তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

তদন্তে আটকে আছে কমিটি গঠনে অনিয়মের রির্পোট

নওগাঁর পাঁজরভাঙ্গা সপ্রাবি
তদন্তে আটকে আছে কমিটি গঠনে অনিয়মের রির্পোট
[ভালুকা ডট কম : ২৪ জুলাই]
প্রায় দেড় বছর পার হতে চললেও তদন্ত কর্মকর্তার হাতে আটকে আছে নওগাঁর মান্দা উপজেলার পাঁজরভাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কমিটি গঠনে প্রধান শিক্ষিকার অনিয়মের তদন্ত রিপোর্ট ও রহস্যের জট। তদন্ত কর্মকর্তা বলছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।এদিকে নির্বাচিত কমিটির সদস্যদের দাবি, তাদের কমিটির মেয়াদকালীন সময়ের মধ্যে দায়িত্ব না দেয়া অথবা তদন্ত প্রতিবেদন প্রভাবিত করার জন্য তা দাখিল করা হচ্ছে না। ফলে সুষ্ঠু তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন নির্বাচিত কমিটিসহ সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারী পাঁজরভাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কমিটি গঠনে সরাসরি ভোটে সভাপতি প্রার্থীদের মধ্যে মোঃ এনামুল হক পান ৩ ভোট এবং অপর প্রার্থী রইচ উদ্দিন আহমেদ ৮ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন। সদস্যবৃন্দের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্ত ব্যক্তিকে সভাপতি অনুমোদনের প্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রম গ্রহণের জন্য প্রধান শিক্ষককে অনুরোধ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচিত কমিটির সদস্যদের অভিযোগ গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে সভাপতি দেখিয়ে গোপনে রেজুলেশন এবং ভুয়া ও জাল কাগজপত্র তৈরী করে উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা না দিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট জমা দেন প্রধান শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম। সেখানে রইচ উদ্দিন আহমেদকে নির্বাচিত সভাপতি না দেখিয়ে এনামুল হককে সভাপতি পদে বিজয়ী প্রার্থী হিসেবে দেখান তিনি।

এটি প্রত্যাখ্যান করে কমিটি গঠনে প্রধান শিক্ষিকার অনিয়ম তদন্তে গত বছরের ১৪ই ফেব্রুয়ারী ১১ সদস্যের মধ্যে ৮জন সদস্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের অনুলিপি স্থানীয় সাংসদ, উপপরিচালক রাজশাহী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রদান করা হয়।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্ত রইচ উদ্দিন আহমেদের নাম অনুমোদনের জন্য জমা না দিয়ে তিনটি ভোট প্রাপ্ত এনামুল হকের নাম অনুমোদনের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকট জমা দেন প্রধান শিক্ষিকা। জানাজানি হলে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তুমুল কান্ড বাঁধে এবং এলাকাবাসী ও নেতাকর্মী পর্যন্ত গড়ায়।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার রেজাউল করিম গত বছরের ১৮ই ফেব্রুয়ারী তারিখের চিঠি যার স্মারক নং উশিঅ/মান্দা/২১২ এর মাধমে একই বছরের ২৪ই ফেব্রুয়ারী তার অফিসে উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে তদন্ত করেন। এরপর কেটে গেছে প্রায় দেড় বছর। অদৃশ্যকারনে তদন্ত কর্মকর্তার হাতে আটকে আছে প্রধান শিক্ষিকার অনিয়মের তদন্ত রিপোর্ট।

প্রধান শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম বলেন, ‘আমি এনামুল হক এবং রইচ উদ্দিনের নাম এবং কাগজপত্র উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট জমা দিয়ে এসেছি। এর বেশি আর কিছু বলতে পারবোনা।’ দীর্ঘদিন কমিটি বিহীন স্কুল পরিচালনায় কোন সমস্যা হচ্ছে না? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কমিটি থাকার চেয়ে না থাকায় ভালো। স্কুল অনেক ভালো চলছে। আমার কমিটির দরকার নেই।’

স্থানীয় কশব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে প্রধান শিক্ষিকা একটি নির্বাচিত সভাপতিকে দায়িত্ব না দিয়ে পছন্দের পরাজিত প্রার্থীকে সভাপতি বানানোর  জন্য বিভিন্ন রকমের নাটক করছেন। শুধু মাত্র তার কারনে দেড় বছর যাবত বিদ্যালয়টিতে কার্যতঃ কোন কমিটি নেই। ফলে তিনি ইচ্ছে মতো স্কুল চালাচ্ছেন। সকল শিক্ষর্থীদেরকে ক্লাশরুমে তালাবদ্ধ করে সকল শিক্ষককে সাথে নিয়ে সারাদিনের জন্য দাওয়াত খেতে যান। এভাবে একটি স্কুল চলতে পারে না।

তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার রেজাউল করিম বলেন, আপনারা সবই জানেন এবং বোঝেন। আমরা চাইলেই সবকিছু করতে পারিনা। তবুও বলবো তদন্ত প্রতিবেদন তৈরী করা হয়েছে, আসা করছি খুব শিঘ্রই তা কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দেয়া হবে।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষাঙ্গন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই