তারিখ : ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় রং ধরেছে ইভা সৌদি খেজুর বাগানে

ভালুকায় রং ধরেছে ইভা সৌদি খেজুর বাগানে
[ভালুকা ডট কম : ০৭ জুলাই]
কাঁদি কাঁদি সৌদি খেজুর পেঁকে লাল রং ধরেছে ভালুকার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের পাড়াগাঁও গ্রামের মোতালেব হোসেন ইভা’র সৌদি খেজুর বাগানে। গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে পাঁকা খেজুরের কাঁদি। ঢাকা –ময়মনসিংহ সড়কের ভালুকার সীডস্টোর বাজার হতে সখিপুর সড়কে অনুমান তিন কিলোমিটার পশ্চিমে এগুলেই আজিজ মেম্বার বাড়ী মোড়ে রাস্তার পাশে ইভা সৌদি খেজুর বাগান।

বাগান মালিক মোতালেব হোসেন ইভা জানান চার বছর সৌদি প্রবাশের পর দেশে ফিরে ২০১৪ সালে তিনি নিজ বাড়ী সংলগ্ন দুই বিঘা জমিতে সম্পুর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে সৌদি হতে আনা খেজুর বীজ বপন করেন। কিছুদিনের মধ্যেই চারা গজাতে শুরু করে। তিনি ও তার ছোট ভাই আব্দুল আজিজ দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে গাছগুলির পরিচর্যা শুরু করেন। বাগান করার তিন বছর পর ২০১৭ সালের দিকে প্রথম দুটি গাছে খেজুর ধরতে শুরু করে। আস্তে আস্তে বাগানের গাছ গুলি বড় হয়ে উঠে। এক সময় তারা বানিজ্যিক ভাবে চারা উৎপাদন শুরু করেন। প্রতি বছর পালাক্রমে দু’তিনটি গাছে খেজুর আসে। তাদের বাগানে রয়েছে আজুয়া, বারহি, শুকারি জাতের খেজুরের ছোট বড় বিভিন্ন সাইজের গাছ। এর মধ্যে প্রায় ২৫০ টি বড় গাছ রয়েছে। একপাশে রয়েছে অসংখ্য চারা গাছ। নিজস্ব সাবমার্শিবল পাম্প হতে বাগানে পানি সেচ দেয়া হয়। শুরু থেকে এ পর্যন্ত বাগানটিতে তাদের ২৫ লাখ টাকার মত বিনিয়োগ হয়েছে। গত দুই বছর যাবৎ তারা মোটামোটি বাগান হতে পরিশ্রমের সুফল পেতে শুরু করেছেন। গত বছর চারা ও গাছ বিক্রি করে প্রায় ১৩ লাখ টাকার মত আয় করে ছিলেন। এ বছর তিনটি গাছে খেজুর ধরেছে। প্রতিটি গাছে ৫/৬টি করে কাঁদি এসেছে। প্রতি কাঁিদতে ৮ থেকে ১০ কেজি খেজুর থাকে। প্রতি কেজি খেজুর ১০০০ টাকায় বিক্রি করা যায়। তবে অর্থনৈতিক সংকটের কারনে বাগানের চারিপাশে নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকায় গরু ছাগাল ও লোকজন কিছুটা ক্ষতি সাধন করে। তদুপরি নিজেরা সার্বক্ষনিক পাহাড়া দিয়ে বাগানটি নিরাপত্তা দিয়ে থাকেন।

মোতালেব হোসেন ইভা আরও জানান এদেশের মাটি ও আবহাওয়া সৌদি খেজুর চাষের জন্য খুবই উপযোগী। বিশেষ করে ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী, কাচিনা, উথুরা, ডাকাতিয়া,মল্লিকবাড়ী ইউনিয়েনর বিভিন্ন গ্রামের জমি সৌদি খেজুর চাষের জন্য উপযোগি। সরকারি  সাহায্য সহযোগিতা ও কৃষি বিভাগের উন্নত প্রযুক্তির সহায়তা পেলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে এক সময় এ অঞ্চলের উৎপাদিত সৌদিজাত খেজুর বিদেশে রপ্তানী সম্ভব হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই