তারিখ : ০১ মে ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

আপডেট-ভালুকায় র‌্যাব পরিচয়ে তিন সহোদরকে ধরে নেয়ার পর হতে মায়ের আহাজারি!খোঁজ মিলেনি আজও

আমার সানোয়ার কই---তারে তোমরা আইন্যা দেও
ভালুকায় র‌্যাব পরিচয়ে তিন সহোদরকে ধরে নেয়ার পর হতে মায়ের আহাজারি! খোঁজ মিলেনিআজও
[ভালুকা ডট কম : ০৮ মার্চ]
“আমার সানোয়ার কই---তারে তোমরা আইন্যা দেও, আমার বুকটা ক্যাডা খালি করলো গো- যাদুরা দুইদিন ধইরা খায়না গো” ভাঙ্গা গলায় কথাগুলি বলতে বলতে শুক্রবার  দুপুর রোদে বাড়ীর উঠানে মাটিতে গড়াগড়ি করে বিলাপ করছিলেন ভালুকার ভায়াবহ গ্রামের র‌্যাব পরিচয়ে ধরে নেয়া তিন সহোদরের মা মজিদা আক্তার।

বাড়ীতে আসা লোকজনদের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকাচ্ছিলেন আর মাঝে মাঝে ছেলেদের নাম ধরে ডেকে সংগা হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ছিলেন। ওই বুঝি ছেলেরা বাড়ীতে ফিরে এসেছে। মাঝে মাঝে ছেলেদের ব্যবহৃত পোষাক বুকে জড়িয়ে বিলাপ করছিলেন। পরিবারের লোকজন জানান তিন ছেলেকে ধরে নেয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মায়ের মুখে কোন খাবার কেউ শত চেষ্টা করেও দিতে পারছেননা। তার একটাই কথা বুধবার রাতে এক সাথে ছেলেদের নিয়ে খাবার খেয়ে ঘুমিয়েছেন এখন তিনি ছেলেদের ছারা খাবেননা। তারা ফিরে আসলেই খাবার মুখে দিবেন। অপর দিকে ছেলেদের খবর জানতে পাগল প্রায় আসাদ মুন্সী থানা ও বাড়ীতে দৌড়াচ্ছেন। আর বাড়ীঘরে ভীড় জমাচ্ছে দুরের কাছের আত্মীয় স্বজন। আইনের লোক পরিচয়ে বাড়ী থেকে তিন সহোদরকে ধরে নেয়ার দুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর তাদের অবস্থান খুজে না পাওয়ায় পরিবারের লোকজন আতংকিত হয়ে পড়েছেন।

উল্লেক্ষ্য ৫ মার্চ বুধবার গভীর রাতে ভালুকা উপজেলার ভায়াবহ গ্রামের আসাদ উল্লা মুন্সীর তিন ছেলেকে ঘরের দরজা ভেঙ্গে র‌্যাব পরিচয় দিয়ে ধরে নিয়ে যায়।  এরা হলো ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিফা (২২) ছোট ভাই ভালুকা ডিগ্রী কলেজের এইচ এস সি পরীক্ষার্থী নাজমুল হোসেন (১৯) ও অপর ভাই ভালুকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র সানোয়ার হোসেন(১৪)। বৃহস্পতিবার রাতে আসাদ মুন্সীর পরিবারের পক্ষ হতে ওই ঘটনায়  ভালুকা মডেল থানায় সাধারন ডায়রি নং-২৩১ তারিখ ০৬/০৩/২০১৪ দায়ের করেছেন।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বৃহস্পতিবার রাতে  ওই বাড়ীতে যান। শক্রবার দুপুরে তিনি ভালুকা ডট কম প্রতিনিধিকে জানান ‘তিনি জিডির সূত্র ধরে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে ফোনে যোগাযোগ করেছেন, তবে কোন খানেই তাদের সন্ধ্যান মেলেনি,বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। তিনি আরো জানান ওই গ্রামের লোকজনের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছেন ধরে নেয়া তিন ভাইয়ের এলাকায় কোন খারাপ রেকর্ড নেই। ঘরের দরজা ভাঙ্গার চিহ্ন দেখে এসেছেন।

এদিকে শুক্রবার আসাদ মুন্সীর বড় মেয়ের জামাতা আজিজুল হক জানান তিনি ঢাকার উত্তরা র‌্যাব ১ এর কার্যালয়ে খোঁজ নিতে গেলে তারা সন্ধ্যান দিতে পারেননি। হটাৎ করে রাতের বেলা তিন সহোদরকে র‌্যাব পরিচয়ে ধরে নেয়ায় ওই গ্রামের মানুষের মধ্যে এখন আতংক বিরাজ করছে।  



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই