী মানুষদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা চাঁদা হিসেবে আদায় করতো। কিন্তু বর্তমান সাংসদ আনোয়ার হোসেন হেলালের নিজস্ব উদ্যোগে চাঁদা আদায়ের এই কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। তাই বর্তমানে উপজেলার গরীব এই সব পেশাজীবী মানুষরা অনেকটাই স্বস্তিতে আছেন। প্রতিদিন তাদের শতাধিক টাকা অতিরিক্ত লাভ হচ্ছে।

রাণীনগর উপজেলার পশ্চিম বালুভরা গ্রামের চার্জার ভ্যান চালক খলিলুর রহমান বলেন পূর্বে প্রতিটি মোড়ের সমিতিতে প্রতি মাসে ১শত টাকা করে চাঁদা দিতে হতো। এছাড়া এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ভাড়া নিয়ে গেলেও ওই এলাকার বিভিন্ন মোড়ের সমিতিতে চাঁদা দিতে হতো। কিন্তু বর্তমান এমপির উদ্যোগে এই চাঁদা তোলা সম্পন্ন বন্ধ করে দেওয়ায় আমাদের আর কোথাও চাঁদা দিতে হয় না। এখন আমরা স্বাধীন ভাবে বিভিন্ন স্থানে ভাড়া নিয়ে যাচ্ছি। এতে করে প্রতি মাসে আমাদের অনেক টাকা সঞ্চয় করা সম্ভব হচ্ছে।

উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের অটোচার্জার চালক মেহেদী হাসান বলেন আগে আমাদের উপজেলা বাসস্ট্যান্ড সমিতিতে প্রতিদিন ২০টাকা দিয়ে একটি করে টোকেন নিয়ে গাড়ি চালাতে হতো। এছাড়াও এক সমিতির এলাকা থেকে অন্য সমিতির এলাকাতে গেলে প্রতিদিন ১০টাকা করে চাঁদা দিতে হতো। পূর্বে রাণীনগর উপজেলা থেকে ভাড়া নিয়ে পার্শ্ববর্তি আত্রাই উপজেলা হয়ে ঘুরে আসতে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে চাঁদা দিতে হতো প্রায় ১শত৭০টাকা।

আত্রাই উপজেলার মির্জাপুর স্ট্যান্ডের ভ্যান চালক রবিউল ইসলাম বলেন নামে-বেনামের সমিতি গঠন করে প্রতি মাসে আমাদের মতো চালকদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে সমিতির কর্তা ব্যক্তি ও  স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা পুলিশ প্রশাসনকে লামছাম কিছু টাকা দিয়ে বাকিটা তারা হরিলুট করতো। কিন্তু গত বছর আনোয়ার হোসেন হেলাল এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর উপজেলার সকল চাঁদাবাজ সমিতির কর্তা ব্যক্তিদের এই সব পেশাজীবী মানুষদের কাছ থেকে কোন প্রকারের চাঁদা আদায় না করতে নিষেধ করে দেওয়ার পর থেকে রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার কোন স্থানে আমাদের আর কোন চাঁদা দিতে হচ্ছে না। আমরা এখন অনেকটাই স্বস্তিতে আছি।

নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো: আনোয়ার হোসেন হেলাল বলেন আমি যখন উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলাম তখনও এই চাঁদা আদায় বন্ধ করার চেস্টা করেছিলাম কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা পারিনি। বঙ্গবন্ধুর এই লাল সবুজের বাংলাদেশে খেটে খাওয়া পেশাজীবী মানুষরা কেন চাঁদা দিবে। ৩০লাখ মানুষ বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে এই বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে এই দেশেরই গরীব খেটে খাওয়া মানুষদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করার জন্য। তাই আমি গত বছর অক্টোবরে উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর গরীব এই সব পেশাজীবী মানুষদের কাছ থেকে নামে-বেনামে সমিতির সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে চাঁদা আদায় বন্ধ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করি। পরবর্তিতে রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার সকল সমিতির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে গরীব মানুষের ঘাম ঝড়ানো কষ্টের টাকা চাঁদা হিসেবে আদায় না করতে কঠোর ভাবে নির্দেশনা প্রদান করি।

তিনি আরো বলেন যদি কেউ কোথাও কখনোও কোন সমিতির নামে এই সব মানুষদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো বলে হুশিয়ারী প্রদান করেছি। যার কারণে বর্তমানে এই দুই উপজেলার আর কোথায় গরীব এই সব খেটে খাওয়া মানুষদের কাছ থেকে সমিতির নামে আর কোন চাঁদা আদায় করা হয় না। আমি যতদিন এই অঞ্চলের এমপি হিসেবে আছি ততদিন দলের নামে কিংবা অন্য কোন ভাবে এই সব অন্যায় ও নির্যাতনকে আমি কখনোই প্রশ্রয় দিবো না।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই