তারিখ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

চরম দৈন্যদশায় রায়গঞ্জের মৃৎ শিল্পীরা

চরম দৈন্যদশায় রায়গঞ্জের মৃৎ শিল্পীরা
[ভালুকা ডট কম : ০৮ জুন]
চরম দৈন্যদশায় ভূগছেন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার মৃৎ শিল্পের কারিগররা। উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের ঝাপড়া, ধানগড়া পালপাড়া, ঘুরকা ইউনিয়নের ঘুরকা পালপাড়া ও চান্দাইকোনা ইউনিয়নের সিমলা এই চার গ্রাম মিলে পাল সম্প্রদায়ের (কুমার) মোট আড়াইশত পরিবারের প্রায় দুই হাজার মানুষের জীবিকার মূল উপায় মৃৎ শিল্পের কাজ।

বংশ-পর¤পরায় এই পেশাকে তারা আগলে রেখেছেন জীবিকার তাগিদে। তাদের মাটির তৈরি জিনিষগুলোর মধ্যে রয়েছে- কলস, চাড়ি, কুয়ার পাট, দইয়ের সরা,ঢোকসা, কাসা, মল্লিকা, ঝাঁজর, পাতিল, তেল প্রদীপের গাছা, খাদি ইত্যাদি। কুয়ার পাট ব্যাতীত সকল জিনিষই তৈরি করা হয় ‘চাক’ নামের একটি ঘুর্ণায়মান কাঠের তৈরি ডাইশে। এরপর ভালমত রোদে শুকিয়ে 'পুণে’ ভাটা সাজিয়ে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা রীতিমত পুড়িয়ে তৈরি করা হয় মাটির প্রতিটি জিনিস।

ধানগড়া পালপাড়া গ্রামে ঢুকতেই চোখে পড়ে প্রতিটি বাড়ির উঠানে রোদে রাখা মাটির তৈরি নানা প্রকার  জিনিস। কথা হয়- সন্তোষ পাল ও বন্দনা রাণী পালের সাথে। সন্তোষ পাল জানান, সারাদিন কাজ করলে একশ'র মতো হাড়ির ঢাকনা বানাতে পারি। সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রমের পর দিনে দু’শ থেকে আড়াইশ’ টাকা আয় হয়।

এরপর রঞ্জিত পালের বাড়ি গিয়ে জানাগেল- রঞ্জিত পাল, স্ত্রী ঊর্মিলা পাল ও ছেলে রণি পাল এরা তিনজন মিলে করেন প্রতিমা তৈরির কাজ। রঞ্জিত পাল জানান-তার চৌদ্দ পুরুষের পেশা প্রতিমা তৈরি করা। বাবার সাথে কাজ করে তিনিও শিখেছেন প্রতিমা তৈরির কাজ। দুর্গা, লক্ষ¥ী, স্বরসতী, কালীসহ সকল দেব-দেবীর প্রতিমা তিনি তৈরি করেন। এলাকায় বেশ পরিচিতি আছে তার। তিনি বলেন-শিল্পী হিসাবে তো সম্মানী পাওয়া দূরের কথা দিনমজুর হিসাবেও তারা পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না। তাই এই দ্রব্যমূল্যের বাজারে দু’বেলা অন্ন সংস্থানই কঠিন ছেলে মেয়েদের মানুষ করবেন কীভাবে। এভাবে পুরুষানুক্রমে তারা নায্য পাওনা খেকে বঞ্চিত হয়ে চলেছেন। অনুরূপ আক্ষেপ ঝরে পড়লো ঝাপড়া গ্রামের গোপাল পাল ও সিমলা গ্রামের উত্তম পালের কন্ঠে।

উপজেলার সমাজসেবা অফিসার ইলিয়াস হাসান শেখ জানান, গত বছর বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ১৬ জন কুমারকে (মৃৎ শিল্পি) ১৮হাজার টাকা হারে অনুদান প্রদান করা হয়েছে। পুনরায় প্রকল্প এলে আরো অনুদান প্রদান করা হবে বলে তিনি জানান। #





সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কৃষি/শিল্প বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৮৯৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই