তারিখ : ০২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

আপডেট-স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় ভালুকা মডেল থানায় মামলা,আটক-২

আপডেট-স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় ভালুকা মডেল থানায় মামলা,আটক-২
[ভালুকা ডট কম : ১৬ জানুয়ারী]
গত কাল বুধবার ১৫জানুয়ারী ভালুকা থেকে অপহরণের পর ময়মনসিংহ সদর শম্ভুগঞ্জ চায়না মোড় এলাকা থেকে স্থানীয় জনতা ট্রাংকবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করে স্কুল ছাত্রীকে এ ঘটনায় অপহৃত স্কুল ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে আটকৃত অপহরণকারী দুই জনকে আসামী করে ভালুকা মডেল থানায় মামলা নং-(১৫) তাং-১৬/০১/১৪ইং দায়ের করেছেন।  

উল্লেখ্য, ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের অপহৃত দশম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে শেরপুরগামী একটি বাসের বাক্সের ভেতরে ট্রাংকবন্দি অবস্থায় বুধবার(১৫জানুয়ারী)বিকেলে ময়মনসিংহ সদর শম্ভুগঞ্জ চায়না মোড় এলাকা থেকে স্থানীয় জনতা উদ্ধার করেছে। শেরপুরগামী একটি বাসের বাক্সের ভেতরে ট্রাংকবন্দি করে এই স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানা গেছে। ঘটনাটি টের পেয়ে বাস চালক ওই মোড়ে বাসটি থামায় এবং বাসটি তল্লাশী করে বাসের বাক্সের ভেতর একটি ট্রাংক দেখতে পায়। পরে ওই ট্রাংক থেকে মানুষের চিৎকার শুনে ট্রাংকটি খুলে দেখে অপহরণের ঘটনা। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে বাস থেকে নেমে দৌড়ে পালানোর সময় এলাকাবাসী দুই অপহরণকারীকে আটক করে। পরে এলাকাবাসী অপহৃতসহ দুই অপহরণকারীকে স্থানীয় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের নিকট হস্তান্তর করে। খবর পেয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ ও র‌্যাব ঘটনাস্থলে যায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে চায়না মোড়ে শত শত মানুষ ঘটনাটি জানতে ভিড় জমায়। পরে ওই চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় ময়মনসিংহ সদর পুলিশের নিকট তাদেরকে হস্তান্তর করে। অপহরণকারীরা হলো-শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি   থানার হলদিবাটা চৌরাস্তা এলাকার রিক্সাচালক মুঞ্জুরুল হকের ছেলে মনির হোসেন(১৮) ও ছোট ভাই মোর্শেদ আলম(১৬)।

 পরিবার ও থানা সুত্রে জানায়,বুধবার(১৫জানুয়ারী)দুপুরে অপহরণকারীরা ভালুকা উপজেলার পাড়াগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের বাসায় ওই দুই যুবক একটি ট্রাংক নিয়ে বাসায় ঢুকে কাজের বুয়া মিনা(৩৮) ্এর হাত-পা মুখ বেধে ফেলে। এ সময় হবিরবাড়ী সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী সাবিহা সুলতানা নাজনীন স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পর তাকেও একই কায়দায় হাত-পা বেধে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করার পর ট্রাংকবন্দি করে সিডস্টোর বাসস্ট্যান্ড থেকে শেরপুরগামী একটি বাসে করে নিয়ে যাওয়ার সময় ময়মনসিংহ সদর শম্ভুগঞ্জ চায়না মোড় এলাকায় হাতে নাতে ধরা পড়ে অপহরণকারীরা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অপহরণের কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাংক ও ২টি ধারালো ক্ষুর উদ্ধার করে। কাজের বুয়া মিনাকে ভালুকা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্্ের ভর্তি করা হয়েছে। অপহৃতা নাজনীনের মাতা বিলকীস বেগম হবিরবাড়ী পাখির চালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যায়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। আটকৃতদেরকে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ঘটনাস্থলটি ভালুকা উপজেলায় হওয়ায় কতোয়ালী থানা পুলিশ অপহৃত নাজনীন ও অপহরণের অভিযোগে আটককৃতদের ভালুকা মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপহৃতার পিতা নজরুল ইসলাম জানান,ঘটনার সময় আমি ও আমার স্ত্রী কর্মস্থলে ছিলাম বাসায় শুধুমাত্র কাজের বুয়া ও তার একটি শিশু বাচ্চা ছিল। প্রথমে তারা কাজের বুয়াকে মুখে কসটেপ ও ঘুমের ইনজেকশান দিয়ে অচেতন করে ফেলে। পরে নাজনীন স্কুল থেকে বাসায় ফিরলে তাকেও অপহরণকারীরা  একই কায়দায় অচেতন করে ট্রাংকবন্দি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

আটকৃত মনির জানায়, ৬ মাস পুর্বে নজরুল ইসলামের বাসায় ভাড়া থেকে মাস্টারবাড়ী বাদশা মিলে চাকুরি  করতো সে। ওই সময় থেকেই নাজনীনকে চিনতো মনির। নাজনীনকে অপহরণ করে নিয়ে বিয়ে করতে চেয়েছিল।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই