তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গফরগাঁও ৫ শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের জিডি

ডিজিটাল হাজিরা নিয়ে বিরোধ
গফরগাঁও খায়রুল্লাহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের থানা জিডি
[ভালুকা ডট কম : ০৯ এপ্রিল]
ময়মনসিংহের গফরগাঁও খায়রুল্লাহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হাজিরা যথাসময়ে নিশ্চিত করতে ডিজিটাল হাজিরা চালু করতে গিয়ে কয়েজজন শিক্ষকের কাল হলেন ভাপরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয়ের নিয়মের ব্যতয় ঘটাতে বিরুদ্ধাচারণ করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরো করে।বিরুদ্ধাচারী ওই শিক্ষকদের তোপের মুখে পরতে হয় প্রধান শিক্ষককে।চলমান পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হওয়াতে অভিভাবক মহলে উদ্ধেগ ও উৎকন্ঠা দেখা দেয়।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রহিমা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ২০১৯ সাল থেকে অদ্যাবধি দায়িত্বে আছি।আমি আমার বিদ্যালয়ের সুনাম ও সুখ্যাতি অক্ষুন্ন রাখতে প্রানান্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।সম্প্রতি কয়েকজন শিক্ষকের স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটলে তারা বিদ্যালয়ের সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করার পায়তারা করছে। বিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধ ডজন শিক্ষক (ইংরেজী বিষয়ের শিক্ষক মোঃ মাহমুদুর রহমান,ভৌত বিজ্ঞানের মনিরুজ্জামান,গণিতের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ খোশেদুজ্জামান,ইংরেজী বিষয়ের সহকারী শিক্ষক মামুনুর রশিদ,গণিতের সিনিয়র শিক্ষক কবির আহম্মেদ) যোগসাযোশে করে বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে।তারা করোনা মহামারিতেও কোচিং বানিজ্য ,ভর্তি বানিজ্য ,শ্রেনী কক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে দায়িত্বহীনতা,বিদ্যালয়ে আগমন প্রস্থানে অনিয়ম,শিক্ষার্থীদের শ্রেনী পাঠে মনোযোগী না করে কোচিংয়ে উদ্বোদ্ধকরন,বায়োম্যট্রিক হাজিরার বিরোধিতা,সিনিয়র ও জুনিয়র শিক্ষকদের সাথে অসদাচরণ,আপ্যায়ন কমিটিতে অনিয়ম করে অর্থ আত্নসাৎ করেছে।তাদের সেচ্ছাচারিতার বিরুধিতা করাতে তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

রহিমা খাতুন আরও বলেন, আমি বিদ্যালয়ের সভাপতি ও নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শে বিদ্যালয়ে ডিজিটাল হাজিরা চালু করি।এতেই তারা আমার বিরুদ্ধে উঠে পরে লেগেছে।গত ২৮ মার্চ বিদ্যালয় চলাকালিন সময়ে ডিজিটাল হাজিরা নিয়ে তাদের তোপের মুখে পরি।এঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও গফরগাঁও থানার ওসি বরাবর আমি অভিযোগ দিয়েছি।বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ইতিপূর্বে তাদের বিরুদ্ধে আমার কাছে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

শিক্ষকদের অবস্থানের উপর দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,এতদিন সব ঠিক ছিলো হঠাৎ তারা কয়েকজন আমার বিরুদ্ধে উঠে পরে লেগেছে। মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের টেবিলে ধন্না দিচ্ছে ।যতটাকা লাগে তারা খরচ করে হলেও আমাকে সরিয়ে দিবে বলে হুমকি দিচ্ছে।

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সিনিয়র শিক্ষকদের দুইপক্ষের বিপরীত অবস্থানের কারণে শ্রেনী পাঠদান ও বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে বলে অভিভাবকরা জানান।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক বলেন শিক্ষকরা এখন বানিজ্যিক হয়ে গেছে।লেখাপড়ার মান তলানিতে পৌচেছে। দুই পক্ষের এই কাঁদা ছোঁরাছোরিতে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন তারা নিজেরদের আলো শিক্ষার্থীদের মাঝে কি ছড়াবে নিজেরাই অন্ধকারে আছে।স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানে অভিভাবকরা যে আশা নিয়ে সন্তানদের ভর্তি করান।তারা তার শিকি ভাগও পূরণ করতে পারে না।শিক্ষকদের অভ্যন্তরিন কোন্দলের খেশারত দিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।দ্রুত এই পরিস্থিতি উত্তোরণ করে শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি কামনা করছি।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের করা অভিযোগের বিষয়ে জানতে সহকারি মোঃ মাহমুদুর রহমান মুকিম বলেন, আমি বিদ্যালয়ের নিয়ম বর্হিভূত কোন কজে জিড়িত না।আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলো মিথ্যা।বিদ্যালয়ের সভাপতি ও নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবিদুর রহমান বলেন,উদ্ভুদ্ধ পরিস্থিতির উপর প্রতিবেদন উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষাঙ্গন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই