তারিখ : ০২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় মন্দির ভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রমের ব্যাপক অনিয়ম

ভালুকায় মন্দির ভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রমের ব্যাপক অনিয়ম
[ভালুকা ডট কম : ০৭ এপ্রিল]
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম- ৩য় পর্যায়ের ভালুকা উপজেলার তিনটি মন্দিরের শিক্ষাকেন্দ্রের কার্যক্রম ব্যাপক অনিয়ম সৃষ্টি হয়েছে। একটি মন্দিরে শিক্ষা কেন্দ্র অনুমোদন হওয়ার তিন বছর পার হলেও চালু হয়নি শিক্ষা কার্যক্রম, হদিস নেই ওই কেন্দ্রের শিক্ষকেরও।

জানা যায়, ২০১১ সনে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম- ৩য় পর্যায় শীর্ষক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ময়মনসিংহ জেলার আটটি উপজেলার মধ্যে ভালুকা উপজেলার মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নের ধামশুর মতিবাবুর বাড়ির কেন্দ্রীয় দূর্গা মন্দির, নয়নপুরের দক্ষিণ নয়নপুর রাধাগোবিন্দ হরি মন্দির ও হবিরবাড়ী ইউনিয়নের সিডষ্টোর বাজারের শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দিরে শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শিক্ষা কেন্দ্র চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। এসব কেন্দ্রে ২০১১ সনের মার্চ মাসে একটি করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগ পত্রে উল্লেখ করা হয় ওই কেন্দ্রের শিক্ষককে মন্দির সংলগ্ন এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। পরে সরবরাহ করা হয় শিক্ষা সামগ্রী। কিন্তু তিনটি কেন্দ্রের মধ্যে দুটি কেন্দ্রে শিক্ষক থাকলেও শিক্ষা কেন্দ্র নেই, নেই কার্যক্রমের কোনো বালাই।

উপজেলার ধামশুর গ্রামের মতিবাবুর বাড়ির কেন্দ্রীয় দূর্গা মন্দিরে গিয়ে দেখা যায় মন্দির ছাড়া কোনো কেন্দ্র নেই। শিক্ষার্থী বিহীন শিক্ষিকাকে পাওয়া যায়। শিক্ষিকা বিনা রানী ভৌমিক জানান, মন্দির এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা তিনি না থাকলেও পৌরসভা সুরুজখার ভিটা থেকে এসে তিনি নিয়মিত পাঠদান করান। মন্দিরে আলাদাভাবে শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা না হলেও মন্দিরটির বারান্দায় কার্যক্রম চালানো হয় বলে দাবি করেন। এদিকে দক্ষিণ নয়নপুর রাধাগোবিন্দ হরি মন্দিরের শিক্ষা কেন্দ্র অনুমোদনের কথা জানেন না মন্দির কমিটি। পরবর্তীতে কিছুদিন আগে এ কার্যক্রমের কেন্দ্রীয় কমিটির লোকজন শিক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনে এলে ওই মন্দিরে গিয়ে শিক্ষাকেন্দ্র ও শিক্ষককে খোঁজ করলে ওই মন্দির কমিটির লোকজন বিষয়টি জানতে পারেন এবং পরিদর্শনকারি দল ওই মন্দিরে কোনো কার্যক্রম দেখতে পাননি।

অন্যদিকে দক্ষিণ নয়নপুর রাধাগোবিন্দ হরি মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক শ্রী রবিন চন্দ্র বর্মন আজকের বাংলাদেশকে জানান, মন্দিরে শিক্ষা কেন্দ্র অনুমোদন হওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মন্দির কমিটিকে বিষয়টি প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে জানায়নি। ফলে মন্দিরে কোনো শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন হয়নি। ২০১১ সালের মার্চ মাস থেকে এ মন্দিরের শিক্ষা কেন্দ্রের জন্য একজন শিক্ষক নিয়োগ হলেও গত তিন বছর ধরে সরকারি টাকা বিনা পরিশ্রমে উত্তোলন করছেন ওই শিক্ষক। এতে এলাকার হতদরিদ্র ও অসহায় শিশুরা প্রাক প্রাথমিক শিক্ষালাভ হতে বঞ্চিত হয়েছে। বিষয়টি এ কার্যক্রমের অধীনস্থ ময়মনসিংহের উপ-পরিচালক আনোয়ার হোসেনকে লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে উপ-পরিচালক আনোয়ার হোসেন জানান, শিক্ষা কেন্দ্রটি স্থানান্তর করে পৌর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। শ্রী রবিন চন্দ্র বর্মন জানান, কেন্দ্র স্থানান্তর বিষয়ে মন্দির কমিটি দাফতরিক কোনো নোটিশ বা চিঠি পাননি। তিনি দাবি করেন নয়নপুর একটি নিভৃত পল্লী এলাকা। এ এলাকায় হতদরিদ্র ও খেটে খাওয়া দিনমজুরের বসবাসই বেশি। কেন? কি কারণে এ এলাকার অবহেলিত শিশুদের শিক্ষালাভ হতে বঞ্চিত করে প্রায় ১১ কিলোমিটার দুরে শিক্ষা কেন্দ্রটি স্থানান্তর করতে হলো ব্যাপারটি রহস্যের সৃষ্টি হচ্ছে তাদের। তবে তিনি কেন্দ্রটি পুনরায় ওই মন্দিরে স্থানান্তর করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই