তারিখ : ২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
[ভালুকা ডট কম : ২১ মার্চ]
১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বাংলাদেশের বৃহত্তম পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ (সোমবার) বেলা ১২টার দিকে তিনি বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উদ্বোধনের পর দেশের শতভাগ জনগণকে বিদ্যুতের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে পটুয়াখালী যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনা মহামারি শুরুর পর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার বাইরে দেশের অন্য কোথাও এটিই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সফর। পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র সংলগ্ন হেলিপ্যাডে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছালে তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে তিনি পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং এর নাম ফলক উন্মোচন করেন। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উদ্বোধন উপলক্ষে ১ হাজার ৩২০টি পায়রা উড়ানো হয়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার প্রাইভেট লিমিটেড পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস প্রধানমন্ত্রীর হাতে কোম্পানির পক্ষ থেকে অনুদানের চেক তুলে দেন।অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ খাতের অগ্রগতির ওপর একটি অডিও-ভিডিও উপস্থাপন এবং পায়রা তাপ বিদ্যদুৎ কেন্দ্রের ওপর তথ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি দক্ষিণ পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার অন্তর্গত রামনাবাদ নদীর পাশে ২৪৮ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে এক হাজার একর জমিতে নির্মিত হয়েছে। এবং এ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে আল্ট্রা সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বের ১৩তম দেশে পরিণত হয়েছে।পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ৬৬০ মেগাওয়াট ইউনিটটি ২০২০ সালের মে মাসে বাণিজ্যিকভাবে চালু হয় ৪০০ কেভি পায়রা-গোপালগঞ্জ পাওয়ার ট্রান্সমিশন ব্যবহার করে এবং দ্বিতীয়টি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে উৎপাদন শুরু করে।পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়াও আরেকটি পাওয়ার প্ল্যান্টের নির্মাণকাজ চলছে। এবং সরকারের আরও একটি এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং পায়রায় একটি সোলার সিস্টেম পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

প্ল্যান্টটি তৈরি করছে বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি (বিসিপিসিএল), চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন (সিএমসি) এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) এর মধ্যে একটি ৫০:৫০ যৌথ উদ্যোগ।

বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড, এনইপিসি ও সিইসিসি’র কনসোর্টিয়াম পায়রা এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়নের জন্য ২৯ মার্চ ২০১৬ তারিখে ইপিসি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার যে দেশগুলো তাদের জনসংখ্যার ৯৮ শতাংশ ও ৭৪ শতাংশকে বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের আওতায় এনেছে, সে তালিকায় বাংলাদেশ এখন ভারত ও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে।

বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ২৫ হাজার ৫১৪ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে, যা ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে চার হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট ছিল। এর মধ্যে এক হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। এবং ১৯ হাজার ৬২৬ মেগাওয়াট স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হচ্ছে।২০০৯ সালে জনসংখ্যার মাত্র ৪৭ শতাংশ বিদ্যুতের আওতায় ছিল। মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ২২০ কিলোওয়াট থেকে ৫৬০ কিলোওয়াটে উন্নীত হয়েছে এবং বিদ্যুতের বিতরণ ক্ষতি ৫ দশমিক ৮৫ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে।সাবমেরিন কেব্‌লের মাধ্যমে স্থানীয় চর সোনারামপুর, আশুগঞ্জ, রাঙ্গাবালী, মনপুরা, সন্দ্বীপ, হাতিয়া, নিঝুম দ্বীপ ও কুতুবদিয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

জাতীয় বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই