তারিখ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

শুষ্ক মৌসুমেও সড়কে জলাবদ্ধতা,বিড়ম্বনায় পথচারী

নওগাঁর পত্নীতলায় শুষ্ক মৌসুমেও প্রধান সড়কে জলাবদ্ধতা,বিড়ম্বনায় পথচারী ও ব্যবসায়ীরা
[ভালুকা ডট কম : ২৩ অক্টোবর]
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা সদর নজিপুর পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় চারমাথা বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। প্রধান সড়কে এভাবে জমে থাকা পানি নিস্কাশনের জন্য পৌর কর্ত্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় পথচারীদের ভোগান্তি দিন দিন বাড়ছে। ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি পাড়ি দিয়ে পথচারীদের যাতায়াতে বাধ্য হওয়ায় তাদের চরম ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। দিনের পর দিন রাস্তায় পানি জমে থাকায় ১৫/২০টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে জানা গেছে।

নজিপুর জিরো পয়েন্ট চারমাথা বাসষ্ট্যান্ডের সাপাহার রোডে দেখা যায়, শুষ্ক মৌসুমেও সামান্য পানিতেই রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানির কারণে প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ীরা। কেউ কেউ দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতাকে।  প্রায় ৩শত গজ এলাকা জুড়ে রাস্তায় পানি জমে আছে। নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত ড্রেনের এ সকল পানি পাড়ি দিয়েই মানুষ চলাচল করছে শত শত পথচারীরা। ওই ৩শত গজ এলাকার মধ্যে রয়েছে ওষুধ, স্টেশনারীজ, গার্মেন্টস, সাইকেল, মুদিখানা এবং হার্ডওয়ারসহ ২০/২৫টি দোকান।

মুদি দোকানী জুয়েল জানান, দোকানের সামনে ময়লা পানি জমে থাকায় দোকানে ক্রেতা আসছে না। এ কারণে তাঁর দৈনিক বেচাকেনা কমে গেছে। একই অভিযোগ করে ষ্টেশনারীজ দোকানী রাজ্জাক বলেন, রাস্তার পানি মেড়ে ক্রেতা দোকানে না এসে অন্য দোকানে গিয়ে মালামাল কিনছে। এ কারণে তার দৈনিক বেচাকেনা অর্ধেকে নেমে আসায় তিনি আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। ওষুধ ব্যবসায়ী ও মানবাধিকার কর্মী হাসান শাহরিয়ার বলেন, বাসষ্ট্যান্ডের মতো জিরো পয়েন্টে শুষ্ক মৌসুমে পানি জমে থাকার ঘটনা মোটেও কাম্য নয়। এজন্য পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাকে দায়ী করে তিনি বলেন, মেয়র সাহেব প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করলেও তিনি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। অবিলম্বে সড়ক থেকে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করার জোর দাবী জানান তিনি।

পৌর মেয়র রেজাউল কবির চৌধুরী বলেন, ওই জায়গার আশেপাশের কয়েকটি দোকানের কারণেই মূলত এই সমস্যা। বিশেষ করে ধানসিঁড়ি ও আলমদিনা খাবার হোটেল তাদের নোংরা ও বর্জ্য ফেলে এই রাস্তার ড্রেনে। এতে করে পানি নিস্কাশনে বাধাগ্রস্থ হয়। আমি তাদেরকে এবিষয়ে অনেকবার সতর্ক করেছি। তবে আমি আশা করছি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হবে।#





সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই