তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

সার্জন ছাড়াই চলছে রাণীনগর প্রাণি সম্পদ দপ্তর

সার্জন ছাড়াই চলছে রাণীনগর প্রাণি সম্পদ দপ্তর,বিড়ম্বনায় সেবা গ্রহিতারা
[ভালুকা ডট কম : ০৪ মার্চ]
নওগাঁর রাণীনগরের জনগুরুত্বপূর্ন দপ্তর প্রাণিসম্পদ দপ্তর। মানুষের শরীরিক গঠনে দুধ, ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে উপজেলা ভিত্তিক এই প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল। দীর্ঘদিন এই দপ্তর ভেটেরিনারী সার্জনসহ অন্যান্য বিভাগের জনবল ছাড়াই সেবা প্রদানের কাজ করে আসছে। এতে করে গবাদিপশুর চিকিৎসা সেবা নিতে এসে চরম বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে উপজেলার শত শত সেবাগ্রহিতাদের।

উপজেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, একটি প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের হৃদপিন্ড হচ্ছে ভেটেরিনারী সার্জন। তিনিই মূলত হাসপাতালে সার্বক্ষণিক ভাবে উপস্থিত থেকে হাসপাতালে আসা গবাদিপশুগুলোর চিকিৎসা প্রদান করবেন। আর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অফিসের অন্যান্য দাপ্তরিক কাজ ও বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়ন করেন তাই সেই কর্মকর্তার পক্ষে হাসপাতালে আসা পশুগুলোর চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। কিন্তু এই হাসপাতালে দীর্ঘদিন সার্জন পদটি শূন্য থাকায় সব কাজই করতে হচ্ছে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে যার কারণে সেবাগ্রহিতারা হাসপাতালের এসে সঠিক ভাবে ও সঠিক সময়ে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না। বর্তমানে এই দপ্তরের ১১টি পদের মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ন সার্জন, ড্রেসার ও ভিএফএ এই ৩টি পদ শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন যাবত। এছাড়াও হাসপাতালের অবকাঠামোগত অবস্থা খুবই নাজুক। হাসপাতালের প্রধান ফটকের অবস্থা খুবই নাজুক। দীর্ঘদিন সংস্কার কিংবা মেরামত না করায় ফটকের বিভিন্ন অংশ খুলে খুলে পড়ছে। কখন যে ভেঙ্গে পড়ে যায় তার কোন নিশ্চয়তা নেই। এছাড়াও হাসপাতালের নিরাপত্তা বেষ্টনীরও একই দূর অবস্থা। হাসপাতালের চারিদিকে আধুনিক মানের নিরাপত্তা প্রাচীর ও নিরাপত্তারক্ষী না থাকায় রাতের আধাঁরে এখানে ভ’তরে অবস্থার সৃষ্টি হয়। এছাড়া নিয়মিত বসে মাদকসেবীদের আড্ডা। কোন নিরাপত্তা প্রহরী না থাকায় হাসপাতালে থাকা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সরকারি উপকরন নিয়ে চরম উদ্বেগের মধ্যে থাকতে হয় দায়িত্বরত ব্যক্তিদের।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হিসেবে সদ্য যোগদান করা কর্মকর্তা ডা. মোছা. কামরুন নাহার বলেন, প্রতিদিনই এই হাসপাতালে সেবাগ্রহিতাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু তার তুলনায় জনবল সংকট লেগেই আছে। যার কারণে সেবাগ্রহিতাদের আমরা কাঙ্খিত সেবা দিতে পারছি না। বর্তমানে প্রকল্পের জনবল দিয়ে এ উপজেলার গৃহপালিত পশুগুলোর চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছি। বিশেষ করে সার্জন না থাকায় এই সেবা প্রদানের সমস্যাটি দিন দিন আরো প্রকোট আকার ধারন করছে। এছাড়াও হাসপাতালের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও একজন নিরাপত্তা প্রহরী (চুক্তিভিত্তিক) অত্যন্ত জরুরী। আমি এই সমস্যা ও চাহিদাগুলোর বিষয় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। আশা রাখি বর্তমান সরকার অচিরেই এই সমস্যাগুলো সমাধান করে এই জনগুরুত্বপূর্ন দপ্তরকে আবার চাঙ্গা করে তুলবেন।#





সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই