তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

তজুমদ্দিনে মাদ্রাসার নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ

তজুমদ্দিনে আড়ালিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে তথ্য জালিয়াতি করে নিয়োগ নেয়ার অভিযোগ  
[ভালুকা ডট কম : ৩০ মে]
ভোলার তজুমদ্দিনে মধ্য আড়ালিয়া রহমানিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে তথ্য জালিয়াতির করে চাকুরী নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের জালিয়াতি ও দূর্ণীতির বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন প্রতিষ্ঠানে জমিদাতা পক্ষ।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মধ্য আড়ালিয়া রহমানিয়া আলিম মাদ্রাসাটি ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। অত্র মাদ্রাসার বর্তমান অধ্যক্ষ মাও. ইব্রাহিম ১৯৮৩ সালে আলিম পাশ করেন। কিন্তু অধ্যক্ষ মাও. ইব্রাহিম ১ জানুয়ারী ১৯৮৫ সালে ভূয়া ফাজিল পাশের সনদ দিয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানে সহকারী মৌলভী পদে অবৈধ নিয়োগ নেন ও নভেম্বর ১৯৮৬ সালে মাদ্রাসাটির প্রথম এমপিওতে তিনিও এমপিওভূক্ত হন, তার ইনডেক্স ৩৫৭৬৪৭।

তিনি চাকুরীর নীতিমালাভঙ্গ করে ১৯৮৫ সালে ফাজিল ও ১৯৮৮ সালে কামিলে নিয়মিত ছাত্র হিসেবে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেন। পরে মাও. ইব্রাহিম কোন অভিজ্ঞতা ছাড়া ১লা মার্চ ১৯৮৯ সালে অত্র মাদ্রাসার সুপার পদে নিয়োগ নেন নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী এটিও অবৈধ। নিয়োগ নীতিমালায় আছে সুপার পদে নিয়োগ পেতে হলে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তৎকালীন সময় মাও. ইব্রাহিমের অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়নি। পরবর্তীতে মাদ্রাসাটি আলিম স্তরে উন্নতি হলে তিনি অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। কিন্তু মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাকালী ৩৫৭৬৪৭ ইনডেক্সধারী ইব্রাহিম তিনি নয় দাবী করলেও বর্তমান অধ্যক্ষ মাও. ইব্রাহিম একই ইনডেক্সে বেতনভাতা উত্তোলন করেন। মাও. ইব্রাহিম সু-কৌশলে নিজের দূর্ণীতিকে ঢাকতে কোন কোন জায়গায় এই ৩৫৭৬৪৭ ইনডেক্স ব্যবহার না করে ভূয়া এই ৩৫৪৬৪৭ ইনডেক্স ব্যবহার করেন। কিন্তু মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে মাও. ইব্রাহিমের ইনডেক্স এখনো ৩৫৭৬৪৭ দেখায় এরপরও এই ইনডেক্সটি তার নয় বলে তিনি দাবী করেন। কিন্তু প্রতিমাসে তিনি বেতনভাতা উত্তোলন করতে ৩৫৭৬৪৭ ইনডেক্সটি ব্যবহার করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ মাও. মো. ইব্রাহিম বলেন, আমি মধ্য আড়ালিয়া রহমানিয়া আলিম মাদ্রাসায় ১লা মার্চ ১৯৮৯ সালে নিয়োগপ্রপ্ত হই। ১৯৮৬ সালের এমপিওতে যে ইব্রাহিমের নাম রয়েছে সেই ইব্রাহিম আমি নই সেই ইব্রাহিমের বাড়ি মনপুরাতে। তিনি ১৯৮৬ সালের এমপিও’র ৩৫৭৬৪৭ এই ইনডেক্স দিয়ে বিভাবে বেতনভাতা উত্তোলন করেন এমন প্রশ্নে তিনি দাবী করেন এই ইনডেক্স তার নয়। তিনি দাবী করেন তার ইনডেক্স ৩৫৪৬৪৭ এটি।

অপরদিকে একই মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন ১৯৮৪ সালে ফাজিল পাশ করে ১লা জানুয়ারী ১৯৮৫ সালে জুনিয়র মৌলভী পদে মধ্য আড়ালিয়া রহমানিয়া আলিম মাদ্রাসায় নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েও তিনি ১৯৮৬ সালে নিয়মিত ছাত্র হিসেবে কামিল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেন। অন্যদিকে মো. মহিউদ্দিন মধ্য আড়ালিয়া রহমানিয়া আলিম মাদ্রাসার চাকুরী করার অবস্থায় ১৯৮৮ সালে চরফ্যাশন উপজেলায় চরশশীভূষণ জাহিরিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার হিসেবে নিয়োগ নিয়ে দ্ইু প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন-ভাতা ভোগ করেন। তিনি ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯১ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত দুই প্রতিষ্ঠানের সরকারী বেতন-ভাতা ভোগ করেন। যাহা চাকুরী বিধিমালা লঙন ও সরকারী আইনবার্হিভূত। মধ্য আড়ালিয়া রহমানিয়া আলিম মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাকালীন ৩৬০০২৭ ইনডেক্সধারী মো. মহিউদ্দিন নিজে নয় দাবী করলেও প্রতিষ্ঠাকালীন জুনিয়র মৌলভীর ইনডেক্স ৩৬০০২৭ ব্যবহার করেন সহকারী অধ্যাপকের বর্তমানে বিল-বেতন উত্তোলন করেন। যদিও তিনিও দাবী করছেন প্রতিষ্ঠাকালীন মহিউদ্দিন সে নয়। উরোল্লিখিত বিষয়ে জানতে মাও. মো. মহিউদ্দিনের ব্যবহৃত ফোন নম্বরে বার বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শওকত আলী বলেন, মধ্য আড়ালিয়া রহমানিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও সহকারী অধ্যাপকের জাল-জালিয়াতির বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা তবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে আদেশ পেলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষাঙ্গন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই