তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

তজুমদ্দিনে গভীর নলকূপ বসানোর অভিযোগ

তজুমদ্দিনে ভূয়া খাস জমি দেখিয়ে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গভীর নলকূপ বসানোর অভিযোগ
[ভালুকা ডট কম : ৩০ এপ্রিল]
ভোলার তজুমদ্দিনে ঘুষের বিনিময়ে ভূয়া খাস জমি দেখিয়ে এলডিডিপি প্রকল্পে’র সরকারী গভীর নলকূপ বসানো পায়তারা করার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তজুমদ্দিনের বিভিন্ন খামারীরা জেলা কর্মকর্তার বিচারদাবী করে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, এলডিডিপি প্রকল্পের আওতায় বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় গবাদি-পশুর বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের জন্য ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলায় একটি গভীর নলকূপ বরাদ্ধ পায়। যদিও প্রকল্পের নিয়মানুযায়ী সকল প্রকার খামারীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে উপজেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তর নলকূপ বসানোর জায়গা নির্ধারণ করবে। কিন্তু ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইন্দ্রজিত কুমার মন্ডল উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরকে না জানিয়ে অতিগোপনে ঘুষের বিনিময়ে ভূয়া খাসজমি দেখিয়ে আড়ালিয়া গ্রামের মাঝারি গরুর খামারী ইদ্রিস মিয়ার নামের তালিকা ঢাকায় প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করেন। প্রেরিত তথ্য অনুযায়ী দেখা যায় মোঃ ইদ্রিস মিয়া এর নামে বরাদ্দকৃত খাস জমিতে ১নং খতিয়ানের ৪৫নং মৌজার ২৬৬নং দাগে গভীর নলকূপটি বসানোর চিঠি আসলে বিষয়টি নিয়ে খামারীদের মাঝে তোলপাড় শুরু হয়। উপজেলা ভূমি অফিসের তথ্যমতে ৪৫নং মৌজা নামে তজুমদ্দিনে কোন মৌজাই নেই। সে অনুযায়ী খামারীদের দাবী খাসজমির পুরো তথ্যটি ইন্দ্রজিত কুমার মন্ডল ঘুষের বিনিময়ে ভূয়া প্রেরণ করছেন। তাছাড়া ইদ্রিস মিয়ার খামারে বর্তমানে একটি নলকূপ রয়েছে। অপরদিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে ইদ্রিস মিয়ার বাড়ির দূরত্ব ৫কিলোমিটারের কম হলেও চিঠিতে দূরত্ব দেখানো হয়েছে ৪৫ কিলোমিটার।

জানতে চাইলে তজুমদ্দিন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ সরকার পিএএ বলেন, খামারী ইদ্রিসের তথ্য কিভাবে প্রকল্পের অফিসে প্রেরণ করা হয়েছে তা আমার জানা নেই। তবে সঠিক খাস জমি নির্বাচনে করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী নলকূপটি বসানো হবে।

অভিযুক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিত কুমার মন্ডলকে ফোন দিলেও তার বন্ধ পাওয়া যায়।এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক ডা. হিরন্মময় বলেন, ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার মাধ্যমে তালিকাটা পেয়েছি। তবে জমির তথ্যগুলি আমরা যাচাই করে দেখিনি। খাস জমির তথ্য ভূয়া হলে সেখানে নলকূপ না বাসিয়ে অন্য জায়গায় বসানো হবে।#






সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

জীবন যাত্রা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই