তারিখ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, সোমবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

সংসদ নির্বাচন ১৫৬ ময়মনসিংহ-১১ ভালুকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৫৬ ময়মনসিংহ-১১ ভালুকা আসন আওয়ামীলীগ প্রচারনায় ,বিএনপি আন্দোলনে জাপা নিরব
[ভালুকা ডট কম : ১৮ নভেম্বর]
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে  ১৫৬ময়মনসিংহ-১১(ভালুকা) আসনে  ক্ষমতাশীন আওয়ামীলীগের  একডজন নেতাকর্মী মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তুলে ধরছেন  সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড। অপরদিকে  আন্দোলন সংগ্রামে ধেমে নেই বি এনপি। নিরব অবস্থানে জাতীয় পার্টি।

১১ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে ময়মনসিংহ ১১ আসনে মোট ভোটার ৩৩৩৮৭৪ জন । পুরুষ ভোটার ১৬৬৮৩১ জন, মহিলা ১১৬৭০৪৩ জন , ভোট কেন্দ্র ১০২ টি । তিন শতাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান অধ্যুষিত শিল্পনগরী ভালুকা বাংলাদেশের বার্ষিক জিডিপিতে উল্ল্যেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। বংলাদেশের উৎপাদিত মিঠাপানির  মাছের উল্লেখযোগ্য অংশ ভালুকায় চাষ হয় ।  প্রায় সাড়ে তিন লাখ ভোটার নিয়ে এ আসনটি আওয়ামীলীগের ঘাটি বলে পরিচিত । দলের দুঃসময়ে এলাকার মানুষ আওয়ামীলীগকে কখনই বিমুখ করেনি । শিল্পাঞ্চল হওয়ায় সাড়াদেশের বিভিন্ন স্থানের  প্রায় ২০ লক্ষ লোক  ভালুকায় বসবাস করেন । যে কারনে এ আসনটি দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ন আসনগুলোর  মধ্যে একটি । ১৯৭০, ১৯৭৩, ১৯৯৬ থেকে  ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮  অদ্যবধি এ আসনে আওয়ামীলীগ এর মনোনিত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। ভালুকায় সবসময় মুক্তিযোদ্ধের  স্বপক্ষের মানুষের সংখ্যা বেশী । অনক্যের কারনে ৪ বার এ আসন আওয়ামীলীগের হাত ছাড়া হয় । ১৯৭০ সালে গনপরিষদ সদস্য ও ১৯৭৩ সনের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী এ্যাডভোকেট মোস্তফা এম এ মতিন,  জাসদের  প্রার্থী আফসার উদ্দিন আহম্মেদ কে পরাজিত করে বিজয়ী হন । ১৯৭৯ সালে আফতাব উদ্দিন চৌধুরী চাঁন মিয়া মুসলিমলীগ থেকে বিজয়ী হন । উনার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ছিলেন জাসদের  মেজর আফসার উদ্দিন আহম্মেদ । ১৯৮৬ সালেও  মুসলিম লীগ থেকে আফতাব উদ্দিন চৌধুরী চাঁন মিয়ার পুত্র আমান উল্লাহ চৌধুরী বিজয়ী হন । উনার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ছিলেন আওয়ামীলীগের এ্যাডভোকেট মোস্তফা এম এ মতিন । ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির  প্রার্থী মেজর অব আব্দুল হামিদ বিএনপি প্রার্থী আমান উল্লাহ চৌধুরীকে পরাজিত করে বিজয়ী হন । ১৯৯১ সনে বি এনপি তে যোগ দিয়ে আমান উল্লাহ চৌধুরী , আওয়ামীলীগ প্রার্থী মোস্তফা এম এ মতিন কে পরাজিত করে  বিজয়ী হন । আওয়ামীলীগ প্রার্থী ডা. এম আমান উল্ল্যাহ  ১৯৯৬ সনে বিএনপি প্রার্থী আমান উল্লাহ চৌধুরী, ২০০১ সনে বিএনপি প্রার্থী শাহ মোহাম্মদ ফারুক, ২০০৯ সনে বি এনপি প্রার্থী ফখরউদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চু  ও ২০১৪ সনে সতন্ত্র প্রার্থী শাহাদাত ইসলাম চৌধুরীকে পরাজিত চারবার বিজয়ী হন । ২০১৮ সনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী কাজিমউদ্দিন আহম্মেদ ধনু, বি এনপি প্রার্থী ফখরউদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চু কে পরাজিত করে বিজয়ী হন।

বর্তমানে রাজনিতিতে প্রধান দুইদল আওয়ামীলীগ ও  বি এনপি ভালুকায় বিভক্ত । বি এনপির বিভিন্ন কর্মসূচী উপজেলা বিনপির আহবায়ক ফখর উদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চু ও সিনিয়র যুগ্ন আহব্বায়ক মোর্শেদ আলম পৃথক ভাবে পালন করছেন। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকায় ও নেতাকর্মীরা বিভিন্ন মামলায় আসামী হয়েও  বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে যাচ্ছেন।

সঠিক প্রার্থী মনোনয়ন পেলে আগামী নির্বাচনেও আওয়ামীলীগ এ আসনে বিজয়ী হতে পারবে বলে ধারনা এলাকাবাসীর।  বিভক্ত আওয়ামীলীগ থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন, বর্তমান সাংসদ  আলহাজ কাজিম উদ্দিন আহম্মদ ধনু, এডভোকেট মোস্তফা এম এ মতিন এর কন্যা সংরক্ষিত সংসদ সদস্য মনিরা সুলতানা মনি ,  উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলেিগর সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা, ডেপুটি অ্যাটর্নিজেনারেল শাহ আশরাফুল হক জজ, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ এম এ ওয়াহেদ, জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ হাজী রফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখমুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের কিডনি প্রতিস্থাপন বিভাগের প্রধান  ডাঃ কেবিএম হাদিউজ্জামান সেলিম, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক  আসাদুজ্জামান বিপ্লব , প্রয়াত  এমপি ডা. এম আমান উল্ল্যাহর ছেলে ডা. মোনাসির সাকিফ আমান উল্লাহ, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সহ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী  পরিষদের সদস্য এ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম খান লিটন, উপজেলা যুবলীগের  সাবেক আহবায়ক দুইবার নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পিন্টু ।

বর্তমান সাংসদ  আলহাজ কাজিম উদ্দিন আহম্মদ ধনু বলেন , মুক্তিযোদ্ধের সময় আমার পিতা মেজর আফসার উদ্দিন আহম্মেদ, এর  নেতৃত্বে ভালুকা স্বাধীন হয়েছে। আমি ছাত্রলীগের সেক্রেটারী ও সভাপতি,  যুবলীগের সেক্রেটারী ও সভাপতি , একবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, বিপুল ভোটে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও একবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি । গত চার বছরে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি । করোনার সময়ে ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে মানুষদের পাশে দাড়িয়েছি । বর্তমানে ভালুকায় প্রায় ৫ শত ৫০ কোটি টাকার কাজ চলমান । আমি  সারাবছর এলাকার মানুষের সুখেদুখে পাশে থাকি ।

সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য (ময়মনসিংহ) মনিরা সুলতানা মনি বলেন , আমার পিতা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক অবস্থায় ৫২ ভাষা আন্দোলনে গ্রেফতার হন। ১৯৫৫ সনে ভালুকা আওয়ামীলীগের প্রথম সন্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন । ১৯৬৯ এর গনঅভ্যুথ্বানে এ অঞ্চলেরর নেতৃত্ব দেওয়ায় কারাবরন করেন । ১৯৭০ এর নির্বাচনে গনপরিষদের  সদস্য নির্বাচিত হন ।১৯৭১ এর ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন । আমি মুমিনুন্নেছা কলেজের  ছাত্র সংসদে ৩ বার ভিপি,দুইবার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা সংসদ(ময়মনসিংহ) সদস্য হিসাবে এলাকায় মানুষের পাশে থেকে সেবা করার চেষ্টা করছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা কতৃক ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সর্বাত্নক ভূমিকা রাখতে চাই ।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা বলেন , ভালুকার আসনটি আওয়ামীলীগের ঘাটি । ১৯৯৬ থেকে অদ্যবদি নৌকার প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছে । ত্যাগী নেতা কর্মীদেও মাঝ থেকে যাচাই করে মনোনয়ন দিলে আসনটি  পুনরায় আওয়ামীলীগ বিজয়ী হবে । ১৯৯৬ সন থেকে অধমার নেতৃত্বে জাতীয় পরিষদ , পৌরসভা , ইউনিয়ন পরিষদ  নির্বাচনে সকল পর্যায়ে বিজয়ী করতে সক্ষম হয়েছি। আমার বিশ^াশ জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার কাজের মল্যেয়ন করবেন।

বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের উপদেষ্টা,বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দেলনের সভাপতি , ঢাকাস্থ ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমিতির সাধারন সম্পাদক, ডেপুটি অ্যার্টনী জেনারেল শাহ আশরাফুল হক জজ বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আধুনিক ডিজিটাল দেশে পরিনত করেছেন। আমি সবসময় এলাকার মানুষের পাশে আছি এবং সারাজীবন থাকব , নেত্রী আগামী ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন । আমি উনার উন্নয়ন সহযোগী হয়ে পাশে থাকতে চাই ।

জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ এম এ ওয়াহেদ,আমি ব্যাক্তিগত অবস্থান থেকেই মানুষের সেবা ও সমাজের উন্নয়নধর্মী কর্মকান্ড করে আসছি । বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ও জননেত্রী শেখ হাসিনার এক জন বিশ্বস্থ কর্মী হিসাবে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী । নেওয়ার জন্য নয় দেওয়ার মানষিকতা নিয়েই রাজনীতি করছি । সংসদ সদস্য হতে পারলে এলাকার উন্নয়নে ও মানুষের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিবো ।

জলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ হাজী রফিকুল ইসলাম, হাজী রফিকুল ইসলাম বলেন,করোনাকালীন সময়সহ বিভিন্ন সময়ে মানুষের পাশে থেকে উন্নয়ন মূলক কাজে সহযোগীতা করে আসছি। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা  আমাকে  আগামী জাতীয় দ্বাদশ নির্বাচনে নৌকার মাঝি হিসাবে মনোনিত করেন তাহলে  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধ ুশেখ মুজিবর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনা কতৃক ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সর্বাত্নক ভূমিকা রাখব ইনশাআল্লাহ্ ।

জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত এলাকা মানুষের সুখে দুখে সবসময় পাশে থাকার চেষ্ঠা করছি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর আদর্শিক কর্মী হিসাবে মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। আগামী জাতীয় দ্বাদশ নির্বাচনে মানবতার মা  জননেত্রী শেখ হাসিনা নৌকার মাঝি হিসাবে মনোনিত করেন তাহলে এ আসনটি উপহার দিতে পারব ইনশাআল্লাহ।  

বঙ্গবন্ধু শেখমুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের কিডনি প্রতিস্থাপন বিভাগের প্রধান  ডাঃ কেবিএম হাদিউজ্জামান সেলিম বলেন, আমি ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি স্বাচিপের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর আদর্শিক কর্মী হিসাবে মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। আমার অঞ্চলের মানুষের জন্য আমার পরিবার সবসময়ই নিবেদিত। আমার প্রয়াত পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা কে বি এম আসমত আলী ছিলেন অত্র অঞ্চলের মানুষের প্রিয় নেতা, আমি আমার পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে মানুষের সেবা করতে চাই। আমার রাজনৈতিক অভিভাবক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা ।

কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিপ্লব বলেন, মইন উ আহম্মেদেও সময়ে আমি কারা নির্যাতিত হয়েছি । জননেত্রী শেখ হাসিনা যে সকল কর্মসূচী হাতে নিয়েছেন তা বাস্তবায়নে যাকে মনোনয়ন দিবেন  তাকে বিজয়ী করে নেত্রীকে নৌকার এ আসনটি উপহার দিতে চাই ।  পারিবারিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড বিবেচনা করে আমাকে মনোনয়ন দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো ।

চারবারের সাবেক সাংসদ অধ্যাপক ডা. এম আমান উল্লাহর ছেলে ডা. মোনাসির সাকিফ আমান উল্লাহ বলেন , জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং শুধু জননেত্রী শেখ হাসিনার যে পরিকল্পনা ভালুকা উপজেলার উন্নয়ন ও ভালুকা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত নিয়ে, তা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে আমি কাজ করতে চাই। আমার বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে চাই।

কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সহ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী  পরিষদের সদস্য এ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম খান লিটন বলেন ,উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী আশা করি তরুন হিসাবে বিবেচনা করলে এ আসনটি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারব ।

দুইবার নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পিন্টু বলেন আমি স্কুল পড়া অবস্থায় ছাত্ররাজনীতির  সাথে জড়িত ।  উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগের আহবায়ক ছিলাম । বি এনপি জামাতের শাষনামলে বার বার জেল খেটেছি । দলের দূ:সময়ে দলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করিনি । মানুষের বিপদে আপদে সততার সাথে পাশে ছিলাম। দুই বার বিপুল ভোটে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি । আগামী নির্বাচনে জনপ্রিয়তার শীর্ষের ব্যাক্তিকে  মনোনয়ন দিলে নৌকা এবারো বিজয়ী হবে ।

উপজেলা বি এনপির আহবায়ক  ফখর উদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চু বলেন, আমরা একদফা আন্দোলনে আছি এ অবৈধ সরকারের পদত্যাগ । আমি নেতা কর্মীদের নিয়ে বারবার মামলা হামলার স্বীকার হয়ে কাবরন করেছি।   এই তফসিল আমরা মানিনা অবৈধ সরকার পদত্যাগ করে  তত্ববদায়ক সরকার গঠন হয় আর আমাদের দল নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে দল আমাকে ৩বার মনোনয়ন দিয়েছে এবার ও দল আমাকে মনোনয়ন দিবে আশা রাখছি। উপজেলা বি এনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আলহাজ  মোর্শেদ আলম বলেন, আমরা একদফা আন্দোলনে আছি এ অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ।  আমাদের দাবি মানা হলে দল নির্বাচনে অংশ নিবে তাহলে জন সমর্থন বিবেচনা করলে আমাকেই মনোনয়ন দিবে ইনশাআল্লাহ। উপজেলা বি এনপির সাবেক আহবায়ক এ্যাডভোটেক আনোয়ার আজিজ টুটুল বলেন, সকারের পদত্যাগ ছাড়া কোন নির্বাচন নয়। পদত্যাগের পর আমাদের  দল নির্বাচনে অংশ গ্রহন করলে আমাকে মনোনয়ন দিলে এ আসটি নেত্রীকে উপহার দিতে পারব।
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                           উপজেলা জাতীয় পার্টির (জি এম কাদের)আহবায়ক হাফিজ উদ্দিন মাষ্টার বলেন দলের মনোনয়ন পেলে আধুনিক ভালুকা গড়তে ভূমিকা রাখব । জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক,উপজেলা জাতীয় পার্টি (রওশন এরশাদ) আহবায়ক সম্ভাব্য আরেক প্রার্থী এ্যাডভোকে আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির  প্রার্থী মেজর অব আব্দুল হামিদ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে পুনরায় এ আসনটি বিজয়ী হবে।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০০ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই