তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে আলোর মুখ দেখছে না প্রকল্প

রাণীনগরে দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে আলোর মুখ দেখছে না সড়কে ষ্ট্রিট লাইট স্থাপন প্রকল্প,ব্যাহত হচ্ছে সরকারের শহরের সুবিধা গ্রামে পৌছে দেয়ার ভিশন
[ভালুকা ডট কম : ১৪ এপ্রিল]
নওগাঁর রাণীনগরে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও উপজেলা প্রশাসনের দ্বন্দ্বের কারণে মেয়াদ শেষ হলেও দ্রুতই আলোর মুখ দেখছে না সড়কের পাশে ষ্ট্রিট লাইট স্থাপনের প্রকল্পটি। যার কারণে শহরের সুবিধা গ্রামে পৌছে দেয়ার যে ভিশন সরকার গ্রহণ করেছে তা চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলাবাসীর দাবী সকল সমস্যা সমাধান করে দ্রুত সড়কগুলোকে আলোকিত করতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হোক।

শিডিউল মোতাবেক কিছু কিছু মালামাল সরবরাহ না করায় কাজ শুরুর অনুমতি দিচ্ছে না স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগ (এলজিইডি) অপরদিকে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বলছে সিডিউল মোতাবেক সব উপকরণ সরবরাহ করার পরও অজানা কারণে কাজ করতে দিচ্ছে না উপজেলা প্রশাসন। যার কারণে নির্ধারিত সময় গত ২৪মার্চের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শহরের সুবিধা মফস্বল ও গ্রামে পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে দেশজুড়ে সড়কের পাশ দিয়ে স্থাপন করা হচ্ছে ষ্ট্রিট লাইট। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে উপজেলা পরিচলন ও উন্নয়ন প্রকল্পে (ইউজিডিপি) এর আওয়তায় নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলাধীন রাণীনগর-আত্রাই রোডে বেতগাড়ী বাজার, কুজাইল বাজার, কুবরাতলী বাজার হতে ত্রিমোহনী হাট হয়ে চকমনু হাসপাতাল সড়ক, রাণীনগর কালিগঞ্জ সড়ক এবং আবাদপুকুর বাজার ও সংলগ্ন সড়কে সোলার ষ্ট্রিট লাইট স্থাপন প্রকল্পের মাধ্যমে ১শত ৪০টি ষ্ট্রিট লাইট স্থাপনের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়। আর এই কাজে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৪৫লাখ টাকা। ঢাকার সানারজি টেকনোলোজি লিমিটেড নামক কোম্পানিটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই কাজটি পায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ছিলো চলতি বছরের ২৪মার্চ পর্যন্ত। এরপর অনেক চরাই উথরাই পার হওয়ার পর গত ২০মার্চের মধ্যে ৪ইঞ্চির পাইপের পরিবর্তে ৩ইঞ্চি পাইপ উপজেলা পরিষদ চত্বরে মজুদ করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। পরবর্তিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপকরণগুলো পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে দেখে অনেক মালামালই সিডিউল মোতাবেক নিয়ে আসা হয়নি যার কারণে কাজটি বন্ধ করে দেয় উপজেলা এলজিইডি বিভাগ। পরবর্তিতে গত মার্চ মাসের ২৮তারিখে উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. ইসমাইল হোসেন ডিজাইন ও স্পেসিফিকেশন বহির্ভূত মালামাল সাইটে মজুদ করেছেন মর্মে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে লিখিত ভাবে জানান। এছাড়া ডিজাইন ও স্পেসিফিকেশন মোতাবেক সোলার ষ্ট্রিট লাইট, সোলার প্যানেল, পোল ও অন্যান্য মালামাল জরুরী ভিত্তিতে সাইটে মজুদপূর্বক কাজটি করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। অন্যথায় বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও চিঠিতে জানানো হয়।

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের এমডি গোলাম রাব্বানী মুঠোফোনে জানান, আমি সিডিউল মোতাবেক সকল মালামাল সরবরাহ করা শর্তেও উপজেলা প্রশাসন কেন আমাকে কাজ শুরু করতে দিচ্ছে না তা আমার জানার বাহিরে। তারা আমার মজুদ করা মালামালগুলো সরিয়ে নিতেও দিচ্ছে না। আমি কাজটি পেয়ে মহাবিপদে পড়েছি। কাজ না করেও অনেককে শেয়ার দিতে হবে এমন প্রস্তাব প্রত্যাখান করার কারণেও হয়তো বা তারা আমাকে প্রকল্পটি বাস্তবাায়ন করতে দিচ্ছে না। আমি এলজিইডির লিখিত চিঠির জবাব দিয়েছি। এছাড়া আমি স্থানীয় সাংসদ মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করেছি। তিনি ঈদের পর সমস্যার সমাধান করে দিবেন বলে জানিয়েছেন।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইসমাইল হোসেন বলেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সিডিউল মোতাবেক মালামাল সরবরাহ না করার কারণে কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না। সিডিউল মোতাবেক সকল মালামাল নিয়ে আসলেই কাজ শুরু করা হবে। আর যদি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সিডিউল মোতাবেক নিয়মমাফিক কাজ না করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#


                                                                                  



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই