তারিখ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নীতিমালা ছাড়াই গাছ কাটলেন ইউএনও

নীতিমালা ছাড়াই গাছ কাটলেন ইউএনও
[ভালুকা ডট কম : ১৮ এপ্রিল]
নওগাঁর পার্শ্ববর্তি বগুড়ার আদমদীঘিতে নীতিমালা ছাড়াই সরকারি খাস জায়গার প্রায় অর্ধ শতাধিক গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে ইউএনও এর বিরুদ্ধে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবণী রায়ের তত্বাবধানে গাছগুলো কাটা হয়েছে বলে জানা যায়। তিনি কোন টেন্ডার ছাড়াই ওই গাছগুলো বিক্রি করেছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। কবে কোথায়, কখন টেন্ডার হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশায় আছে ওই এলাকার লোকজন। ঘটনাটি উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুসুম্বি গ্রামের একতিয়ার পুকুর এলাকায়। এ নিয়ে এলাকায় চলছে ব্যাপক সমালোচনা।

জানা যায়, আইনের বিধিমালা অনুয়ায়ী সরকারি জায়গায় গাছ লাগানোর এক বছরের বেশি বয়স হলে সেক্ষেত্রে প্রকাশ্যে নিলাম বা টেন্ডার দিয়ে গাছ কাটতে হবে। এছাড়া বাড়ির গাছ কাটতেও লাগবে অনুমোদন সম্প্রতি এমন একটি নতুন আইন ধার্যকরা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিধিমালা অনুয়ায়ী গাছ কাটতে হবে। অথচ নিয়ম নীতির পরেও মানা হচ্ছে না যথাযথ আইন। প্রকাশ্যে কোন রকম বিধিমালা ছাড়াই বগুড়ার আদমদীঘিতে সরকারি খাস জায়গায় লাগানো প্রায় অর্ধ শতাধিক গাছ কাটার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি উপজেলা সদর ইউনিয়ন কুসুম্বি গ্রামের একতিয়ার পুকুর এলাকায়। এখানে ২০ বছরের পুরাতন বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো ছিলো। যা আশ্রয়ন প্রকল্পের ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ১০টি ঘর নির্মানের জায়গা নির্বাচনের জন্য এ গাছগুলো কাটা হয়েছে। যা কোন রকম টেন্ডার ছাড়াই প্রায় ৩লক্ষ টাকার গাছ কাটা হয়।

স্থানীয়রা বলছেন এই খাস জায়গার গাছগুলো কাটার অনুমোদন দিয়েছে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শ্রাবণী রায়। তার তত্বাবধানে কাঠুরিয়া দিয়ে গাছগুলো কেটে স মিলে পাঠানো হয়েছে। ওই কাঠ দিয়ে তিনি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরের কাজে ব্যবহার করবে বলে জানা যায়। অথচ এ প্রকল্পের জন্য একটি ঘর প্রতি সরকারি ভাবে বরাদ্দ ২লক্ষ টাকা। সরকারি এই গাছগুলোর রক্ষণা বেক্ষণের দায়িত্ব যাদের তারাই যদি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এমন কাজ করেন। তাহলে সাধারণ জনগণের থেকে কিবা আশা করা যায়? অনেকেই করছেন সমালোচনা। অপরদিকে বিভিন্ন রাস্তার মরা গাছ দাঁড়িয়ে আছে কঙ্কালের মতো যা সামান্য ঝড় বৃষ্টিতে জনসাধারণের প্রাণ হানির মতো ঘটতে পারে বড় ধরনের ঘটনা। সে গাছগুলো ঠিকমতো কাটা হয়না। সেখানে হয়তো নিয়মের সকল বাঁধায় থাকে এমনটাই বলছেন এলাকাবাসী।

স মিলের স্বত্বাধিকারী দুলাল হোসেনের ছেলে জামরুল হোসেন বলেন, এ গাছগুলো কেটে এখানে আনা হয়েছে। কাঠগুলো নাকি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর তৈরির কাজে ব্যবহার হবে। তাই গাছগুলো চিঁড়ে কাঠ বেড় করে দিচ্ছি।

কুসুম্বি এলাকার শাহাদত হোসেন বলেন, সরকারি এই খাস জমির পাশে আমাদের পৈতিক জমি আছে। এতদিন এই খাস জমি আমাদের দখলে ছিলো। সেখানে গত ২০বছর আগে আমারা গাছ লাগিয়েছিলাম। করেছি পরিচর্যা সে সুবাদেও আমাদেরকে একটা গাছ দেওয়া হয়নি। এ গাছগুলো নাকি সরকারি কাজের জন্য কাটা হয়েছে সেটাই বলা হয়েছে।

খাস জমিতে আশ্রয় নেওয়া রওশন আরা বলেন, এই জায়গায় গাছগুলো কাটার সময় আমার বাড়ির টিনে গাছ পড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমার স্বামী নেই দুই সন্তান নিয়ে সুতার কাজ করে কোন রকম জীবন পার করছি। আমার পক্ষে এই ক্ষতি সাড়াতে অনেক সময় লাগবে।

বগুড়ার সামাজিক বন অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, গাছকাটার বিষয়ে আমাদের থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়নি। গাছ টেন্ডার ছাড়া কাটার নিয়ম আছে কিনা? এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন টেন্ডার ছাড়া গাছ কাটার নিয়ম নাই তবে খাস জায়গা ইউএনও এসিল্যান্ড তারা দেখেন। বিষয়টি তারা বলতে পারবেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবণী রায় বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের নেগেটিভ নিউজ না করাটাই সমীচীন হবে। তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু সরকার বিরোধী গণমাধ্যম কর্মী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের কাজ বাধাগ্রস্ত করার চক্রান্তে লিপ্ত থেকে অপপ্রচার চালাচ্ছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই