তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নান্দাইলে নির্বাচনী আচরণবিধি মানছেনা প্রার্র্থীরা

নান্দাইলে নির্বাচনী আচরণবিধি মানছেনা প্রার্র্থীরা
[ভালুকা ডট কম : ২৩ ডিসেম্বর]
আসন্ন ৫ই জানুয়ারী পঞ্চম ধাপে নান্দাইল উপজেলায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনী আচরণ বিধি মানছেনা। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে যে যার মতো চালাচ্ছে প্রচার-প্রচারণা।

দেওয়ালে পোস্টার লাগানো, বিশেষ করে নির্ধারিত সময়ের পূর্বে ও পরে প্রচার মাইক বাজানো ও নির্বাচনী ক্যাম্পে টেলিভিশন/প্রজেক্টর ব্যবহার সহ বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী আচরণ বিধি মালা ২০১০ এর ধারা নং ৭ এর (গ) ও (ঘ) প্রতিপক্ষের পথসভা বা ঘরোয়া সভা বা অন্যান্য প্রচারাভিযান পন্ড বা উহাতে বাধা প্রদান বা কোন গোলযোগ সৃষ্টি করা যাবে না। গোলযোগ করিলে নিজেরা ব্যবস্থা গ্রহন না করে পুলিশ প্রশাসনের শরণাপন্ন হওয়ার কথা বলা হয়েছে।এছাড়া আচরণবিধি মালা নং ৮ এর (৮)-এ দেওয়ালে পোস্টার লাগানোর কথা নিষেধ থাকলেও অনেক প্রার্থীরা নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন দেওয়ালে পোস্টার লাগিয়েছেন। যদিও তা সুতা দিয়ে টানিয়ে দেওয়ার কথা রয়েছে। আচরণবিধি মালার ৯ এর (৩) এ নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিসে কোন টেলিভিশন, ভিসিআর, ভিসিডি, ডিভিডি ইত্যাদির ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকলেও অনেকেই তা মানছেনা।

অপরদিকে ১৭ এর (খ) এ নির্বাচনী ক্যাম্পে ভোটারগণকে কোনরূপ পানীয় বা খাদ্য পরিবেশন করার বিধি নিষেধ থাকলেও তা না মেনে দেড়াসে রাতভর পানীয় খাবার বিতরণ চলছে। আচরণবিধি মালার ১৮ (ক) অনুযায়ী নির্বাচনী প্রচারণাকালে ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করে কোন ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য বা বিবৃতি প্রদান করার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অনেকেই তা মানছেনা। শুধু তাই নয়, আচরণবিধি মালার ২১ এর (১) ও (২) এ নির্বাচনী প্রচার মাইক বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চালানোর নির্ধারিত সময় দেওয়া থাকলেও তা না মেনে ভোর সকাল থেকে রাতভর প্রচারণা মাইক চালিয়ে যাচ্ছে প্রার্থীগণের পক্ষের লোকজন। এতে করে প্রচার মাইকের উচ্চ শব্দে তথা শব্দ দূষণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনগণ ও স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা।

এছাড়া আচরণবিধি মালার ২২ এর (১) এ সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী কারও পক্ষে কোন ধরনের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা অনেকেই মানছেনা। উক্ত নির্বাচনী আচরণবিধি মালা লঙ্ঘনে ৬ মাসের কারাদন্ড অথবা অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হওয়ার কথা থাকলেও এসমস্ত আচরণবিধির তোয়াক্কা না করেই প্রচার-প্রচারভিযান চালিয়ে যাচ্ছে চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রার্থীরা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফখরুজ্জামান বলেন, এ পর্যন্ত আমাদের নিকট কোন অভিযোগ আসেনি। তবে আচরণ বিধি পর্যবেক্ষনের জন্য মাঠ পর্যায়ে তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোন অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই